পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেগম খালেদা জিয়ার জামিন পেতে আইনি কোন বাধা না থাকলেও তাকে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এখনও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে টালবাহানা চলছে। ২৯ ডিসেম্বরের রাতের ভোটের সরকার সকল সরকারি শক্তি দিয়ে বেগম জিয়াকে কারাগারে আটকিয়ে রাখছে। তাঁর জামিন পেতে আইনি কোন বাধা নেই। তাঁকে আটকিয়ে রাখতে আইনের ফাঁক দিয়ে বেআইনি রাস্তায় নানা চক্রান্ত চলছে। দেশজুড়ে ব্যর্থতা ঢাকতেই বিশেষভাবে ২৯ ডিসেম্বর নিশীথে মহাভোট ডাকাতির মহা কেলেঙ্কারী আড়াল করতেই বেগম জিয়াকে এখনও মুক্তি দেয়া হচ্ছে না।
গতকাল (সোমবার) বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান সরকারকে রাতের আধারের ভোটের সরকার মন্তব্য করে রিজভী বলেন, জনগণ ৩০ ডিসেম্বর ভোট দিতে পারেনি। কিন্তু ২৯ ডিসেম্বর রাতে ভোটারবিহীন ব্যালট বাক্স পূর্ণ হয়েছে। সুতরাং নির্বাচনোত্তর সরকার নিজেকে যে নামেই অভিহিত করুক, সেটি অবৈধ সরকার। এই সরকার রাতের আঁধারের ভোটের সরকার। অথচ আওয়ামী লীগ বলছে-তাদের প্রার্থীরা নাকি লাখ লাখ ভোটে বিজয়ী হয়েছে। প্রকৃত ভোটার’রা এই কথায় নিজেদের অধিকার হারিয়ে বিস্ময়ে হতবাক হয়েছে।
অন্যায়ের প্রতিকার চাওয়ার জায়গা নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, রাষ্ট্র এমন এক ভয়াবহ একদলীয় রুপ ধারণ করেছে যেখানে অন্যায়ের প্রতিকার চাওয়ার কোন জায়গা নেই। এত বড় মহাভোট ডাকাতি ও মহাভোট জালিয়াতির নির্বাচন গোটা জাতির সামনে সংঘটিত হলো, অথচ নির্বাচন কমিশন জানালো যে, ‘নির্বাচনে কোন অনিয়ম হয়নি’। প্রধান নির্বাচন কমিশানারসহ অন্যান্য কমিশনারদের মনে কোন অনুশোচনা নেই। তাহলে অধিকারহারা ভোটাররা প্রতিকার কার কাছ থেকে চাইবে। ন্যূনতম বিবেক-বুদ্ধি এবং মর্যাদার কথা চিন্তা না করে শুধুমাত্র কমিশনের উচ্চ পদের চেয়ার ধরে রাখতে এক মহা প্রশ্নবিদ্ধ ও নজীরবিহীন জালিয়াতি ও সহিংস ভোট ডাকাতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে তারা দ্বিধা করলো না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে মহাভোট ডাকাতিতে নিয়োজিত থাকায় তারা সমাজে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের বদলে এখন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যস্ত হয়ে পড়াতে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরমভাবে অবনতিশীল হয়েছে। সমাজ জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়েছে। কারণ সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বিধানে প্রশাসন ও পুলিশ অপরাধীদের যদি দমন করতে না পারে তাহলে সমাজে দূর্বৃত্তদের উৎপাত বিভৎস রুপ ধারণ করবে। অপরাধীরা যদি রাজনৈতিক কারণে রেহাই পেতে থাকে তাহলে শান্তিপ্রিয় মানুষের জীবন ও নিরাপত্তা ভয়াবহ সংকটাপন্ন হয়ে পড়বে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন প্রমূখ। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।