পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়াসহ যেকোনো সাজাৎুাপ্ত বন্দিকে মুক্তি দেয়ার এখতিয়ার হচ্ছে আদালতেরএ বিএনপি বারবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে একই আহ্বান জানিয়ে প্রকৃতপক্ষে আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা জানাচ্ছে, আইন-আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছে, যেটি সমীচীন নয়। বিএনপি’র কথায় মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্বও পালন করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এদিন সকালে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি’র প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন। স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতে ইসলামী আর বিএনপির সঙ্গে জোটে থাকছে না বলে যে খবর একটি সংবাদপত্রে এসেছে, তা সমাজে বাধাপ্রাপ্ত প্রেমিক-প্রেমিকার কৌশল কি না- সেই প্রশ্ন রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত আলাদা হয়ে যাচ্ছে পত্রিকায় এই খবর বেরিয়েছে। ভেতরের খবর দেখতে পেলাম জামায়াত প্রকৃতপক্ষে বিএনপিকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে, অর্থাৎ বিএনপি ছাড়তে চায় না ওদেরকে, জামায়াত ছেড়ে চলে যাচ্ছে। একপি প্রত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিকূল পরিস্থিতি বিবেচনায় বিএনপির সঙ্গে আর জোটে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। তবে এই সিদ্ধান্তের কথা দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবে না। বিএনপির সঙ্গ ছাড়ার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে তারা ২০-দলীয় জোটের কার্যক্রম থেকে নিক্রিয় থাকবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রেম যখন খুব গভীর হয়, সমাজ থেকে যখন বাধাপ্রাপ্ত হয়, তখন প্রেমিক- প্রেমিকা নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করে, এটাও তাদের মধ্যে সে ধরনের কোনো কৌশল কি না আমি জানি না। তিনি বলেন, বিএনপি যদি জামায়াতকে ত্যাগ করত, যুদ্ধাপরাধী দলের সাথে এতদিন যে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন, আন্দোলন, ২০ বছর ধরে যুদ্ধাপরাধী দলের সঙ্গে যে সংসার আমরা ভুল করেছি, আমাদের এখন উপলব্ধি হয়েছে যুদ্ধাপরাধী দলের সঙ্গে থাকব না- এমন ঘোষণা দিয়ে যদি বিএনপি তাদের জোট থেকে জামায়াতকে বের করে দেয়, তবেই তাদের সাধুবাদ জানাব।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন, তা ‘সমীচীন হয়নি’ বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বা কোনো বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নেই। এ এখতিয়ার আদালতের। রিজভী বারবার একই আহ্বান জানিয়ে প্রকৃতপক্ষে আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, আইন আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙগুলি প্রদর্শন করছেন, যা সমীচীন নয়। যা দেশের আইনের শাসনকে,আইন-আদালতকে প্রকৃতপক্ষে আন্ডারমাইন করা হচ্ছে। তার কথায় মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্বও পালন করতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো বন্দি যদি তার দোষ স্বীকার করে প্রেসিডেন্টের কাছে মার্জনা চান, তাহলে প্রেসিডেন্ট মর্জানা করে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। বিএনপি যদি খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়, তাহলে আদালতের আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাদের এগোতে হবে। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে না গিয়ে তারা যদি অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তি চান, সেটি সম্ভবপর নয়। খালেদা জিয়া তার দোষ স্বীকার করে প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। প্রেসিডেন্ট চাইলে ক্ষমা করতে পারেন, তার মুক্তির ব্যবস্থা করতে পারেন, এর বাইরে অন্য কোনো সুযোগ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।