পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) মেয়াদোত্তীর্ণ সিবিএ ভেঙে দিয়ে অবিলম্বে নতুন নির্বাচন দাবি করেছেন ‘বিআইডব্লিউটিএ শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়ন (নিবন্ধন নং বি-২১৭৬) নেতারা। শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে লেখা এক চিঠিতে এই দাবি জানানো হয়। চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক পান্না বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক তুষার কান্তি বণিক। চিঠির অনুলিপি বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ও সচিবকেও দেওয়া হয়েছে। মহাপরিচালক বরাবর গত ২৪ জানুয়ারি লেখা চিঠিতে তিন সিবিএ নেতা জানান, বিআইডব্লিউটিএ শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়ন ২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শ্রম অধিদপ্তরের নিবন্ধিত হয় (নিবন্ধন নং বি-২১৭৬) এবং কোনো নির্বাচন ছাড়াই একই বছরের ২১ জুন সিবিএর স্বীকৃতি পায়। এই হিসেবে গত বছরের ২০ জুন কার্যকরী পরিষদের (সিবিএ) নির্ধারিত দুই বছর মেয়াদ শেষ হয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি নুরুল আমীন সরকার মারা গেছেন, সহ-সভাপতি আব্দুল হক ও কার্যনির্বাহী সদস্য মো. ফিরোজ সরকারি চাকরি থেকে অবসরে গেছেন এবং ১ নং যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জীব দাস সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেছেন।
চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, জš§লগ্ন থেকে গত তিন বছরে বিআইডব্লিউটিএ শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের কোনো বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা হয়নি। এ বিষয়ে ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী পরিষদের কয়েকজন সদস্যসহ সাধারণ শ্রমিক কর্মচারিরা দীর্ঘদিন ধরে বারবার তাগিদ দিলেও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কোনো কর্ণপাত করেননি। বরং যারা এজিএম কিংবা মেয়াদ শেষে নির্বাচনের দাবি তুলেছেন, তাদের অনেককে সিবিএ নেতাদের প্রভাবে হয়রানিমূলক বদলি করা হয়েছে। এ অবস্থায় সিবিএ’র কার্যক্রম স্থগিত করে অবিলম্বে নতুন নির্বাচনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।
এ বিষয়ে সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক তুষার কান্তি বণিক ইনকিলাবকে বলেন, গত তিন বছরেও বর্তমান কমিটির কোনো সাধারণ সভা হয়নি। সিবিএর মেয়াদও সাত মাস আগে শেষ হয়েছে। সুতরাং মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির দায়ভার আমরা নিতে রাজি নই। এ কারণেই সিবিএর কার্যক্রম স্থগিত ও নতুন নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।