পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
জাতীয় অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে তৈরি পোশাকের মত চামড়া ও ইলেক্ট্রনিক শিল্পখাতের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পঞ্চাশ বছর মেয়াদী একটি রূপরেখা প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ-জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিজিসিসিআই) এর নেতারা। তারা বলেন, এ রূপরেখা অনুযায়ী খাতভিত্তিক সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারের ইশতেহার বাস্তবায়ন সম্ভব। এর মাধ্যমে আগামী দিনে বাংলাদেশে ব্যাপকহারে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
বিজিসিসিআই’র নেতারা গতকাল সোমবার শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এর সাথে বৈঠককালে এ প্রস্তাব করেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সংগঠনের সভাপতি ওমর সাদাত, সিনিয়র সহসভাপতি গোলাম মোর্শেদ, সহসভাপতি মো. মুইন উদ্দিন মজুমদার, পরিচালক মো. আনোয়ার শহীদ, নির্বাহী পরিচালক এম এ মতিন, ব্যবসা উন্নয়ন ব্যবস্থাপক ফামিরা নাহিন এবং যোগাযোগ ও গবেষণা বিষয়ক ব্যবস্থাপক রাকিব হাসান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিজিসিসিআই’র নেতারা বাংলাদেশ ও জার্মানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, জার্মানি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়িক অংশীদার। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ইতোমধ্যে ৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশে জ্ঞানভিত্তিক শিল্পায়নের অভিযাত্রা জোরদার করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ আরও বাড়ানো যেতে পারে। তারা সরকারের ইশতেহারে ঘোষিত শিল্পখাতের লক্ষ অর্জনে এক সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী বলেন, সরকারের ইশতেহার অনুযায়ী গ্রামকে শহরে পরিণত করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জনগণের জীবন মানোন্নয়নসহ বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে ইতোমধ্যে বর্তমান সরকারের লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। দ্রুত এগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক রাজনীতির সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। তিনি উদীয়মান শিল্পখাতের উন্নয়নে বিকাশে খাতভিত্তিক সমন্বিত প্রস্তাব পেশের জন্য বিজিসিসিআই’র নেতাদের পরামর্শ দেন। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অব্যাহত রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতির কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।