Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আদালতে খালেদা জিয়ার এক ঘণ্টা

মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭ ফেব্রুয়ারী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়ার বিশেষ আদালতে এক ঘণ্টা। দুর্নীতির একটি মামলায় দন্ডিত হয়ে এক বছর আগে খালেদা জিয়া কারাগারে যান। গতকাল বৃহস্পতিবার অপর একটি মামলায় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগার থেকে স্থাপিত বিশেষ আদালতে হাজির করা হয়। ঘণ্টাখানেক তিনি ছিলেন আদালতে। এসময় হুইলচেয়ারে বসে ছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। বেশির ভাগ সময়ই ছিলেন চুপচাপ তিনি।
এক বছর আগে দন্ডিত হওয়ার পর পুলিশের গাড়িতে করে খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালত থেকে কারাগারে নেয়া হয়। খালেদা জিয়াকে পুলিশের গাড়িতে করে আদালতে নেয়া হয়। এক বছরের ব্যবধানে খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুটি মামলায় দন্ডিত হয়েছেন। ইতেমধ্যে একটি মামলায় হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার দÐ বহাল রেখেছেন। নাইকো দুর্নীতি মামলায় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে নিয়মিত শুনানি চলছে। চলতি বছরে সেখানে খালেদা জিয়াকে হুইলচেয়ারে করে তিনটি শুনানির তারিখে হাজির করা হয়েছে।
এর আগে দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী পুলিশের গাড়ি আদালতের পৌঁছায়। গাড়ি থেকে নামানোর পর আদালতে হুইলচেয়ারে বসে ছিলেন খালেদা জিয়া। গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার আসামি খালেদা জিয়া আসার পর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন এজলাসে আসেন। শুরু হয় শুনানি। তখন আদালতে হাজির বিএনপির নেতা শহীদ উদ্দীন চৌধুরী অ্যানি এগিয়ে যান খালেদা জিয়ার কাছে। দুজন কথা বলেন দুই থেকে তিন মিনিট। শুনানির শুরুতে মাসুদ আহমেদ তালুকদার আদালতকে বলেন, আদালত, আমরা এই মামলার জব্দ তালিকার কাগজপত্র এখনো হাতে পাইনি। আদালতে আবেদন করেছি। ওই কাগজপত্র ছাড়া আমরা কীভাবে শুনানি করব।
আদালত তখন খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের জানিয়ে দেন, শিগগিরই তাঁরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেয়ে যাবেন। এই পর্যায়ে জয়নুল আবেদিন এগিয়ে যান খালেদা জিয়ার কাছে। শুনানি চলার একপর্যায়ে খালেদা জিয়ার কাছে যান এ মামলার আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। দু-এক মিনিট খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলার পর আবার তিনি তাঁর আসনে গিয়ে বসেন। এরপর স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ও মামলার আসামি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
দুইটার কিছুক্ষণ পর বিচারক মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ২৭ ফেব্রæয়ারি ঠিক করে এজলাস ত্যাগ করেন। এরপর খালেদা জিয়াকে ঘিরে রাখেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। কালো রঙের পুলিশের একটি গাড়িতে করে খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। যাওয়ার আগে খালেদা জিয়া গাড়িতে থেকে আদালতের সামনে দাঁড়ানো বিএনপির নেতাদের হাত নেড়ে বিদায় জানান। খালেদা জিয়ার কারাদন্দাদেশের পর থেকে তাঁর গৃহকর্মী ফাতেমা খাতুন আছেন তাঁর সঙ্গে ছিলেন। প্রতিবারের মতো আজও খালেদা জিয়ার সঙ্গে আদালতে আসেন ফাতেমা। হুইল চেয়ারে বসে থাকা খালেদা জিয়ার পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফাতেমা। ৪২ মিনিট খালেদার পাশে দাঁড়িয়ে থাকার পর খানিকটা দূরে গিয়ে তিনি একটি চেয়ারে বসেন। মিনিট দশেক পর ফাতেমা চেয়ার থেকে উঠে আবার খালেদা জিয়ার কাছে আসেন। শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফাতেমা খালেদা জিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

 



 

