পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টালিন সরকার : ‘এক সেকেন্ডের নাই ভরসা/ বন্ধ হইবে রঙ তামাশা/ চক্ষু মুদিলে; হায়রে দম ফুরাইলে’ গাইতে গাইতে হাজার হাজার দর্শকের সামনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন লোকসঙ্গীত শিল্পী ফিরোজ সাঁই। ঘটনা শিল্পকলা একাডেমীতে ১৯৯৫ সালের ১২ জানুয়ারী। তখন শিল্পকলা একাডেমীতে এতো জৌলুসপূর্ণ বিল্ডিং ছিল না। প্রায় সব ঘরই ছিল সেমিপাকা। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানে ত্রিপল টানিয়ে মঞ্চ করা হয়েছে। হাজার হাজার দর্শক গান শুনতে সামনের চেয়ারে বসা। একে একে শিল্পীরা গান গেয়ে দর্শক মাতিয়ে যাচ্ছেন। একতারা হাতে মঞ্চে উঠলেন গেরুয়া পোশাকের বাউল শিল্পী ফিরোজ সাঁই। গলায় পেঁচানো কয়েক স্তরের পুঁতির মালা। দর্শকদের উদ্দেশে বক্তব্য দিলেন; অতঃপর শুরু করলেন গান ‘এক সেকেন্ডের নেই ভরসা’। দর্শক বিমোহিত! নেচে নেচে গাইতে গাইতে হঠাৎ পড়ে গেলেন মঞ্চে। ধরাধরি করে হাসপাতালে নেয়ার আগেই সব শেষ। পটুয়া কামরুল হাসান। ‘বিশ্ব বেহায়া’ কার্টুন এঁকে হৈচৈ ফেলে দেন। ১৯৮৮ সালে টিএসসি’র সামনের রাস্তায় জাতীয় কবিতা উৎসব। উৎসবের দ্বিতীয় দিন ২ ফেব্রæয়ারী সভাপতি হিসেবে মঞ্চে। পাশেই কবি শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, মোহন রায়হান প্রমুখ। মঞ্চে কবিতা পাঠ ও স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী বক্তৃতা চলছে। হঠাৎ ঢলে পড়লেন কামরুল। আধা ঘণ্টা পর মাইকে জানানো হলো হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে....। লম্বা চুলের চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী? ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর আর্মি স্টেডিয়ামে গভীর রাতে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের ক্ল্যাসিকাল মিউজিক ফেস্টিভালে লাখো দর্শক উচ্চাঙ্গ সংগীত শুনছেন। মাছরাঙ্গা টিভিতে সরাসরি প্রচার করা হচ্ছে। শেষ রাতে বক্তব্য দিতে উঠলেন কাইয়ুম চৌধুরী। দেশ, সংগীত নিয়ে চিন্তাশীল কথাবার্তা। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে বললেন, ‘আমার একটা কথা আছে’। অমনি মাথা ঘুরে ঢলে পড়লের মঞ্চে। দ্রæত নেয়া হলো সিএমএইচে। ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করলেন। ফিরোজ সাঁই ও কামরুল হাসানের মৃত্যুর সময় ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। আর কাইয়ুম চৌধুরীর মৃত্যুর ওই অনুষ্ঠান টিভিতে সরাসরি দেখেছি। মানুষের জীবন কত অনিশ্চিত! অথচ যুদ্ধ বিগ্রহ, হানাহানি, ঔদ্ধত্য, দাম্ভিকতা, অহংকার, ক্ষমতার দাপট, রাষ্ট্রের লুট, দুর্নীতি, গরীবের অর্থ আত্মসাত করে সুইস ব্যাংক গচ্ছিত রাখা, পানামা পেপারসে কেলেঙ্কারী সবকিছুই চলছে লাগামহীন! যে কোনো সময় মৃত্যু হতে পারে। প্রয়োজন শুধু সাড়ে তিন হাত মাটি। এক সেকেন্ডও জীবনের ভরসা নেই; তারপরও কেন এই বাহাদুরী? এ তালুক আমার, ওই বিল্ডিং আমার, ক্ষমতা আমার?
