পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মহাদেবপুর (নওগাঁ) থেকে এমএ ছালাম : ব্যাপক সফলতা আসায় নওগাঁর মহাদেবপুরের কৃষকরা কলাচাষে ঝুঁকেছেন ব্যাপকভাবে। সারি সারি বাগান থেকে কলা বিক্রি করে প্রচুর টাকার মুখ দেখছেন চাষিরা। বিশেষ করে রমজান মাসে বাজারে উচ্চমূল্য এবং ব্যাপক চাহিদার কারণে বাগানের কলা নিয়ে সামান্যতম দুশ্চিন্তাও করতে হচ্ছেনা কলা চাষিদের। বাগানে চাষ বাগানে বসেই বিক্রি। ক্রেতারা বাগানে বাগানে ঘুরে কলা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেক ক্রেতা বাগানের সমুদয় কলা আগাম ক্রয় করে রাখেন। এ ফসল চাষ করে বাজারমূল্য ও বিক্রি নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা নেই কৃষকদের। দুশ্চিন্তামুক্ত থেকে স্বল্প খরচ ও নামমাত্র পরিশ্রমে বেশী লাভের দেখা পাওয়ায় উপজেলার সহস্রাধিক কৃষক তাদের তুলনামূলক উঁচু জমিগুলোকে পরিকল্পিতভাবে তৈরী করে কলাচাষের ক্ষেত বানিয়েছেন। সবমিলে কলাচাষের জমির পরিমাণ হবে প্রায় এক হাজার বিঘা। ক্ষেত থেকে কৃষক প্রতিদিনই বিক্রি করছেন কলা আর পকেটে ভরছেন বাড়তি টাকা। এভাবে কলাচাষি পরিবারগুলোতে বিরাজ করছে স্বচ্ছল অবস্থা। বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে কলাচাষিদের আনন্দের যেন শেষ নেই। তাদের দেখাদেখী অন্যান্য কৃষকরাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন কলাচাষের। কলার বাজারমূল্য এবং চাহিদা এরকমই থাকলে শস্যভাÐারখ্যাত এ উপজেলায় নিকট ভবিষ্যতে কলাচাষেও বিপ্লব ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ব্যাপক সফলতার মুখ দেখা এনায়েতপুরের কৃষক হাফিজুর রহমান, ইন্দাইয়ের আঃ সালাম, শেরপুরের শামীম, কার্লনার মোস্তাফিজুর রহমান, বুজরকান্তপুরের আঃ কুদ্দুস ও মহিনগরের হারুন জানান, প্রতিবিঘা জমিতে কলাচাষ করতে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার খরচ হয়। ওই জমির কলা বিক্রি করে খরচ বাদে লাভের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। তারা জানান, কলা বিক্রির জন্য হাটবাজারেও যেতে হয়না। ক্রেতারা বাগান থেকেই ক্রয় করে নিয়ে যান। উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম মফিদুল ইসলাম জানান, প্রতিবিঘা জমিতে সারিবদ্ধভাবে ৩৯০ থেকে ৪২০টি কলাগাছ রোপন করা যায়। রোপনের পর থেকে কৃষক ওই বাগান থেকে একনাগাড়ে ২ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত কলা বিক্রি করতে পারেন। রোপনকালীন ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচের পর থেকে পরবর্তী বছরগুলোতে বাগানের যতœ ছাড়া কৃষকের আর তেমন খরচ হয়না। বাগানের কলা বিক্রির পাশাপাশি একই বাগান থেকে কৃষক কলার চারাগাছ বিক্রি করেও ভাল আয় করেন বলে কৃষি কর্মকর্তা একেএম মফিদুল ইসলাম জানান। বাগানের প্রতিটি চারাগাছ ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হয়। তিনি জানান, বর্তমানে এখানে প্রায় সহস্র বিঘা জমিতে কলাবাগান রয়েছে। তবে ক্রমেই কলাবাগানের সংখ্যা বাড়ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।