পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : বাগদাদে চালানো তিনটি গাড়িবোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৪ জন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ শিয়া অধ্যুষিত একটি এলাকার বাজারের হামলা। গত বুধবার এসব হামলা চালানো হয়। ইসলামিক স্টেট (আইএস) ভয়াবহ এসব হামলার দায় স্বীকার করেছে। এটি বাগদাদে চলতি বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা।
ইরাকের কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে (গ্রিনিচ মান সময় ০৭০০) সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাটি চালানো হয়। বাগদাদের উত্তরাঞ্চলে শিয়া অধ্যুষিত সদর সিটিতে এই হামলায় ৬৪ জন নিহত হয়েছে। সদর সিটিতে ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণে আশপাশের দোকানগুলোতে আগুন ধরে যায় এবং স্থানটি পোড়াদেহসহ গাড়ির ভগ্নাংশের ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
হামলার পর বেশকিছু বিক্ষুব্ধ লোক ঘটনাস্থলে জমায়েত হয়। তারা এই ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করে সেøাগান দেয়। ইরাকের রাজনীতিতে যে সঙ্কট চলছে তার মধ্যেই হামলাটি চালানো হল। আবু আলী নামে এক লোক বলেন, ‘রাজনীতিকরাই এই বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত।’ আবু মুন্তাদার নামের অপর এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘এই বোমা হামলার জন্য রাষ্ট্রই দায়ী। রাজনীতিবিদদের জন্যই সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছে।’ সদর সিটির এই এলাকাটিতে শিয়া ধর্মীয় নেতা মোক্তাদা আল-সদরের বিপুল সমর্থক রয়েছে। এই এলাকায় শ্রমিক শ্রেণী মানুষ বাস করে। মোক্তাদার বাবার নামেই শহরটির নামকরণ করা হয়েছে।
এদিকে উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা কাদিমিয়ার প্রবেশ পথে আরো একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিয়া মাজার রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্যও নিহত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাগদাদের পশ্চিমাঞ্চলীয় জামিয়া এলাকায় বিকেলে আরো একটি গাড়ি বোমা হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছে। তিনটি বোমা হামলার ঘটনায় মোট প্রায় ১৫০ জন আহত হয়েছে।
ইরাকে নিযুক্ত জাতিসংঘের প্রধান দূত জান কুবিস এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এগুলো নিরপরাধ বেসামরিক মানুষের ওপর কাপুরুষোচিত হামলা। তারা কিছুই করেননি।’ আইএস অনলাইনে এক বিবৃতির মাধ্যমে এসব হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। সূত্র : এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।