পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধান গবেষণা এবং নতুন নতুন ধানের জাত আবিস্কার করে ফলন বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সাফল্য ব্যাপক। ইরি ধান থেকে মূলত এই সাফল্যের পথচলা শুরু হয়। আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) এখনো তা চালিয়ে যাচ্ছে। এবার সাধারণ মানুষের ভিটামিন ঘাটতি পূরণে অবিস্কার করেছে ধানের নতুন জাত ‘গোল্ডেন রাইস’। কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুল রাজ্জাক জানিয়েছেন ‘ভিটামিন-এ’র ঘাটতি পূরণে সরকার শিগগিরই ধানের নতুন জাতের এই ধান উন্মুক্ত করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব তথ্য জানান।
আবদুর রজ্জাক বলেন, এশিয়ায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে ইরির একটা বিরাট অবদান রয়েছে। আমাদের গরিব মানুষ অনেক সময়ই পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে না, কিনতে পারে না। ভিটামিন-এ একটা আমাদের বিরাট সমস্যা। বাংলাদেশ রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ইরি মিলে গোল্ডেন রাইস আবিষ্কার করেছে। এটা এখন আমাদের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ক্লিয়ারেন্সের অপেক্ষায় আছে। এই ব্যাপারে তারা আলাপ করেছে, আশা করছি তিন মাসের মধ্যে পরিবেশ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠী ভাতের ওপর নির্ভরশীল। তারা পুষ্টিকর সবজি বা ফল-ফলাদি কিনে খেতে পারেন না। জিআই জাত বলেই সতর্কমূলক পরীক্ষা করছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া জৈব প্রযুক্তি প্রকৌশলের মাধ্যমে রূপান্তরিত এই ধানের অনুমোদন দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ভূমিকা রেখেছে। তারা বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-বিরি’কে সবসময় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। বিআর-২৮ ও বিআর-২৯ এর মতোই গোল্ডেন রাইসের উৎপাদন পাওয়া যাবে জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গোল্ডেন রাইস বেশ প্রমিজিং বলে আমরা মনে করছি। একটা নতুন অধ্যায় যোগ হবে। তিনি বলেন, এই ধানের চালের রং হবে গোল্ডেন। খরচ সাধারণ চালের মতোই হবে। অতিরিক্ত কোনো খরচ হবে না ভোক্তাদের। দেশের উপকূল অঞ্চলের জন্য নতুন জাতের এই ধান উদ্ভাবনে সহায়ক হবে। যা লবণাক্ত অবস্থার মধ্যে আরও বেশি ধান উৎপাদন করতে পারবো। কৃষকরা উপকৃত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।