পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সীতাকুন্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজ ভাঙা শিল্পে আবারও আমদানি বেড়েছে। বেশ কয়েকবছর টানা লোহার বাজারে অস্থিরতা ছিল। তা এখন কেটে গিয়ে আবারও লাভের মুখ দেখছেন ইয়ার্ড মালিকরা। এতে পূর্বের ক্ষতি পোষাতে মালিকরা অনেকটা প্রতিযোগিতা দিয়ে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি শুরু করছেন। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি জাহাজ আমদানি করেছেন কে.আর গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। প্রতিষ্ঠানটি গত বছর এককভাবে আমদানি করেছে ২৫টি স্ক্র্যাপ জাহাজ। একইভাবে আরো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানির মধ্য দিয়ে দেশে লোহার চাহিদা পূরণে অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সীতাকুন্ড উপজেলা জুড়ে শতাধিক শিপব্রেকিং ইয়ার্ড রয়েছে। তবে নানান কারণে সবকটি ইয়ার্ডে কখনোই শিপব্রেকিং করা হয়নি। কিন্তু দীর্ঘ অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে এখানে প্রায় ৬০টি ইয়ার্ডে জাহাজ ভাঙা হয়ে আসছিলো। কিন্তু বিগত ৫/৬ বছরে হঠাৎ লোহার বাজারে মন্দা দেখা দিলে মালিকরা এ শিল্পে কোটি কোটি টাকা লোকসান গুণতে হয় তাদের। এতে করে ঋণখেলাপী হয়ে পড়েন অনেকেই। ঋণের বোঝা বইতে না পেরে বন্ধ হয়ে যায় অর্ধেক ইয়ার্ড। ফলে এখন ৩০টির মত ইয়ার্ডে জাহাজ ভাঙা চলছে। তবে ইয়ার্ড মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যে ৩০টি ইয়ার্ড এখন সচল রয়েছে তারা আবারো লাভের মুখ দেখতে থাকায় ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছে জাহাজভাঙা শিল্প। শিপইয়ার্ড মালিকরাও পূর্বের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগের তুলনায় বেশি বেশি সংখ্যক স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি শুরু করেছেন।
সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে সীতাকুন্ডের কে.আর গ্রুপ মোট ২৫টি স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করেছে। যা একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বোচ্চ জাহাজ আমদানি। এর পরের অবস্থানেই রয়েছে মোঃ শওকত আলী চৌধুরীর এস.এন কর্পোরেশন। তারা ১৬টি জাহাজ আমদানি করেছে। তৃতীয়তে আরেফিন এন্টারপ্রাইজ আমদানি করেছেন ১২টি জাহাজ। এভাবে তাহের এন্ড কোং ১০টি, গোল্ডেন ইস্পাত ৯টি, কেএসবি ৫টি আছাদী ৭টি, জিরি ৭টি ও প্রিমিয়াম ট্রেড ৭টি স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করেছেন। এ বিষয়ে কে. আর গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সেকান্দর হোসেন টিংকু ইনকিলাবকে বলেন, আমি ব্যবসার প্রয়োজনে গত বছর ২৫টি জাহাজ আমদানি করেছি। ইয়ার্ড সচল রেখে নিয়মিত ব্যবসা করে যাচ্ছি এখন। অন্যরাও প্রচুর জাহাজ আমদানি করছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য তাহের গ্রুপ, এস. এন কর্পোরেশন, আরেফিন এন্টারপ্রাইজসহ অনেকগুলো ইয়ার্ডে নিয়মিত জাহাজ ভাঙার কাজ চলছে। বর্তমানে কেউ আর মোটেই পিছিয়ে নেই। তবে কয়েকবছর আগে ব্যবসা কিছুটা খারাপ থাকলেও এখন সব কিছু কাটিয়ে স্বাভাবিকভাবে সবাই ভালো ব্যবসা করছেন। সীতাকুন্ডে আরেকটি বড় প্রতিষ্ঠান আরেফিন এন্টার প্রাইজের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ শিপব্রেকিং এন্ড রি-সাইক্লিং এসোসিয়েশনের সাবেক সহ-সভাপতি শিল্পপতি মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, গত বছর সবচেয়ে বেশি স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করেছেন কে.আর গ্রুপের মালিক সেকান্দার হোসেন টিংকু। এর পরে রয়েছে শিল্পপতি শওকত সাহেবের এস.এন এন্টারপ্রাইজ এবং আমার আরেফিন এন্টারপ্রাইজ। বর্তমানে এভাবেই কমপক্ষে ৩০টির মত ইয়ার্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করা হচ্ছে। তাই বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে এখন ব্যবসায়ীরা আগের তুলনায় লাভবান হচ্ছে বলে জানান তিনি। বাংলাদেশ শিপব্রেকিং এন্ড রি-সাইক্লিং এসোসিয়েশনের কার্য নির্বাহী সদস্য এস. এল গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. লোকমান সাংবাদিকদের বলেন, ব্যক্তিগতভাবে গত বছর সেকান্দর হোসেন টিংকুই বেশি জাহাজ এনেছে সীতাকুন্ডে। এছাড়া আরেফিন, এন. এন কর্পোরেশনও প্রচুর জাহাজ আমদানি করছে। ব্যবসাও আগের চেয়ে ভালো। এদিকে এভাবে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি বেড়ে যাওয়ায় দেশের নির্মাণ শিল্পের অতি প্রয়োজনীয় কাঁচামাল লোহার আমদানি বেড়ে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবার পাশাপাশি সরকার বার্ষিক হাজার কোটি টাকার রাজস্ব পাচ্ছে বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্টরা। তাই এ শিল্পকে স্বল্প সুদে প্রয়োজনীয় ব্যাংক ঋণ প্রদানসহ অন্যান্য সুবিধা দিলে একদিকে যেমন লাভবান হবে শিপইয়ার্ড ব্যবসায়ী, অন্যদিকে দেশ আরো বেশি সমৃদ্ধ হবে বলে অভিমত সচেতন মহলের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।