পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)’র নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বিমানবন্দরে হয়রানিসহ অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি বন্ধ করা জরুরি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা বিশেষকরে আমাদের বিমানবন্দরসমূহে অন-এ্যারাইভাল ভিসা, পণ্য খালাস এবং লাগেজ হ্যান্ডিলিং সহ অন্যান্য সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হন, যা বর্হিবিশ্বে আমাদের নেতিবাচক ইমেজ তুলে ধরে এবং এ ধরনের পরিস্থিতি আমাদের বিনিয়োগ আরোও স্থবির হয়ে পড়বে। তিনি দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নয়নে বিমান, স্থল ও জলবন্দর সমূহ, ব্যাংক-বীমা সহ বিনিয়োগ সহায়ক অন্যান্য সেবা প্রদানের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে আরো আন্তরিক হওয়ার কথা বলেন। মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যানের সঙ্গে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ওসামা তাসীর-এর নেতৃত্বে পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিডা চেয়ারম্যান জানান, বিনিয়োগ বিষয়ক সেবা প্রাপ্তির লক্ষ্যে বিডা ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং শিগগিরই তা বস্তবায়ন করা হবে। তিনি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অগ্রগতির ধারাকে বজায়ে রাখা এবং বিশেষকরে তরুণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে সরকার ও বেসরকারীখাত একযোগ কাজ করার আহবান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর বলেন, বিশ্বব্যাংক প্রদত্ত ‘ডুইং বিজনেস ২০১৯’ রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ ১৭৬তম স্থানে রয়েছে, যা মোটেই কাম্য নয়। তিনি ডুইং বিজনেস ইনডেক্স-এ বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়ন এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষনের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, শিল্প-কারখানায় নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিতকরন, দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি এবং প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানো একান্ত আবশ্যক বলে উল্লেখ করেন। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপিতে বেসরকারীখাতের বিনিয়োগের অবদান ৩৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে, যেটি বর্তমানে রয়েছে ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ। তিনি বিডা প্রস্তাবিত ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ প্রদানের উদ্যোগ দ্রুত কার্যকর করার আহবান জানান। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমদানি-রপ্তানি নীতি, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় নীতি এবং কর নীতি সহ সরকারের অন্যান্য নীতিমালার সাথে সঙ্গতি রেখে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষনে কার্যকর কৌশল পত্র প্রণয়ন করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার পাশাপাশি ব্যবসা সহায়ক সেবা প্রাপ্তির দীর্ঘসূত্রিতার কারণে ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বিনিয়োগকে ব্যাহত করছে।
ডিসিসিআই সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ, পরিচালক আশরাফ আহমেদ, দ্বীন মোহাম্মদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, হোসেন এ সিকদার, মোহাম্মদ বাশীর উদ্দিন, এস এম জিল্লুর রহমান এবং বিডা’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।