পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বেগম রোকেয়া ছাত্রী হলের সিট সঙ্কট নিরসনের দাবিতে গভীর রাতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ওই হলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীরা। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রোকেয়া হলের সামনে প্রায় শতাধিক ছাত্রী রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভের দীর্ঘ ৮ ঘন্টা পর রাত ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ইতিবাচক আশ্বাসে হলে ফিরে যান ছাত্রীরা।
জানা যায়, ২০১৬ সালের শেষের দিকে হলের কাজ অপূর্ণ রেখেই বেগম রোকেয়া হলে ছাত্রী ওঠানো শুরু হয়। তবে দুই বছর ছাত্রী ওঠানো হলেও ২০১৯ সালেও শেষ হয়নি ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলা তৈরির কাজ। এদিকে বর্তমানে হলে ১ হাজার সিটের বিপরীতে প্রায় ১ হাজার ৪০০ ছাত্রী অবস্থান করছেন। এতে সিট সঙ্কটে পড়েছে ওই হলের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। হলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীরা এখনও গণরুমে (হলের ডাইনিং রুম) রয়েছে যেখানে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীরা এক বেডে দুই জন করে থাকছে।
ওই হলের ছাত্রীদের অভিযোগ, গত বছর হলে সিট সঙ্কট দেখা দিলে মার্চে এবং সেপ্টেম্বরে হলের কাজ শুরু করার জন্য একাধিকবার আন্দোলন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত বছরের ডিসেম্বরে ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলা কাজ শুরু করার আশ্বাস দেয়। কিন্তু এ বছরেও কাজ শুরু করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে আন্দোলনের সময় হলে ভবনের কাজ শুরু করার দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকে ছাত্রীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা, সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, হলের প্রভোস্টসহ প্রশাসনের শিক্ষকবৃন্দ সেখানে উপস্থিত হয়ে সমস্যা সমাধানে ছাত্রীদের আশ্বাস দেন। এ সময় কাজ শুরুর বিষয়ে লিখিত চান ছাত্রীরা। কিন্তু কাজ শুরুর বিষয়ে শিক্ষকরা লিখিত দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে আন্দোলন চালিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। পরে রাত তিনটার দিকে হলের প্রভোস্ট এবং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই কাজ শুরু করার আশ্বাস দিলে হলে ফিরে যান ছাত্রীরা।
এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, নিয়মতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বেগম রোকেয়া হলের একটি ব্লকের চতুর্থ ও পঞ্চম তলার কাজ স্থগিত আছে। তবে খুব শিগগিরই হলের নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে বলে আশা করছি। হলের কাজ শেষ হলেই শিক্ষার্থীদের সিট সমস্যার সমাধান হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।