পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সউদী আরব সফররত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে গতকাল সোমবার সউদী সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা ‘বাদশাহ আবদুল আজিজ মেডেল অব এক্সিলেন্স’ প্রদান করা হয়। রয়েল সউদী সশস্ত্র বাহিনীর চীফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল ফাইয়াদ বিন হামেদ আল- রোয়ায়লি সেনাবাহিনী প্রধানকে উক্ত মেডেল পরিয়ে দেন। এদিকে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সউদী আরবের সাথে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, এ সময় সউদী সশস্ত্র বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসে নিযুক্ত কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনী প্রধানের সফর সঙ্গীরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে সউদী সেনাবাহিনীর বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কের স্বীকৃতি স্বরূপ সেনাবাহিনী প্রধানকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। সেনাবাহিনী প্রধানের ৭ দিনের এই সরকারী সফরে বাংলাদেশ ও সউদী আরবের মধ্যে প্রতিরক্ষা বিষয়ক সহযোগিতামূলক দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এর প্রেক্ষিতে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সউদী আরবের সাথে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
বিবিসি বাংলার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ জানিয়েছেন যে সউদী আরবের সাথে বাংলাদেশের সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে এই প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওই বিবৃতিতে জেনারেল আজিজ আহমেদকে উদ্ধৃত করা হয়।
বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, এটি আসলে এমওইউ বা সমঝোতা স্মারক হবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান। রোববার দেয়া দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সউদী আরবের সাথে বাংলাদেশের সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে জানিয়েছন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। এতে বলা হয়, তিনি ৩ ফেব্রুয়ারি সউদী আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের নবনির্মিত ভবন পরিদর্শন কালে এ কথা জানান। বর্তমানে সউদী আরব সফররত বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওইদিন সউদী আরবের যৌথ বাহিনীর প্রধানের সাথে বৈঠক করেন। এছাড়া সেনাপ্রধান সউদী আরবের সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাথে রিয়াদে এক বৈঠক করেন।
রিপোর্টে আরো বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে যে চুক্তি হবে, তাতে বাংলাদেশের সৈন্য মোতায়েন এবং তাদের কাজের ধরণ কী হবে তা নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান।
দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, সউদী-ইয়েমেনের সীমান্তবর্তী যুদ্ধবিদ্ধস্ত এলাকায় মাইন অপসারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি প্রস্তুত করা হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েয়ে, যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে এর আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুটি ব্যাটালিয়নের প্রায় ১৮’শ সৈন্য সউদী আরবে মোতায়েন করা হবে। বাংলাদেশের সেনাসদস্যদের ইয়েমেন সীমান্তে মাইন অপসারণের কাজে নিয়োজিত করা হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, এই কার্যক্রম সউদী আরব ও বাংলাদেশের সামরিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, ইয়েমেনে সউদী নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন বাহিনী বেশ অনেকদিন ধরেই সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ আরো জানান, সউদী আরবের ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টারটেরোরিজম কোয়ালিশন (আইএমসিটিসি)-এ বাংলাদেশ থেকে একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ চারজন কর্মকর্তাকে নিয়োগের জন্য নাম দেয়া হয়েছে। এই কোয়ালিশনের সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।