পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাগের বাড়তি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক প্রতিশ্রæতির চেয়ে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ বাড়িয়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আগামী অর্থবছরের (২০১৬-১৭) উন্নয়ন বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর আগে অর্থমন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠকের পরে পরিকল্পনা কমিশন ১ লাখ ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকার খসড়া প্রস্তুত করে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরে বাংলানগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্বে অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরের জন্য ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকার মূল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন থেকে জোগান দেয়া হবে ৭০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আর বিদেশি সহায়তা পাওয়া যাবে ৪০ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় ১২ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা।
তিনি আরো বলেন, সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে পরিবহন খাত। এই খাত এডিপির প্রায় ২৬ দশমিক ১০ শতাংশ অর্থ বা ২৮ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে। এরপর শিক্ষা ও ধর্ম খাত ১৪ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে, যা এডিপির ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ণ খাত, ১২ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা পেতে যাচ্ছে এটি, যা এডিপির ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
এককভাবে পদ্মাসেতু প্রকল্পে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ৬ হাজার ২৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের এডিপিতে এ প্রকল্পে বরাদ্দ ছিলো ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। তবে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) বরাদ্দ কমে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
সব মিলিয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ৫১টি খাতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা এডিপি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি নিজস্ব তহবিল থেকে ৭০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন অর্থবছরে এডিপিতে প্রকল্পের সংখ্যা ১ হাজার ২৯৬টি। তবে স্বায়ত্ত¡শাসিতসহ মোট উন্নয়ন বাজেট দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।
এদিকে খাতওয়ারি বরাদ্দের বাইরেও স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন সহায়তার নামে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা রাখা হচ্ছে। সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নের আওতায় বিভিন্ন প্রকল্পে এই বিপুল অর্থ ব্যয় করা হবে। এর মধ্যে থোক বা বিশেষ উন্নয়ন সহায়তা রয়েছে ১ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।