পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গণমাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং গঠনমূলক সমালোচনার মধ্য দিয়ে দেশ সঠিকপথে এগিয়ে যায়। সরকার গঠনমূলক সমালোচনাকে সবসময় স্বাগত জানায়। তবে সমাজ রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা মনে রাখতে হবে। কোন সংবাদ বা চিত্রের মাধ্যমে যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব বঙ্গবন্ধু হলে ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে এ উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে পারেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সাংবাদিকদের দাবি দাওয়া বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করেছি। সাংবাদিকদের নবম ওয়েজবোর্ড নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এরজন্য মন্ত্রিসভা কমিটি ইতোমধ্যে পুনর্গঠন করা হয়েছে, এটি আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়েছে। সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশে অনেক অনলাইন মিডিয়া রয়েছে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, এর অনেক বিস্তৃতি হয়েছে। এগুলো কতটুকু নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দেরও এ নিয়ে উদ্বেগ আছে।
কিছু অনলাইন মিডিয়া প্রপাগান্ডার কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। অনলাইনগুলোকে নিয়ম-নীতির মধ্যে আনা হবে বলে জানান তিনি। সবাইকে সাথে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে চান উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণমাধ্যমের ভ‚মিকা গুরুত্বপূর্ণ। সমাজ ও রাষ্ট্রের অসঙ্গতি তুলে ধরার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম ভ‚মিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। ১০ বছরে দেশ অনেক এগিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা অব্যাহত রাখতে এবং ২০২১ ও ২০৪১ সাল নাগাদ স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নতুন মেধাবী প্রজন্ম গড়তে সকলের সহযোগিতা দরকার। এজন্য গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রয়েছে।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, জনমত গড়ার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে থাকেন। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর, এরজন্য কি দরকার তা সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে উঠে আসলে নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সংবাদকর্মী হলেও মাথায় রাখতে হবে তারা স্বাধীন দেশের দায়িত্বশীল নাগরিক। দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ আছে। কলম আছে লিখে দেব এ ধরণের মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী ফরিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ। বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও রূপালী ব্যাংকের পরিচালক আবু সুফিয়ান, বিএফইউজের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, সিইউজে সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, সাংবাদিক হাউজিং কো অপারেটিভ সোসাইটির চেয়ারম্যান স্বপন কুমার মল্লিক।
দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা আজ
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা আজ সোমবার বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে প্রেসক্লাবের নির্বাচন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।