পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : একাদশ শ্রেণীতে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদনের সুযোগ রেখে ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোতে আবেদন শুরু হবে ২৬ মে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারিত ফি’র বাইরে কোন অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করা যাবে না এবং অনুমোদিত সকল ফি যথাযথ রসিদের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে। এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর গতকাল (বৃহস্পতিবার) একাদশ শ্রেণীর ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ী, সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোতে অনলাইন এবং মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ২৬ মে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে ক্লাস শুরু হবে ১০ জুলাই।
নীতিমালায় বলা হয়, ২০১৪. ২০১৫ ও ২০১৬ সালে দেশের যে কোন শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে যে কোন কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারবেন। আগের বছরের মতো এবারও ভর্তির ক্ষেত্রে কোন ধরনের বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না। কেবল শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। বিভাগীয় ও জেলা সদরের কলেজগুলোতে ৮৯ শতাংশ আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং অবশিষ্ট আসনের মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, ৩ শতাংশ বিভাগীয় ও জেলা সদরের বাইরের শিক্ষার্থী, ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারী, গভর্নিং বডির সদস্যদের সন্তান এবং শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) ও শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এসব কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণরা যে কোনো বিভাগে ভর্তি হতে পারবে। মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণরা মানবিকের পাশাপাশি ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ভর্তি হতে পারবে। ব্যবসায় শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে ভর্তি হতে পারবে। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান জিপিএ প্রাপ্তদের মেধাক্রম সাধারণ গণিত, উচ্চতর গণিত অথবা জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত জিপিএ বিবেচনায় আনা হবে। আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ভর্তির ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলায় অর্জিত গ্রেড পয়েন্ট বিবেচনা করা হবে। এক বিভাগের প্রার্থী অন্য বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট গ্রেড পয়েন্ট একই হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে অর্জিত পয়েন্ট বিবেচনায় আনতে হবে। বিদেশের প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের কোনো কলেজে ভর্তি হতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদের মান নির্ধারণ করে নিতে হবে। তবে নীতিমালায় যাই থাকুক না কেন, স্কুল এন্ড কলেজ সমমানের প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে স্ব স্ব বিভাগে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। কোন কলেজ চাইলে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারবে। তবে ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য ওয়েব সাইটে এবং নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করতে হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে অথবা টেলিটক মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। ২৬ মে থেকে আবেদন গ্রহণ করা হবে। ভর্তির জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৬ জুন, ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১৮ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। আর ক্লাস শুরু হবে ১০ জুলাই। তবে বিলম্ব ফিসহ ১০ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্তও শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, অনলাইনে ১৫০ টাকা ফি জমা দিয়ে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করা যাবে। গত বছর অনলাইনে একাধিকবার আবেদনের সুযোগ থাকলেও এবার একবারই আবেদন করা যাবে। তবে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করতে প্রতি কলেজের জন্য ১২০ টাকা ফি দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। অনলাইনে কীভাবে আবেদন করা যাবে সে বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড নির্দেশনা জারি করবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ভর্তি ফি: ভর্তি নীতিমালায় বলা হয়েছে, বোর্ডের অনুমতি ব্যতীত নির্ধারিত আসন সংখ্যার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। এর কোন ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভর্তির জন্য মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেশনচার্জসহ সর্বসাকুল্যে এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকার বেশি ফি নেয়া যাবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী ভর্তিতে পাঁচ হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও এমপিও বহির্ভূত শিক্ষকদের বেতনভাতা দেয়ার জন্য ভর্তির সময় ভর্তি ফি, মাসিক বেতন, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফি বাবদ বাংলা মাধ্যমে নয় হাজার টাকা এবং ইংরেজি মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। নীতিমালা অনুযায়ী, উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান তিন হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না। দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ফি যতদূর সম্ভব মওকুফ করতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অনুমোদিত ফি’র বেশি নেওয়া যাবে না। অতিরিক্ত ফি নিলে পাঠদানের অনুমতি, অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি বাতিলসহ এমপিও বাতিল করে ওই প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।