পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক তার পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সমাজ গঠনে জামায়াতের অনেক মুল্যবান অবদান থাকা সত্ত্বেও একবিংশ শতাব্দীতে ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় অপারগ হয়ে পড়েছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, জামায়াত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল।
তিনি বলেন, আমি বিগত প্রায় দুই দশক নিরবিচ্ছিন্নভাবে জামায়াতকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে, ৭১-এ দলের ভূমিকা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হওয়া উচিত এবং ওই সময়ে জামায়াতের ভূমিকা ও পাকিস্তান সমর্থনের কারণ উল্লেখ করে জাতির কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
কিন্তু তার সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ফলস্বরূপ ক্ষমা না চাওয়ার দায়ভার আজ তাদেরও নিতে হচ্ছে। যারা তখন এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত ছিল না, এমনকি যারা ৭১-এ জন্ম গ্রহণও করেনি। অধিকন্তু, অনাগত প্রজন্ম যারা ভবিষ্যতে জামায়াতের সঙ্গে জড়িত হতে পারে তেমন সম্ভাবনাময় ব্যক্তিদেরকেও এই দায়ভার বহন করতে হবে। ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, জামায়াতে যোগদান করার পর তিনি দলের ভেতরে থেকেই সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি কাঠামোগত সংস্কার, নারীর কার্যকর অংশগ্রহণ এবং অন্যান্য মৌলিক পরিবর্তনের পক্ষে তার মতামত তুলে ধরেন। ২০১৬ সালে জামায়াতের আমীরের কাছে লিখিত চিঠিতে তিনি অন্যান্য মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সংস্কারের উদাহরণ টেনে আভ্যন্তরিন সংস্কারের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।