Show all comments
  • mohammad rahman ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
    বাংলাদেশের আইন আদালতের কর্মকানড এ ধারনা নিশচিত করে বাংলাদেশে সরকারি দলের লোকেরা কেউ দূর্ণীতি করে না দুর্ণীতি করে সব সরকার বিরোধি আর নিরপেক্ষ লোকেরা ! এ র মাধ্যমে আইনের শাসন কায়েম হয় না
    Total Reply(0) Reply
  • Sirajul Mustafa ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    নিরীহ ফাতেমাকে অহতেুক জেল বন্দী রাখা চরম মানবাধিকার লঙ্গন। এটা নিয়ে মিডিয়ার ভূমিকা চাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Razzak Tamanna ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    কেউ হেরে গিয়ে জিতে যায়। আপনাকে যারা হারিয়ে নির্লজ্জ বিজয়ের হাসি দেয়। তাদেরকে আমরা ঘৃণা করি। ৭১ দেখিনি ৩০ ডিসেম্বর দেখেছি
    Total Reply(0) Reply
  • Mir Md Mofazzal Hossain ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    বাংলাদেশের প্রচলিত নিয়ম বা আইন অনুযায়ী অপরাধের বিচার হয়েছে, এত মায়া কান্না কারন কি ? আমরা চাই এ ধারা অব্যাহতভাবে চলতে থাকুক। বিএনপির দলকানা অন্ধভক্তরা যুক্তি ছাড়া, আইন বহির্ভূত ভাবে আবেগ তাড়িত হয়ে মন্তব্য করছে—যা রীতিমত আদালত অবমাননার শামিল।
    Total Reply(0) Reply
  • Samia Lessi ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    বি এন পি নাকি ধংস হয়ে যাবে হয়তো বা হবে কিন্ত আমি সেই ধংসের একটুকরা কয়লা হয়ে জিয়া পরিবারের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • NeelKomol ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 0
    উনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে লন্ডনে চলে যাবেন, এমন শর্তে রাজি হলে এক ঘন্টায় জামিন মঞ্জুর হয়ে যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Ashaduzzaman Pappu ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 0
    এ কেমন রাজনীতি???৭০ উর্ব্ধো একজন নারীর প্রতি এ কেমন অবিচার???ছাড়তে না পারলে মানবিকতার খাতিরে হয় ওনাকে ফাঁসি দিয়ে দিন।।।প্রতিদিন মরার চেয়ে একদিনে মরে যাক।।।।
    Total Reply(0) Reply
  • এসএম আমার ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 0
    . একজন বয়স্ক বৃদ্ধ মানুষকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জোরে হেনস্থা,,,
    Total Reply(0) Reply
  • MD.ABDUR RAHMAN ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৭ এএম says : 0
    খালেদা জিয়া প্রমাণ করছেন তিনি কেন আপোষহীন। একটি পক্ষ চাইছে খালেদা জিয়া যেন তাদের কাছে মার্জনা চান। তবে তাদের এ আশা কখনো পূরণ হবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৭ এএম says : 0
    Khaleda Zia is a history , BNP is a history.
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৭ এএম says : 0
    তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় করা অন্য মামলাগুলি কোথায় গেল ? আদালতে প্রমানীত খুনীও দেখি মাফ পেয়ে গেল ।
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৮ এএম says : 0
    ফাতেমা, ৪২ মিনিট খালেদার পাশে দাঁড়িয়ে থাকার পর খানিকটা দূরে গিয়ে তিনি একটি চেয়ারে বসেন। ৪২ মিনিট আগে খালেদা জিয়া ফাতেমাকে দাঁড়িয়ে না থেকে বসে থাকার নির্দেশ দিলে মেয়েটি নির্দেশ অমান্য করতে পারতোনা। আর আদালত ও ফাতেমার জন্য একটি চেয়ার ব্যবস্থা করে দিতেন। উনি তো ম্যাডাম। উনার পাশে যদি দাসী বসে তাহলে কি মানায়? কাজের লোককে দাসী না ভেবে মানুষ ভাবলে অবস্যই বসতে বলতেন। যাই হোক, ভালো নেতা হতে গেলে মানুষের মন বুঝতে হয় আর ছোট ছোট ভালো লাগা অর্জন করে মানুষের মনে জায়গা করে নিতে হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • নুরুল আবছার ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৯ এএম says : 0
