পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গত কয়েক বছরে ঢিমেতালে চলছে ইস্যু ব্যবস্থাপনার কাজ। গেল বছর প্রাথমিক গণ প্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে বাজারে এসেছে ১৪টি প্রতিষ্ঠান। আগের বছরের চেয়ে এ সংখ্যা বেশি হলেও বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি সন্তোষজনক নয়। সরকারি, বেসরকারি আইপিওর পরিমাণ বাড়াতে নীতিমালায় পরিবর্তন দরকার, বলছেন তারা। পাশাপাশি তাগিদ দিয়েছেন মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ভূমিকা জোরদারের। এদিকে শুধু আইপিও বাড়ালেই হবে না। বাজারে যাতে ভালো মানের কোম্পানি আসে সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গত কয়েক বছরে ধারাবাহিকভাবে কমেছে ইস্যু ব্যবস্থাপনার কাজ। গেল বছর ১৪ টি প্রতিষ্ঠান আইপিওর মাধ্যমে ৬০১ কোটি টাকা বাজার থেকে সংগ্রহ করেছে। ২০১৭ সালে এই সংখ্যা ছিল আরো কম, মাত্র আটটি।
যদিও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের পুঁজিবাজারে ২০১৭ সালজুড়ে ছিল আইপিও খরা। সেখান থেকে ২০১৮ সালে এসে আইপিওর সংখ্যা যথেষ্ট বেড়েছে। তবে আইপিওতে যেসব কোম্পানি আসছে তার মান নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মনোযোগ দিতে হবে। বাজারে যাতে ভালো মানের কোম্পানি আসে সে বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। ডিএসইর এক সদস্য বলেন, ২০১৭ সালে আইপিও খরার পর ২০১৮ সালে আইপিওর সংখ্যা বেড়েছে। তবে সেভাবে কিন্তু আইপিও বাড়েনি। এখন যেসব কোম্পানি আইপিওতে আসছে, তাদের মান নিয় যথেষ্ট প্রশ্ন আছে। একটি কোম্পানির বিষয়ে তো ডিএসই থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া সংবাদ মাধ্যমেও কয়েকটি কোম্পানির প্রসপেক্টাসে বিভ্রান্তকর তথ্য দেয়ার তথ্য এসেছে। বর্তমানে তালিকাভুক্ত ৫৯ টি মার্চেন্ট ব্যাংক ইস্যু ব্যবস্থাপনার দ্বায়িত্বে রয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান বাজারে এসেছে আইপিওর মাধ্যমে। এছাড়া বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রক্রিয়াধীন।
বাজার চাহিদা বিবেচনায় আইপিওর সরবরাহ আরো বাড়ানো প্রয়োজন বলে মত খাত সংশ্লিষ্টদের। প্রয়োজনে নীতিমালা সংশোধনের দাবি তাদের। বাজারে নতুন প্রতিষ্ঠান টানতে কর ছাড়ের কথাও বলছেন বিশ্লেষকেরা। এছাড়া আইপিও প্রক্রিয়ায় দ্রুততা নিশ্চিতের পরার্মশ দিচ্ছেন তারা। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারে যত কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে, বাজারের আকার তত প্রসারিত হবে। দায়িত্বশীলদের উচিত ভালো ভালো কোম্পানি যাতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া। আইপিওর সংখ্যা কম হওয়ার কারণে আমাদের পুঁজিবাজারের প্রত্যাশিত গ্রোথ হচ্ছে না। বাজারে কোম্পানির সংখ্যা বেশি থাকলে কারসাজির পরিমাণ কমে যায়। ৫৯ টি মার্চেন্ট ব্যাংক প্রতি দুই বছরে একটি করে প্রতিষ্ঠান আইপিওর মাধ্যমে বাজারে আনার বিধান রয়েছে সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ আইনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।