মানুষের জীবনের কোনো নিশ্চয়তা নেই; এক মিনিট-সেকেন্ড ভরসা নেই। যে কোনো সময় যে কোনো মুহূর্তে মৃত্যু হতে পারে। তখন এক মিনিট এদিক-সেদিক করা সম্ভব নয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন; মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরেও অবস্থান কর, তবুও’ (সূরা আন নিসা ঃ আয়াত-৭৮)। ফিরোজ সাঁই, কামরুল হাসান, কাইয়ুম চৌধুরীর মতো বরেণ্য ব্যক্তিদের হঠাৎ মৃত্যু আমরা উপলব্ধি করতে পারলেও মরণের চিন্তা করছি না কেন? পরের ধন নিয়ে এতো পোদ্দারী? মারা গেলে লুন্ঠন এবং সৎ পথে উপার্জিত হাজার হাজার কোটি টাকা সম্পদ কি কাজে আসবে? মৃত্যু কখনো জানান দিয়ে আসে না। বুঝতে পারি এই রকম আচমকা মৃত্যু আমারও হতে পারে। তারপরও সাবধান হচ্ছি না! বেপরোয়া জীবনের লাগাম টানছি না। অর্থ আর ক্ষমতার জন্য ছুটছি তো ছুটছিই। মিথ্যার বেসাতি করছি নিত্যদিন টিভিতে-সমাবেশে। অর্থ রোজগারে নীতি-নৈতিকতা, ন্যায়-অন্যায়, ভাল-মন্দ, হালাল-হারাম, সত্য-মিথ্যা কিছুই আমলে নিচ্ছি না। এক অট্টালিকার মালিক হলে আরো একটির জন্য মরিয়া হয়ে উঠছি। আরো চাই, আরো চাই-ই। মন ভরেই না। কবি বলেছেন, ‘পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি’। অথচ নিজের স্বার্থে পরকে বলী দিতে কসুর করছি না।
মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল সমতা, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায় বিচার। শাসক আর শোষিতের মধ্যে বঞ্চনার প্রতিবাদে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে দেশ। শোষিতের মঙ্গল, কল্যাণ আর নিরাপত্তার চিন্তা থেকেই প্রণীত হয় এ দেশের সংবিধান। সেখানে বলা হয়েছে, ‘সকল সময়ে জনগণের সেবা করা’ প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিদের কর্তব্য। কিন্তু ঘুষ ছাড়া সরকারি অফিসে কোনো কাজ করে ফিরে এসেছেন দেশে এমন খবর আছে কি? ঘুষ ছাড়া সরকারি অফিসের চেয়ার-টেবিলও কথা কয় না। জনগণ নয়, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত কর্মকর্তারা শুধু ক্ষমতাবান মানুষের সেবা করছেন এখন দেশে। এখানে রাজনীতির নিয়ম, ব্যবসা-চাকরির সুযোগ, রাস্তার নিয়ম, বিচার ব্যবস্থা, শিক্ষা-স্বাস্থ্য সুবিধা সবই দুই রকম। শাসকশ্রেণীর জন্য এক রকম; শোষিতের জন্য অন্য রকম। রাষ্ট্রযন্ত্রে দলীয়করণ এবং দুর্নীতি এমন পর্যায়ে গেছে যে বিল্ডিং নির্মাণে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার করা হয়। দলীয় লোক সেটা করলে সরকারের কর্মকর্তাদের ‘হায়রে কপাল মন্দ/ চোখ থাকিতে অন্ধ’ অবস্থা। অন্যকেউ করলে অবশ্য পুলিশী গ্রেফতার এড়ানো যায় না। আইনশৃংখলা রক্ষার নামে পুলিশের যে গ্রেফতার বাণিজ্য তা ঔপনিবেশিক যুগকেও হার মানিয়েছে। দেশে শত শত উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। অথচ কয়টি উন্নয়ন মানুষ দেখছে? গতকালও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের এক অনুষ্ঠানে প্রশ্ন রেখেছেন, ‘প্রকল্প কি উন্নয়নের জন্য; নাকি কমিশন খাওয়ার জন্য?’ দুর্নীতি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের লুটপাট কোন পর্যায়ে গেলে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে এমন বক্তব্য দিতে হয় তা সহজেই অনুমেয়। দলের লোকজনের ওপর বিক্ষুব্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধু আক্ষেপের সুরে বলেছিলেন, ‘সাড়ে সাত কোটি মানুষের আট কোটি কম্বল, আমার কম্বল গেল কই? সবাই পায় সোনার খনি আমি পেয়েছি চোরের খনি’। অবশ্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুদিন আগে বলেছিলেন, আমাদের দলে আমাকে ছাড়া সবাইকে কেনা যায়।
দেশের মানুষ চিকিৎসা পায় না; অর্থাভাবে দুর্বিষহ জীবন যাপন করে; গ্রামে বিশেষ করে নদীর চরাঞ্চলে হাজার হাজার যুবতী তরুণী বাবা-মায়ের ঘরে বসে আছে অর্থাভাবে বিয়ে দিতে পারেন না। অথচ বড় বড় প্রকল্প উন্নয়নের নামে রাষ্ট্রের টাকা লুন্ঠন করে মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি হয়। কানাডায় বেগম পল্লী গড়ে তোলা হয়। ১০ টাকা মূল্যের চা ৫শ’ টাকা দরে খাওয়া হয়। পানামা পেপারসে যে কেলেঙ্কারীর চিত্র উঠে এসেছে এরা কারা? সরকার এদের চেনে না? পাচার করা এতো টাকা উপার্জনের উৎস কি? যারা এতো বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করে আগামীর জীবন নির্বিঘœ করছেন; তারা যুগের পর যুগ বেঁচে থাকবেন? আলিশান বাড়ি, কোটি কোটি টাকার ডেকোরেশন, বিলাসী জীবন যাপন নিশ্চিত করতে একদÐ সময় নেই। দু’দিন আগে পরে মৃত্যু যদি অবধারিত হয় তাহলে এগুলো কোথায় পড়ে থাকবে? একজন মানুষ ও একটি পরিবারের জীবন চালাতে কত কোটি অর্থের প্রয়োজন হয়? মানুষের প্রতি এতো অবিচার কেন? অবৈধ পথে পা বাড়িয়ে কেন দেশের লাখ লাখ কোটি কোটি মানুষকে দুঃখ-কষ্টে ফেলা হচ্ছে। ভারতের আনন্দবাজারে এক সংবাদ প্রকাশ করে বলেছে, বাংলাদেশ থেকে গত ১০ বছরে প্রায় ৪৯ হাজার ১৩ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। টাকার অঙ্কে যা ৩৯ লাখ কোটি টাকা। গড়ে প্রতি বছর প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এই টাকায় দেশে কয়টি বাজেট ঘোষণা করা যেত? ১০ বছরের মধ্যে এই সরকারের সময়কালই প্রায় ৮ বছর। ভারত এই সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে। বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক। আনন্দবাজার যখন টাকা পাচারের সংবাদ প্রকাশ করে, সরকার নিশ্চুপ থাকে- তাহলে সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরির অবকাশ থাকে কি?
