স্টাফ রিপোর্টার : সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে মোসাদের অর্থায়নে বিএনপি-জামায়াত জোট নেত্রীর উপদেষ্টা শফিক রেহমান ও গণজাগরণ মঞ্চের নাস্তিক এমরান এইচ সরকার জয়কে হত্যা করা এবং সরকার উৎখাতের চক্রান্ত করে চলেছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কহীন ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থার (মোসাদ) প্রধান লিউকিয়ান তাপাহির সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী বৈঠক করেছেন। এটা প্রমাণ করে বিএনপি দেশ সরকার ও সমগ্র মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে।
গতকাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে হাফেজ আব্দুস সত্তারের সভাপতিত্বে এক প্রতিবাদ সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেছেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু ল’ কলেজের অধ্যক্ষ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন। আরো বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী, ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কাজী মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী ও আলহাজ্ব হাফেজ মোস্তফা চৌধুরী, শেখ শওকত আলী সেলিমপুরী, মুফতী মঈন উদ্দীন ও মাওলান শেখ শোয়ায়েব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ইমরান এইচ সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে প্রমাণ করেছে সে দেশি-বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নে ষড়যন্ত্র করছে। ইমরান এইচ সরকার খুনী মোশতাকের বংশধর। আওয়ামী সরকারের চূড়ান্ত সুবিধা নিয়ে এখন সেই সরকারের গোড়া কাটতে ব্যস্ত। সচেতন মহল জানেন ইমরান রাজাকার খয়েরউদ্দীনের পরিবারের ছেলে এবং তিনি ২০০২ সালে রংপুর মেডিকেল কলেজের সক্রিয় শিবিরকর্মী ছিলেন। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই তিনি শাহবাগে নাস্তিকদের মিলন মেলা ঘটিয়েছেন। সেখানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে হটিয়ে সব নাস্তিক ঘরানার দল ও ব্যক্তির সমাবেশ ঘটিয়েছিল।
ওলামা লীগের কার্যকরী সভাপতি হাফেজ সত্তার সংশ্লিষ্টদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে আইএস থেকে অর্থ সংগ্রহের উৎস বের করার দাবী জানান। তিনি আরো বলেন, এখন ইমরান এইচ সরকার সজিব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার পরিকল্পনা করছে। হত্যার পরিকল্পনাকারী শফিক রেহমানের সহযোগী ইমরান এইচ সরকারকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলেই জয় হত্যার পরিকল্পনার প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে।
গতকাল বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে জয় হত্যার পরিকল্পনাকারী শফিক রেহমানের সহযোগী ইমরান এইচ সরকারের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ বিচারের দাবীতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে হাফেজ আবদুস সাত্তার আরো বলেন, ইমরান এইচ সরকার বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের লোক ছাড়া আর কারো বিচার হচ্ছেনা, অন্য কোনো হত্যার দায়-দায়িত্বও সরকার নিচ্ছে না। ক্ষমতাসীন দলের লোক ছাড়া সবাই খুন হচ্ছে। ইমরানের এইসব বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহী। সরকার, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরোধী বক্তব্য। তাই ইমরানকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি না দিলে দেশ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শক্তি কলঙ্কিত হবে। তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা না হলে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে তীব্র থেকে তীব্রতর আন্দোলন গড়ে তুলবে।