ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করার জন্য সরকারিভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জোর তাগিদ দেয়া হচ্ছে। অথচ অনেকেই আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে সিম নিবন্ধন করাতে ইতস্তত করছেন। তাদের আশঙ্কাটা এমন যে, ‘রুবেল মিয়া’ নামের একজন গ্রাহক তার পরিচয় দিয়ে ০১৭... ও ০১৮... নম্বরের দুটি সিম নিবন্ধন করিয়েছেন। ‘রুবেল মিয়া’ জানেন না যে, কোনো দুর্নীতিবাজ কর্মচারী বা কর্মকর্তা কর্তৃক অসৎ পন্থায় অথবা কোনো হ্যাকারের ডিজিটাল কারসাজিতে রুবেল মিয়ার পরিচয় ব্যবহার করে ‘বুলেট’ নামের কোন দুষ্কৃতকারীর ব্যবহৃত একটি সিমও নিবন্ধিত হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে বুলেট নামের দুষ্কৃতকারী তার ব্যবহৃত ওই সিম দিয়ে যদি কোনো দুষ্কর্ম করে তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ওই সিমের ব্যবহারকারী হিসেবে নিশ্চিতভাবেই রুবেল মিয়াকে পাকড়াও করবে। তখন রুবেল মিয়ার কি অবস্থা হবে তা সহজেই অনুমেয়। গ্রাহকদের এমন আশঙ্কার পেছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে। যে দেশে সোনালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় চুরি হয়ে যায়, সে দেশে মোবাইল গ্রাহকদের এমন ভীতি অমূলক কিছু নয়। কিন্তু সরকার যদি রুবেল মিয়াকে এই মর্মে সনদপত্র দেয় যে, ‘রুবেল মিয়ার নামে ০১৭... ও ০১৮... নম্বরের মোট দুটি সিম নিবন্ধিত আছে। এর বাইরে তার নামে আর কোন সিম নিবন্ধিত নাই,’ তাহলে হয়তো নিরপরাধ রুবেল মিয়া বেঁচে যাওয়ার একটা পথ পাবে। সরকারের কাজ জনগণের কল্যাণ তথা সাধারণ মানুষের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। কোটি কোটি মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ কিছু চাপিয়ে দেওয়া জনহিতৈষী কোন সরকারের কাজ নয়। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ, বাংলাদেশের কোটি কোটি ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার কথা ভেবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের পাশাপাশি ব্যবহারকারীর নামে উক্তরূপ সনদপত্র ইস্যুর ব্যবস্থা করা হোক।
সিদ্দিকুল হাসান
ফুলপুর, ময়মনসিংহ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমীপে
শিক্ষা আইন ২০১৬ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে মতামত যাচাইয়ের জন্য প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে কয়েকটি দিক বিবেচনার জন্য উল্লেখ করছি।
১) বদলি: বেসরকারী শিক্ষকদের বদলির বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। কিন্তু শিক্ষা ক্যাডারের সরকারী স্কুল-কলেজ শিক্ষকগণ বদলিকে আতংক মনে করেন। কারণ একজন সরকারী কর্মকর্তা যেমন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা উপজেলার অন্যান্য কর্মকর্তাগণ দেশের যেখানেই বদলি হোক না কেন তারা কর্মস্থলে গিয়ে উপজেলায় তাদের জন্য বরাদ্দকৃত বাসায় ওঠার সুযোগ পায়। কিন্তু একজন সরকারী স্কুল-কলেজের শিক্ষক বদলি হলে তাকে প্রথমে ভাবতে হয় তিনি কোথায় উঠবেন? কোথায় থাকবেন? কোথায় খাবেন? সরকারী শিক্ষকদের যদি এ অবস্থা হয় তবে বেসরকারী শিক্ষকদের যাদেরকে এখনো পূর্ণাঙ্গ বাড়ী ভাড়া বা ইনক্রিমেন্ট প্রদান করা হয়নি তাদের বদলির বিষয়টি কীভাবে সম্ভব? তাই বেসরকারী শিক্ষকদের বদলির পূর্বে তাদের পূর্ণাঙ্গ বাড়ী ভাড়া প্রদানসহ প্রাইমারী শিক্ষকদের মত উপজেলার ভিতরে বদলির ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
২) কমিটি গঠন : কমিটি গঠনে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত রাখা, সংসদ সদস্যের ডিওলেটার প্রথা বাতিলকরণ, সভাপতি ও শিক্ষানুরাগী সদস্য আবশ্যিকভাবে যে কোন সমমানের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত প্রধানকে করার ব্যবস্থা করা, কারণ তারা প্রতিষ্ঠানের আইনকানুন-ফাঁকফোকর ইত্যাদি সম্পর্কে ও কীভাবে প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে পরিচালিত হবে এ বিষয়ে অভিজ্ঞ। বর্তমানে শিক্ষার সাথে সম্পর্কিত নয় এমন ব্যক্তিগণ সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী হওয়ার কারণে তারা প্রতিষ্ঠানের আইনকানুন না বুঝার কারণে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়।
৩) সিলেবাস সীমিতকরণ : বর্তমানে নতুন নতুন বিষয় সংযোজিত হওয়ায় ও সিলেবাস দীর্ঘ হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের জন্য তা আয়ত্তকরণ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে শিশু-কিশোরদের মধ্যে পাঠ ভীতি সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ঝরে পড়ার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে কেজি স্কুলগুলোতে পাঠ্য বইয়ের বোঝা যা ছিল বর্তমানে সরকারীভাবে তার চেয়েও বেশি বই পাঠ্য করা হয়েছে। এ জন্য পাঠ্য বইয়ের বোঝা ও সিলেবাস কমিয়ে বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের তাদের শৈশবকে উপভোগের মাধ্যমে মেধা বিকাশের পথ সুগম করে দেয়া প্রয়োজন।
উল্লেখিত বিষয়গুলো সুবিবেচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মোঃ ইয়াছিন মজুমদার
অধ্যক্ষ, ফুলগাঁও ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসা
লাকসাম, কুমিল্লা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।