এখন চলছে ক্ষমতার দাম্ভিকতা! ক্ষমতা কি চিরস্থায়ী? পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘বলুন ইয়া আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর আর যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপমান কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল (সূরা ঃ আল ইমরান ঃ আয়াত ২৬)। ক্ষমতাসীনদের যে দাম্ভিকতা চলছে তা কি শোভনীয়? ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথাবার্তা কি জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য? জনগণ এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে যে ভাবে পুলিশ দিয়ে পেদানি দেয়া হচ্ছে তাতে খোদার আরশ কাঁপে। তারপরও পুলিশী প্রহরায় থেকে দাম্ভিকতা করা হচ্ছে ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথাবার্তা চলছেই। যারা এখন পুলিশ প্রহরায় চলাফেরা করে এমন ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছেন মারা গেলে কি পুলিশ তাদের প্রোটেকশন দেবে? এদেশ কার, এদেশের মাটি কার তা নির্ধারণ করবে উপরওয়ালা। আমরা কি নির্ধারণ করতে পারি? বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ উদ দৌল্লার পরিণতি কে না জানে? দিল্লির শেষ বাদশাহ বাহাদুর শাহ জাফরের করুণ কাহিনীর ইতিহাস কে না জানে? ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের পর কি করুণ পরিণতি হয়েছিল তার? বাহাদুর শাহ ছিলেন সম্রাট বাবর, সম্রাট আকবরের শেষ বংশধর। রেঙ্গুনে তার কবরে লেখা রয়েছে, ‘কিতনা বদ নসিব হ্যায় জাফর, দাফনকে লিয়ে দু’গজ জমিন ভি না মিলি কু ইয়ারমে।’ আফসোস! বাদশাহ জাফরের দাফনের ঠাঁই মেলেনি তার বিশাল সাম্রাজ্য ভারতবর্ষে। পরবাসের নির্জনে নিঃসঙ্গতার যন্ত্রণায় অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করলে রেঙ্গুনে তাকে কবর দেয়া হয়। নবাব সিরাজ উদ দৌল্লার স্ত্রী ও মেয়ে বাংলাদেশের কোনো এক জেলার জেলখানায় দীর্ঘবছর বন্দী ছিলেন। তাদের কবর কোথায় কেউ জানেন না। সাদ্দাম হোসেন, মুয়াম্মার গাদ্দাফি, হুসনি মুবারকের পরিণতির কথা কে না জানে? হিটলার, চসেঙ্কু, মার্কোসের কাহিনী কে পড়েনি? আবার পাকিস্তানের বর্র্তমান প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরীফ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর কাহিনী সবাই জানেন। দীর্ঘদিন দেশ থেকে বিতাড়িত থাকলেও জনগণের ভোটে আবার তারা ক্ষমতায় আসেন। কাজেই ক্ষমতার দম্ভ কতটুকু যুক্তিসংগত? একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের ১৩ দফা দাবি নিয়ে মতিঝিলের সমাবেশে ২০/২৫ লাখ মানুষের জমায়েত হয়। ওই ১৩ দফায় কি আছে তা না জানলেও অনেক মানুষ রাস্তায় দাাঁড়িয়ে থেকে কলা, তরমুজ, খিরাই বিলান। ঘরের বউ-ঝিরা ৫ কেজি ১০ কেজি চাল রান্না করে পাঠিয়েছেন। শুকনা খাবার দিয়েছেন অসংখ্য মানুষ ওই সমাবেশে অংশ নেয়া তৌহিদী জনতাকে। কেবল মুক্তিযুদ্ধের সময় এমন নিঃস্বার্থভাবে মানুষকে এভাবে সহায়তার হাত বাড়াতে দেখা গেছে। সেই হেফাজত আজ কোথায়? রেলের সামান্য জমি এবং পুত্রের কিছু আর্থিক সুবিধা পেয়েই দেশবরেণ্য আলেম পথ হারিয়ে ফেললেন? ইসলাম সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান ধারণ করা ওই ব্যক্তিরা কি মারা যাবেন না? তখন কি রেলের জমি আর কিছু অর্থ তাদের কাজে আসবে? পৃথিবীতে কেউ একদিন থাকব না। এটাই জগতের নিয়ম। তারপরও কেন এতো অনাচার-অবিচার-মিথ্যাবাদিতা-অনৈতিকতা-লোলুপতা-দাম্ভিকতা?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।