প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : স্ত্রীকে নামাজের জন্য তাগিদ দেওয়া ও নানাভাবে বোঝানোর পরও যদি সে নামাজ না পড়ে, তাহলে স্বামীর আলাদাভাবে আর করণীয় কিছু থাকে না। সাবালিকা কাউকে বোঝানোর পর তার নিজের অবস্থার ওপর ছেড়ে দেওয়াই নিয়ম। আল্লাহ তার বাঁদীকে হেদায়েত ও বুঝ দান করুন, এ দোয়া করতে থাকতে হবে। নামাজের কারণে যদি স্বামী স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে সেটা সে সুন্নত মোতাবেক জ্ঞানী ব্যক্তির পরামর্শে করতে পারে। তবে এটি সংশোধনের নিয়তে হতে হবে। নামাজের বাহানায় সংসার ভাঙ্গার ইচ্ছায় নয়।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
আমি প্রশ্ন করার আগে আমাদের পরিবারের কিছু সত্য বিষয় তুলে ধরতে চাই। যদিও এটা পারিবারিক বিষয় কিন্তু তারপরও সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য দয়াকরে পড়বেন এবং বুঝিয়ে বলবেন।
আমি মোঃ হুমায়ুন কবির' মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন বড় ছেলে। আমরা তিন ভাই এক বোন। আমার বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী ও মা' গৃহিণী, তারা দুজনেই খুব ভাল মানুষ, তাঁরা মোটামুটি আল্লাহ্ তায়ালার হুকুম মেনে চলে । আমরা সন্তানেরাও বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত । কিন্তু মা' সংসারের বাড়তি প্রয়োজনে প্রতিবছর সমিতি থেকে টাকা উঠায় । আমি অনেক বার বুঝাইছি কিন্তু আমার কথা একটুও মূল্যায়ন করেনা এমনকি কোনও কাজেও না। মাঝে মাঝে আব্বাও মানা করলে তাকে বুঝিয়ে চুপ করায় । এদিকে আমি কর্ম কম করি বিধায় একদিন বাবা আমাকে সংসার থেকে আলাদা করে দেয়। যদিও আমার ঐ সময় পড়ালেখা চলছিল কিন্তু তারপরও আমি হাল না ছেড়ে একটি ছোট চাকরি করে কোনও রকম পড়ালেখা শেষ করি । এরপর বর্তমানে চাকরি করার কারণে বাড়িতে খুব কম থাকা হয়। এর মাঝে দ্বিতীয় ভাই জমিজমা ও সংসারের দেখাশোনা করে । তার কোনও আয় নাই, কিন্তু আব্বার পেনশনের টাকা পুরোটা নিয়ে ইচ্ছামতো চলে । এভাবে পাঁচ বছর চলার পর আব্বা একদিন স্ট্রোক করে দীর্ঘ ছয় বছর বেচে থাকার পর বার্ধক্যজনিত এবং রোগে এই রমযান মাসে মারা যান । আমরা সবাই চাই বাবা জান্নাত বাসি হোক। কিন্তু দুঃখের বিষয় মা' আমার কথাই শোনে না । এখনও মা' সমিতির টাকা উঠায় এবং মাঝে মাঝে বলে ছোট ছেলেক কিছু করে দিতে হবেনা? ও কি করে খাবে? অথচ আব্বার যে পেনশন পায় তাতে অনায়াসে সংসার চলতে পারে। বলা ঠিক না কিন্তু তারপরও বলতে হচ্ছে- মা' আমার জন্য ওর তুলনায় অর্ধেকও করেনি
এবং করেনা । জানিনা আমার কি অপরাধ ।
ছোট ভাই মায়ের প্রশ্রয়ে প্রতিনিয়ত বড় বড় লেকসার মারে ও নাকি সব করে। আমি বড় হয়েও ওর কথায় কিছু বলতে গেলে মা' ওর সরাসরি ওর পক্ষ নিয়ে কথা বলে। ন্যায়-অন্যায় মা' ভুলে যায় ।
কিন্তু তারপরও আমি বড় সব মুখ বুঝে সহে যাচ্ছি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে
1)আমি বড় ছেলে হিসেবে আমার করনীয় কি? যদিও আমি স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তান নিয়ে এখনও আলাদা । মা এখনও সমিতি থেকে টাকা উপায়ে যে পাপের কাজ করিতেছে তার দায় থেকে আমি কি/কিভাবে মুক্তি পাবো?
2) আমরা ভাই-বোন এখন সবাই বিবাহিত । বাবা বেঁচে থাকাকালিন তাঁর সম্পত্তির একবিঘা আমাকে চাষাবাদ করার জন্য দিয়েছে। বাকি সব সম্পত্তি দ দ্বিতীয় ও তৃতীয় ছোট ভাই চাষাবাদ করিতেছে । তাই আমার কি এখনই সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা করে নেওয়া উচিত?
3) মা'কে অনেক ভালবাসি । কিন্তু আমার বিয়ের পর মা' পরহয়ে গেছে । আমি জানি 'বাবা-মা এর পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত' তাই আমি তা হারাতে চায়না। তাই আমাকে কি করতে হবে? নাকি মায়ের অন্যায় কাজগুলো মেনে নিতে হবে ?
4) বাবা স্ট্রোক করে পরে থাকাকালিন আমি বাবার চিকিৎসা অথবা মৃত্যু পরবর্তী দান-সদগা করার উদ্দেশ্যে মাসিক কিছু টাকা 3 বছর মেয়াদি ডিপিএস করেছি। 3 বছর মেয়াদের এখনও 5 মাস বাকি । এর মধ্যে যে টাকা জমা হয়েছে সব টাকাই কি দান করতে হবে?