পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দেশের মেট্রোপলিটন এলাকায় ভবন নির্মাণ আগে ১৬ স্তরের অনুমোদন প্রয়োজন হতো। এখন থেকে সেই অনুমোদন কমিয়ে চার স্তরে নিয়ে আসা হয়েছে। একই সঙ্গে কমিয়ে আনা হয়েছে নকশার অনুমোদনের সময়। এখন ৫৩ দিনের মধ্যেই নকশার অনুমোদন পাওয়া যাবে। এছাড়া ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ (বিডা) বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। সভা শেষে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সাংবাদিকদের কাছে এসব সিদ্ধান্ত জানান।
মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিনের অনাকাঙ্খিত ভোগান্তি থেকে মানুষকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এসব যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে নকশা অনুমোদনে ১৬টি স্তর অতিক্রম করতে গিয়ে মানুষকে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হতে হতো বলে অভিযোগ রয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় দেখেছে, এই ১৬টি স্তরের সব কটির আবশ্যকতা নেই। যেমন- পুলিশের অনাপত্তি, ডেসার অনাপত্তি, সিটি করপোরেশনের অনাপত্তির প্রয়োজন আর নেই।
মন্ত্রী জানান, যে চারটি স্তর রাখা হয়েছে সেগুলো হলো- ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ভূমি ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র, বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের অনাপত্তি পত্র, কেপিআইভুক্ত ইমারতের (বঙ্গভবন, গণভবন, বাংলাদেশ ব্যাংক, সংসদ ভবন ইত্যাদি) আশপাশে ভবন নির্মাণ করতে গেলে অনাপত্তি পত্র এবং ১০ তলার বেশি উচ্চতার ভবন করতে গেলে ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন লাগবে।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নকশার অনুমোদন পেতে ১৫০ দিনের স্থলে ৫৩ দিনে নামিয়ে আনা হয়েছে। এখন ৫৩ দিনের মধ্যেই অনুমোদন পাওয়া যাবে। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় অকালে শ্রমিকেরা প্রাণ হারান, তারাও ক্ষতিপূরণের সুযোগ পাবেন। মন্ত্রী বলেন, এখন থেকে এই সিদ্ধান্তগুলো অনুযায়ী কাজ হবে। তবে আগামী ১ মে থেকে এই কাজগুলো পুরোপুরিভাবে হবে।
শ ম রেজাউল করিম জানান, আগামী ৩০ এপ্রিলের পরে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নকশার অনুমোদন পেতে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর অনুমতি পাওয়া গেছে কিনা, তা অনলাইনেই জানিয়ে দেওয়া হবে। অবকাঠামোগত উন্নয়নে সব কর্তৃপক্ষকে এই সব বিধি-বিধান মেনে চলতে হবে। ভবন ও ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে জনগণকে দেওয়া সেবা সহজ করার জন্য এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।