রফতানির দিকে বেশি নজর না দিয়ে দেশের মানুষের জন্য মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনের প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে। দেশের ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে যে, এদেশের মানুষ সুলভে মানসম্পন্ন ওষুধ পাচ্ছেন। শনিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) হোটেল সোনারগাঁও-এ বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। স্কয়ার ফার্মসিটিক্যালস এর আয়োজনে ‘স্যামসন এইচ চৌধুরী মেমোরিয়াল কনফারেন্স-২০১৯’ শীর্ষক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প বর্তমানে যে অবস্থানে পৌঁছেছে, এ অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে নিজস্ব পেটেন্ট আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা জরুরী। বিদেশী সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী নতুন নতুন ওষুধের ফর্মুলার অনুমোদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলে সেটি ভুল হবে। দেশের বাজার ও বিদেশের বাজারের জন্য পৃথক সেল গঠন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমন এফ রহমান, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান, সমিতির মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামান, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান, ইনসেপ্টা ফার্মসিটিক্যাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মোক্তাদির, স্কয়ার ফার্মসিটিক্যাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী প্রমুখ।

সম্মেলনটি ৩টি অধিবেশনে বিভক্ত ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মকোলজি বিভাগের প্রফেসর ডা. সায়েদুর রহমান অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সম্মেলনে ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে গবেষণায় অবদান রাখায় ৩ জন বিজ্ঞানীকে এবছর ‘স্যামসন এইচ চৌধুরী মেমোরিয়াল কনফারেন্স এ্যাওয়ার্ড অব ইয়াং সাইন্টিষ্ট’ এ সম্মানিত করা হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আনোয়ার সিদ্দিক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রওনক জাহান, নার্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. হোসেন শাহরিয়ার।