পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ সবাইকে সন্দেহের চোখে দেখার অর্থ তারা নিজেদেরকে নিয়েই সন্দিহান। নিজেদের প্রতি আস্থা নেই বলেই সবাইকে সন্দেহ করছেন তারা। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক রাজনীতি বিষয়ে মন্ত্রী একথা বলেন।
সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, শাহজাহান চৌধুরী, আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, আব্দুল আজিজ, মোজাম্মেল হক বাবু, কুদ্দুস আফ্রাদ, কাজী রফিক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজের) মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, মঞ্জুরুল হক, প্রণব সাহা প্রমূখ। তথ্যমন্ত্রী এসময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় সক্রিয় অবদানের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশংসা করেন এবং বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণমাধ্যমবান্ধব ও গণমাধ্যম বিকাশের সরকার। সাংবাদিকদের উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকারের কেবল টেলিভিশন আইন অনুযায়ী ডাউলিংক করা বিদেশী চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার আইনত অপরাধ এবং কেবল সংযোগে দেশী চ্যানেলগুলোতে প্রথম দিকে স্থান দেয়া বাঞ্ছনীয়। অচিরেই পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ টেলিভিশন দেখা যাবে, বলেও জানান তিনি। তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের উত্থাপিত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রসঙ্গে বলেন, নিয়োগের মূলভিত্তি হবে যোগ্যতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
ড. হাছান মাহমুদ এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়নযাত্রার বিবরণ দিয়ে বলেন, আকাশ থেকে হাতিরঝিলকে মনে হয় প্যারিস শহরের অংশ, কুড়িল ফ্লাইওভারকে মনে হয় ইউরোপীয় কোন শহরের অংশ, কুঁড়েঘর শুধু কবিতায় পাওয়া যায় আর ছেঁড়া জামার কোনো অস্তিতই নেই। খাদ্যে শুধু স্বয়ং সম্পূর্ণই নয় বাংলাদেশ এখন খাদ্যশস্য রপ্তানীকারক।
টেলিভিশন পুরস্কার নীতিমালা প্রণয়নে তথ্য মন্ত্রীর নির্দেশ
বাংলাদেশ টেলিভিশন পুরস্কার নীতিমালাকে জাতীয় পর্যায়ে উন্নীত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন পুরস্কার নীতিমালা ২০১৮ প্রণয়নের লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় মন্ত্রী এ নীতিমালাকে জাতীয় পর্যায়ে বিবেচনার প্রস্তাব করলে সভার সকলেই সম্মত হন।
প্রাথমিক এ সভার পর পর্যায়ক্রমে পরবর্তী সভাগুলোর মাধ্যমে নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়া করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। তথ্যসচিব আবদুল মালেকের সঞ্চালনায় বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম ও আতাউর রহমান, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রফিকুল আলম, বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক শেখ সাদী খান, বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম, চ্যানেল আই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, কবি তারিক সুজাত, নৃত্যশিল্পী মিনু হক, ডিবিসি নিউজ টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম, নাট্যশিল্পী তানভিন সুইটি, রোকেয়া প্রাচী ও তারিন জাহান সভায় অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।