পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যেসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেই দল ও জোটের নেতাদের সম্মানে গণভবনে চা-চক্রের আয়োজন শুভেচ্ছা ও কুশলাদি বিনিময় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হরেক পদের পিঠা-পুলি ও খাবারের বিভিন্ন পদে রাজনীতিকদের আপ্যায়িত করেন টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের দক্ষিণ লনের সবুজ চত্বরে এই চা-চক্রে কুশলাদি বিনিময়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানস্থলকে আবহমান বাংলার বিভিন্ন ঐতিহ্য দিয়ে সাজানো হয়। পাশাপাশি বাজানো হয় দেশের গান। অতিথিদের ফুচকা, চটপটি, পাঠিসাপটা পিঠা, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, পুলি পিঠা, জিলাপি, কাবাব-রুটি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। মেনুুর তালিকায় আরও ছিলো বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ফল, জুস, চা-কফিসহ বাঙালি ঐতিহ্যের নানা হরেক পদের খাবার।
যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে এবং আগের সংলাপে অংশ নিয়েছিল, তাদেরকে চা-চক্রে আমন্ত্রণ জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে গণভবনে হাজির হয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতারা। তবে চা-চক্রে অংশ নেয়নি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন তারা। এছাড়া চা-চক্রে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা অংশ নিতে দেখা যায়নি।
রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হয় গণভবনের চা-চক্র। বিকেল ৪টার পরে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিভিন্ন টেবিল ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং সূত্রে জানা যায়, ১৪ দল, জাতীয় পার্টি, যুক্তফ্রন্টসহ বামদলগুলোকে শনিবারের চা-চক্রে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। এছাড়াও এ চা চক্রে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চা-চক্রে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, নূরুল ইসলাম নাহিদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এনামুল হক শামীম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়য়াসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে বিরোধীদলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ, জাপা নেতা এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, জিয়াউদ্দিন বাবলু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুজিবুল হক চুন্নু, সুনীল শুভ রায়, জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদ (ইনু) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদ (আম্বিয়া) নেতা মঈনুদ্দিন খান বাদল, নাজমুল হক প্রধান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাসহ অনেকে চা-চক্রে অংশ নেন।
এ ছাড়াও ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতি মিসবাহুর রহমান চৌধুরী, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ডা. এ কিউ এম বদরুদোজ্জা চৌধুরী, মহাসচিব মেজর (অব.) এমএ মান্নান, মাহী বি চৌধুরী এবং শমশের মুবিন চৌধুরী, বিএনএফ প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ছাড়াও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, ১৪ দলের নেতা, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।