    এই ধরনের মামলা বর্তমান ক্ষমতাসীনদের নামেও অনেক করা যায়। কারা সারাদেশের রাস্তায় দলীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে ভরিয়ে ফেলেছে তা আমরা দেখছি। এইসব বিজ্ঞাপনের টাকা কোথা থেকে আসে? আর নাটক দেখতে চাইনা। মুক্তি চাই। মুক্তি চাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Bany Israil ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৯ এএম says : 0
    দেশনেত্রী গনতন্ত্রের মা আপোষহীন নেত্রী উন্নয়নের রুপকার বাংলাদেশের প্রথম নারি প্রধান মন্ত্রী, বৈধ তিন বারের সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদাজিয়া কে অন্যায় ভাবে গাযের জোরে নির্জন, পরি তাকত কারাগারে বন্দি রেখেছে। আমরা খালেদাজিয়ার নিশর্ত মুক্তি চাই।
    Total Reply(0) Reply
  • আপন আহমেদ ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৫০ এএম says : 0
    শেখ হাসিনা জীবিত থাকাকালীন এমন পরিণতি দেখতে পেতাম। আল্লাহ কখন কারা ভাগ্যে কি লিখেছেনে তা আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Johnny Somiar ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৫০ এএম says : 0
    আমি ব্যক্তিগতভাবে একটি জিনিসে বিশ্বাস করি সেটি হচ্ছে প্রতিটি মানুষের পাপের ফল তাকে পৃথিবীতে ভোগ করতে হয়। হয়তো বেগম জিয়া তাঁর এবং তাঁর সন্তানদের অপরাধে শাস্তি পাচ্ছেন। কিন্তু আজ যদি তার সাথে অপরাধ হয়ে থাকে এটির ও শাস্তি যারা তাকে দিচ্ছেন তারা পাবেন। সময় বলে দেবে কি হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Kowaj Ali khan ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৩:৪১ এএম says : 0
    ভোট চুরি জঘন্য অপরাধ, আমি জানতে চাই ভোট চুন্নির কি সাজা হইবে? এই ভোট চুন্নি জাতীয় বেঈমান, ভারতের দালাল চুন্নি। ইনশাআল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • মোশারফ ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৪:০৫ এএম says : 0
    খালেদাকে বিচারক জেল দেওয়ার পর বন্ধি আছেন আর এরশাদকেতো বিনা বিচারে বন্ধি রেখে ছিলো খালেদা তখন নেয় বিচার ছিলো এখন বেবিচার
    Total Reply(0) Reply
  • Amin.USA ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:৫২ এএম says : 0
    শ্রদ্ধেয় ডক্টর কামাল হোসেন সাহেব একজন টেকনোক্র্যাট কোনো রাজনীতিক নন । খালেদা জিয়া যখন জেলে, তখন আন্দোলনের বৃহত্তর জোট গঠনের জন্য বিএনপি ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয় । কিন্তু ডক্টর কামাল বলেন যে সরকারের সাথে আলোচনায় খালেদার মুক্তির শর্ত বিএনপির নিজস্ব ইস্যু ঐক্যফ্রন্টের নয় । দ্বিতীয়ত: ধানের শিস প্রতীক নিয়ে জামাত নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারটাও তিনি লেজে গোবরে করে ফেলেন । একজন জোট নেতা হিসেবে তাঁকে অবশ্যই সরকারের সাথে আলোচনায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রধান শর্ত হিসেবে খালেদার মুক্তি দাবি করা উচিত ছিল জোড় গলায় । দ্বিতীয়ত: ধানের শিস প্রতীক নিয়ে জামাতের নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে যখন নির্বাচন কমিশন কোনো আপত্তি করে নাই, তখন আগে জানলে ঐক্যফ্রন্টে অংশগ্রহণ করতাম না, এরকম রাজনৈতিক দূরদর্শিতাহীন বক্তব্য রাখাটাও তাঁর কাছ থেকে প্রত্যাশিত ছিল না । এই দুটি বিরাট ভুলের জন্যই খালেদার মুক্তি আটকে গেছে । কারণ: সরকার প্রয়োজনে খালেদাকে মুক্তি দেবার জন্য প্রস্তুত ছিল কিন্তু দেখা গেলো বিরোধীদল আলোচনার টেবিলে সরকারের উপর কোনো রকম চাপই সৃষ্টি করলো না । ফল যা হবার তাই হলো, নেতৃত্ব শুন্যতার কারণেই খালেদা জেলে আটকে রইলেন ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