পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বকেয়ার পাহাড় জমেছে। পাটকলের গুদামে পাট নেই। পাটের অভাবে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি মিলের উৎপাদন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। পাটকল বাঁচাতে জাতীয় বাজেটে পাট খাতে অর্থ বরাদ্দ, পাট মৌসুমে মিলে অর্থছাড়, বিএমআরই, পাট দিয়ে বিকল্প পণ্য তৈরি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার সৃষ্টি জবাবদিহিসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণের দাবি শ্রমিক-কর্মচারীদের। খুলনাঞ্চলের মানুষ সোনালী পাটের সোনালী আশায় প্রহর গুনছে। অথচ কর্তৃপক্ষের অদূরদর্শীতার কারণে সম্ভাবনাময় খাতটি এখন প্রশ্নবিদ্ধ। এ অঞ্চলের পাটকল গুলোয় মাত্র দু’সপ্তাহের পণ্য উৎপাদনের কাঁচা পাট মজুদ আছে। একই সময়ে এ অঞ্চলের মিলগুলির কাছে পাটচাষিদের বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৭৫কোটি টাকা।
জানা গেছে, এক সময় বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের আওতায় ৭২টি পাটকল থাকলেও অনিয়ম অব্যবস্থাপনা আর পৃষ্ঠপোষকহীনতার কারণে বর্তমানে ধুঁকে ধুঁকে টিকে আছে ২২টি । তাছাড়া বিশ্বায়নের ও মুক্তবাজার অর্থনীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ খাত। পাটের প্রতি অনীহা ও পরিকল্পনার অভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পাটখাত।
সূত্রমতে, চলতি বছর বিজেএমসির ১৯ লাখ ৫৩ হাজার কুইন্টাল পাট কেনার টার্গেট ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ পাটও কিনতে পারেনি সংস্থাটি। ইতোমধ্যে পাওনা পরিশোধ না হলে বাকিতে পাট না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষুদ্র পাট চাষি সমিতি। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১১৪ কোটি ৩৬ লাখ ডলারের পাটপণ্য রফতানি হয়েছে। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে তা গত বছরের একই সময়ের অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। এমন অবস্থায় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোতেও পাটজাত পণ্য উৎপাদন কমে এসেছে।
বিজেএমসি খুলনা জোনের মহাব্যবস্থাপক শেখ রহমত উল্লাহ জানান, টাকার অভাবে বিজেএমসি পাট কিনতে পারছে না। এ অঞ্চলের মিলগুলোর কোনোটাতে ১০দিন আবার কোনোটাতে ১৫দিনের কাঁচাপাট মজুদ আছে। পাটের অভাবে মিলগুলো যাতে বন্ধ না হয়, সেজন্য পাট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে এক ট্রাক বা দুই ট্রাক কাঁচাপাট সংগ্রহ করা হচ্ছে। অর্থ বরাদ্ধ আসতে দেরী হলে উৎপাদন কমিয়ে দেয়া হবে তবে কাচাঁপাট সংকটে কোন অবস্থাতেই জুটমিল বন্ধ হবে না। ব্যবসায়ীরা সময়মতো পাটের জোগান দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তিনি জানান, বিজেএমসি সদর দপ্তরের মাধ্যমে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে অর্থ সংকটের কথা বলা হয়েছে । তিনি আশাবাদব্যক্ত করে আরও বলেন, ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে কাঁচাপাট ক্রয়ের অর্থ পাওয়া যাবে, তখন সংকট কেটে যাবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ ও মনবাধিকার বাস্তবায়ন সোসাইটির মহাসচিব মো. আজগর হোসেন জানান, ধাপে ধাপে পাটের বিষয়ে কতগুলো উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। বর্তমান বিজেএমসি’র আওতায় ২২টি পাটকল টিকে আছে। এ পাটকলগুলোর মেশিনারিজ অতি পুরাতন। সেগুলো আগের মতো উৎপাদন দিতে সক্ষম নয়। সেগুলো বিএমআরই করতে, মৌসুমে পাট ক্রয় করতে এবং বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ক্রয়ে অর্থ প্রয়োজন। তাই জাতীয় বাজেটে অর্থবরাদ্দ রাখতে হবে দেশীয় কাঁচামালের তৈরি এ শিল্প খাতে। কথায় আছে সময়ের এক ফোঁড় আর অসময়ের দশ ফোঁড়। বেশির ভাগ সময়ে যথাযথ মৌসুমে পাট ক্রয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ফলে কৃষকের ঘরের পাট তখন বেপারীদের হাতে চলে যায়। তখন অধিক মূল্যে পাট ক্রয় করতে হয় প্রতিটি মিলে। কিনে লাভ না হলে বেচে লাভ করা সম্ভব না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।