এফ আর টাওয়ারের ঘটনা : জামিন পেলেন বিএনপি নেতা তাসভীর
রাজধানীর বনানীতে এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা তাসভীরউল ইসলাম জামিন পেয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মো.তোফাজ্জল হোসেন জামিনের আদেশ
বস তো নয়। একবারে কসাই। যা ব্যবহার। এর সাথে কাজ করলে জীবন শেষ। কোনোই উন্নতি হবে না। এটা হলো একদলের মত।
বস অনেক ভালো। কাজ বুঝিয়ে দেন। একবার না বুঝলে আবার বোঝান। রাগ করেন না। ছুটিছাঁটা নিতে গেলেও না করেন না। এটা হলো আরেক দলের মত।
বস কে বসে রাখতে কে না চায়। চামচামি নয়। কাজ দিয়েই বসের মন জয় করা সম্ভব। বস খুশি থাকবেন। তো ইনক্রিমেন্ট, প্রমোশন নিয়ে চিন্তা নেই। কিছু টেকনিক অবলম্বন করে করলেই হয়। বস খুশি থাকবেন।
এক. বস কাজ দিলেন। ডেডলাইন ভালো করে জেনে নিন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজটি করে দিন। যেন বস বারবার সংশোধন করতে পারেন। কাজটি করতে না পারলে অথবা কোনো সমস্যা হলে বসকে জানান। না জানিয়ে চুপচাপ বসে থাকবেন না।
দুই. বসের কাছ থেকে কাজ বুঝে নিন। না বুঝে হু-হ্যাঁ করবেন না। তাতে আপনার বিপদ হবে। প্রয়োজনে বারবার প্রশ্ন করুন। খুটিনাটি বুঝে নিন। ডাটা সোর্স কারা জেনে নিন।
তিন. ডেডলাইনের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করতে না পারলে বসকে জানান। আরো সময় নিন। ইন্টারনেটে কি নেই। সেখানে দেখুন। বটম লাইনটি আকর্ষণীয় করে তুলুন। যতটুকু দরকার। ঠিক ততটুকু পরিধিতে রাখুন। অনবশ্যক রিপোর্ট দীর্ঘ করবেন না।
চার. সময় মতো কাজ বুঝিয়ে দিতে নেই। তাহলে আবার কাজ দেবেন। তারচেয়ে বরং সময়ক্ষেপণ করি। তারপর দেয়া যাবে। এমন ভাবনা ত্যাগ করুন। আপনি কি, কতটুকু পারেন বা পারেন না। বস সেটা জানেন। জানেন বলেই বস। বসের সাথে চালাকি করতে যাবেন না।
পাঁচ. কাজ দিয়ে বসের মন জয় করার চেষ্টা করুন। কীভাবে, কোন ডিজাইনে রিপোর্ট করলে বস পছন্দ করেন। সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। বস বেশি কাজ দেন। এর মানে বস আপনাকে বেশি পছন্দ করেন। আপনার কাজ তার পছন্দ।
ছয়. বস ইজ অলওয়েজ রাইট। এটা বিশ্বাস করতে হবে। বসের যে কাজটি এখন ঠিক মনে হচ্ছে না। পরে দেখবেন সেটা ঠিকই ছিল। বস আপনার চেয়ে বেশি জানে। বেশি বোঝেন। এটা বিশ্বাস করুন। যুক্তি দিয়ে, তথ্য দিয়ে আপনার মতামত পেশ করুন।
সাত. পেছনে বসে বসের নিন্দা পরিহার করুন। যার কাছে আপনি নিন্দা করছেন সেই বসকে বলে দিতে পারে। তখন আপনার অবস্থা কী হবে। একটু ভেবে দেখবেন। নিন্দা করার আগেই সেটা ভাবতে হবে। অন্য কেউ নিন্দা করছে, আপনি চুপ থাকুন।
আট. বসের আস্থা অর্জন সবচেয়ে বেশি জরুরি। আপনি কাজ করেন। কাজে ফাঁকি দেন না। আপনার সম্পর্কে এই ধারণার সৃষ্টি করুন। সময় মতো কাজ সম্পন্ন করা। কাজে নতুনত্ব আনা। বসের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা। এসবই হতে পারে মোক্ষম টেকনিক। যাতে বস খুশি থাকবেন। আপনার প্রতি তার আস্থা থাকবে।
নয়. মিথ্যা পরিহার করুন। আপনি অসুস্থ না। এসএমএস করলেন আপনি অসুস্থ। বসের কাছ থেকে ছুটি বাগিয়ে নিলেন। বউকে নিয়ে শপিংয়ে গেলেন। সেখানেই বসের সাথে দেখা। এমনটা যে হয় না তা নয়। আপনি মিথ্যুক। বস সেটা প্রমাণ পেলে সর্বনাশ হবে। আপনার সত্যি কথাও তার কাছে মিথ্যে মনে হবে।
দশ. অতিরিক্ত কাজ। একটু বেশি ঝক্কি-ঝামেলার মধ্যে বস ফেলতে পারেন। বিশেষ করে ইনক্রিমেন্ট এর আগে। উদ্দেশ্য আপনাকে ভালো করে যাচাই করে নেয়া। এ সময় শান্ত থাকুন। হাসিমুখে বসের সাথে কথা বলুন। আপনার সক্ষমতা প্রমাণ করুন।
এগার. উত্তেজিত হবেন না। বস ট্যুরে যাবেন। আপনার দম ফেলার সময় নেই। অনেকগুলো কাজ তিনি ধরিয়ে দিয়ে গেলেন। মাথা ঠা-া রাখুন। বসকে সব জানান। কখনই তার সাথে তর্কে যাবেন না। উত্তেজিত হবেন না।
বার. বসের জন্মদিন। বিশেষ কোনো দিন। তাকে সবার আগে উইশ করুন। সুন্দর একটা গিফট তাকে দিন। এটা হলো সৌজন্যতা। বসের কোনো বিপদ আপদে তার পাশে দাঁড়ান। মানুষ হিসেবে সে আপনার বন্ধু হতে পারে। কর্মক্ষেত্রের কথা আলাদা।
তের. চামচামি, মোসায়েবী, অহেতুক প্রশংসা করতে যাবেন না। এগুলো বসরা পছন্দ করেন না। যদিও অনেকে সামনে বলেন না কিছুই। ইনক্রিমেন্টের সময় বারোটা বাজিয়ে দেন। কাজ দিয়ে বসের মন জয় করা সম্ভব। যদি একটু সচেতন হন। একটু গুছিয়ে সঠিক পথে চলেন।
১ মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।