পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়ার বিচারে সরকার বা রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রভাব মুক্ত রাখাসহ পাঁচ দফা দাবিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনজীবী আন্দোলন। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব মো: ইউসুফ আলীর হাতে সংগঠনের কো- চেয়ারম্যান আবেদ রাজা, মহাসচিব এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার রাজা ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এই স্মারকলিপি তুলে দেন। এদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন আইনজীবীরা।
পাঁচ দফা দাবির অন্যান্য দফায় বলা হয়েছে- দেশব্যাপী ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে একই ধারায় গায়েবী মামলা করা হচ্ছে। যার আসামী হিসেবে পঙ্গু, ভিক্ষুক থেকে মৃত ব্যক্তি বাদ যায়নি। গায়েবী মামলাগুলির গ্রহণযোগ্যতা ও আইনের অপ প্রয়োগ হচ্ছে কি না মর্মে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ প্রদান। আগাম জামিন শুনানির জন্য আরো দুটি বেঞ্চ স্থাপন করা। বিনা তদাবিরে উচ্চ আদালতের আদেশ যাতে স্বাভাবিক নিয়মে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে পৌছে তার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান। এবং রিট আবেদনের শুনানি অনেক ধীর গতিতে চলছে, এজন্য রিট বেঞ্চের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। স্মারকলিপি জমা দেয়ার আগে আবেদ রাজা বলেন, প্রধান বিচারপতিকে স্মারকলিপি প্রদানের ৭ দিনের মধ্যে এসব দাবির ব্যাপারে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে দেখব। এ সময়ের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নিলে আমরা দাবি আদায়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন: প্রধান বিচারপতিকে স্মারকলিপি প্রদানের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিচার বিভাগকে দুর্নীতিমুক্ত করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে করেছে সংগঠনটি। বেলা ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট বারভবনের সভাপতির কক্ষের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শতাধিক আইনজীবী অংশ নেন। এতে বক্তব্য রাখেন বারের সাবেক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সংগঠনের মহাসচিব এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার রাজা, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট আইয়ুব আলী আশ্রফী, অ্যাডভোকেট ওয়াসেল উদ্দিন বাবু, অ্যাডভোকেট শাহীন সুলতানা, এনএলসির সভাপতি জুলফিকার আলী জুনু, মহাসচিব হেমায়েত উদ্দিন বাদশা, অ্যাডভোকেট মতিলাল ব্যাপারী, অ্যাডভোকেট নাছিরউদ্দিন খান সম্রাট, অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আবদুল্লা আল মাহবুব, অ্যাডভোকেট শফিউর রহমান শাফ, অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসন, অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন মন্ডল, অ্যাডভোকেট একেএম মুক্তার হোসেন প্রমুখ। বারের সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, খালেদা জিয়াকে সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যতো মামলা আছে কোনো মামলাই রাজনীতির উর্ধে নয়। তার বিরুদ্ধে সব মামলা রাজনৈতিক মামলা। খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিন। কিন্তু এই সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপের কারণে ন্যায় বিচার হচ্ছে না। খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।