পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
২০১৮ সালে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন আয় করেছে ১৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। যা গতবছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। কর প্রদানের পর অপারেটরটির নিট মুনাফা ৩ হাজার ৫২০ কোটি টাকা। যা মোট আয়ের ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এই বছরে ইন্টারনেট থেকে অপারেটরটির আয় বেড়েছে ২১ শতাংশ এবং ভয়েস কল থেকে আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। শুধুমাত্র চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) রাজস্ব ৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৮ সালে গ্রামীণফোনের নতুন ৭৪ লাখ গ্রাহকসহ মোট গ্রাহক সংখ্যা ৭ কোটি ২৭ লাখ। এর মধ্যে ৩ কোটি ৭১ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। গ্রামীণফোনের ২০১৮ সালে বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। গতকাল (সোমবার) অপারেটরটির এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে শক্তিশালী ব্যবসায়িক ফলাফল এসেছে। এই বছরে অপারেটরটি ১৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকা করেছে এবং সরকারি কোষাগারে রাজস্ব প্রদান করেছে ৮ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। রাজস্ব প্রদানের পর নিট মুনাফা ৩ হাজার ৫২০ কোটি টাকা। এই সময়ে ৪জি লাইসেন্স, স্পেকট্রাম, টেক নিউট্রালিটি ফি এবং নেটওয়ার্ক আধুনিকরণের জন্য ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে গ্রামীণফোন। ২০১৮ সালে ৭৪ লাখ নতুন গ্রাহক গ্রামীণফোনের যোগ দিয়েছে যেখানে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১১ দশমিক ৩ শতাংশ। গতবছর গ্রামীণফোনে যুক্ত হয়েছে ৫৯ লাখ নতুন ইন্টারনেট গ্রাহক; যার ফলে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্কে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দাঁড়িয়েছে মোট গ্রাহকের ৫১ শতাংশ ।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন, ২০১৮ সালে বাজার খুবই প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে ছিল কিন্ত আমাদের পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন একটি শক্তিশালী ব্যবসায়িক ফলাফল এনে দিয়েছি। ফেব্রুয়ারিতে আমরা ৪জি চালু করেছিলাম এবং কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার নানা নির্দেশাবলীর কারণে এবছর নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তারপরও আমাদের ভয়েস ও ডাটা খাতে প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক ছিলো।
গ্রামীণফোনের সিএফও কার্ল এরিক ব্রোতেন বলেন, গ্রামীণফোন দক্ষতা এবং শক্তিশালী মুনাফা প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে আরেকটি বছর সম্পন্ন করেছে। এটা সম্ভব হয়েছে গ্রাহক এবং তাদের সেবা ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে। ২০১৮ সালে আমরা সেবার মূল্য নির্ধারণ বিশেষ করে ইন্টারনেটের মূল্য ও ভয়েস ট্যারিফ নির্ধারণে বেশ প্রতিযোগিতার সন্মুখীন হয়েছিলাম ।
এর আগে ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় ২০১৮ সালে প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ২৮ টাকা লভ্যাংশ সুপারিশ করা হয়। এর ফলে, ২০১৮ সালের মোট নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়ালো পরিশোধিত মূলধনের ১৫৫ শতাংশ যা ২০১৮ সালের কর পরবর্তী মুনাফার ১০৮ শতাংশ (এর মধ্যে রয়েছে ১২৫শতাংশ অন্তবর্তী নগদ লভ্যাংশ)। গ্রামীণফোনের সিইও বলেন, ২০১৯ সালে বাস্তবায়ন হতে পারে এমন বেশ কিছু নীতি নির্ধারণ বিষয় এখন আলোচনাধীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।