Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চার্চিল মুসলিম ছিলেন!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

উইনস্টন চার্চিল ইসলাম ধর্ম বিশ্বাসে মুগ্ধ ছিলেন এটি ছিল সর্বজনবিদীত। তবে তিনি মুসলমান হয়েছিলেন কিনা সেটি নিয়ে এখনও বিতর্ক আছে। তবে তার পরিবারের কিছু সদস্য মনে করেন, তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সাথে উপনিবেশ ভারতে অবস্থানের সময় মুসলমান হয়েছিলেন। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গোপন চিঠি এই বিতর্ক আবার উস্কে দিয়েছে। খবর ইউকে এক্সপ্রেস।

এই চিঠি পশ্চিমা রাজনৈতিক এবং মিডিয়া মুঘলদের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে দ্ব›েদ্ব অবিরাম পারস্পরিক সংঘাত এবং ঘৃণার আরেকটি প্রকাশ। চার্চিলের এই অধ্যায় সম্পূর্ণ মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। তার ইসলাম প্রীতির ব্যপারে সবাই জানতেন। কিন্তু গুজব থাকলেও তিনি এই ধর্মে রুপান্তরিত হয়েছিলেন এমন কোন প্রমাণ এতদিন পাওয়া যায়নি।
চার্চিলের ইসলাম ‘মুগ্ধতা’ এবং সম্ভাব্য রূপান্তরের প্রমাণ পাওয়া যায় কন্যা লেডি গ্যান্ডেন্ডোলিন বার্তির কাছে ১ লা আগস্ট ১৯০৭ সালে তার লেখা চিঠি থেকে। সম্প্রতি এটি প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ মিডিয়াগুলোতে। চিঠিতে তিনি তার কন্যাকে সাবধান করে লেখেন, ‘আমি লক্ষ্য করেছি তোমার মধ্যে প্রাচ্যের পাশার (কামাল আতার্তুক পাশা) মতো প্রবণতা আছে। এটি আমার মধ্যে পুরোপুরি আছে। তুমি যদি ইসলামের সন্ধান পাও, তোমার রক্ত, তোমার সহজাত প্রবৃত্তি তোমাকে এই ধর্মে রুপান্তরিত করবে, যা তোমার সমস্ত আরাম কেড়ে নেবে। তুমি কি জাননা আমি কি বলতে চাইছি? এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর।’
চার্চিলকে বেশ কয়েকবার আরবী পোশাকেও দেখা গেছে। চার্চিলের ব্রিটিশ রাজনীতি জীবনে বা পশ্চিমের কোন জায়গায় কিংবা কোনও ক্ষেত্রেই তার জীবনের এই অধ্যায় কোথাও দেখানো হয়নি। তিনি এখনও ব্রিটিশ ইতিহাসের নায়ক, এজন্য খ্রীস্টান চার্চ তার ইসলাম প্রীতি সবসময়েই আড়াল করার চেষ্টা করেছে।
একইভাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট থমাস জেফারসন, যিনি স্পষ্টতই পবিত্র কুরআনকে সম্মানিত করেছিলেন এবং হোয়াইট হাউসে রমজান মাসে ইফতারের আয়োজন করতেন। তার জন্য তিনি অসংখ্যবার সমালোচিত হয়েছেন খ্রীস্টান সমাজে।
যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন মিডিয়া সবসময় দাবী করেছে, ‘চার্চিল কখনও গুরুত্ব সহকারে রূপান্তরিত হননি।’ অন্য কথায়, তার এই ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করা হলেও কোন ভাবে প্রকাশ হয়ে পড়েছিল।
ব্রিটিশ মিডিয়ার বিপরীতে বেশিরভাগ ব্রিটিশ জনগণ ইসলামকে ভালোবেসেছে। সেখানে একসময় ব্যাপক মুসলিম অভিবাসন এই ধর্মের সাথে তাদের পরিচয় করিয়ে দেয়, পরবর্তীতে চার্চিলেন মতোই অসংখ্য বৃটিশ এই ধর্মে আকৃষ্ট ও রুপান্তরিত হন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চার্চিল

২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