Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

প্রত্যাশা করি গঠনমূলক সমালোচনা

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে : মেয়র নাছির

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গণমাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং গঠনমূলক সমালোচনার মধ্য দিয়ে দেশ সঠিকপথে এগিয়ে যায়। সরকার গঠনমূলক সমালোচনাকে সবসময় স্বাগত জানায়। তবে সমাজ রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা মনে রাখতে হবে। কোন সংবাদ বা চিত্রের মাধ্যমে যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব বঙ্গবন্ধু হলে ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে এ উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে পারেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সাংবাদিকদের দাবি দাওয়া বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করেছি। সাংবাদিকদের নবম ওয়েজবোর্ড নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এরজন্য মন্ত্রিসভা কমিটি ইতোমধ্যে পুনর্গঠন করা হয়েছে, এটি আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়েছে। সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশে অনেক অনলাইন মিডিয়া রয়েছে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, এর অনেক বিস্তৃতি হয়েছে। এগুলো কতটুকু নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দেরও এ নিয়ে উদ্বেগ আছে।
কিছু অনলাইন মিডিয়া প্রপাগান্ডার কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। অনলাইনগুলোকে নিয়ম-নীতির মধ্যে আনা হবে বলে জানান তিনি। সবাইকে সাথে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে চান উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণমাধ্যমের ভ‚মিকা গুরুত্বপূর্ণ। সমাজ ও রাষ্ট্রের অসঙ্গতি তুলে ধরার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম ভ‚মিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। ১০ বছরে দেশ অনেক এগিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা অব্যাহত রাখতে এবং ২০২১ ও ২০৪১ সাল নাগাদ স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নতুন মেধাবী প্রজন্ম গড়তে সকলের সহযোগিতা দরকার। এজন্য গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রয়েছে।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, জনমত গড়ার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে থাকেন। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর, এরজন্য কি দরকার তা সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে উঠে আসলে নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সংবাদকর্মী হলেও মাথায় রাখতে হবে তারা স্বাধীন দেশের দায়িত্বশীল নাগরিক। দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ আছে। কলম আছে লিখে দেব এ ধরণের মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী ফরিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ। বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও রূপালী ব্যাংকের পরিচালক আবু সুফিয়ান, বিএফইউজের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, সিইউজে সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, সাংবাদিক হাউজিং কো অপারেটিভ সোসাইটির চেয়ারম্যান স্বপন কুমার মল্লিক।
দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা আজ
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা আজ সোমবার বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে প্রেসক্লাবের নির্বাচন।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১০:০২ এএম says : 0
    তথ্যমন্ত্রী ডঃ হাছান মাহমুদ এখানে সুন্দর কথা নীতির কথা বলেছেন এটা সত্য কিন্তু এর কতটা বাস্তব তিনি ফুটাতে পারবেন সেটাই প্রশ্ন নয় কি?? আমরা এধরনের বড় বড় কথা আগের তথ্যমন্ত্রীর কাছ থেকেও শুনেছি, তিনিও সাংবাদ মাধ্যমগুলোকে সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রনের কথা বহুবার বলেছেন কিন্তু আমরা কি পেয়েছি??? সাংবাদিকরা যদি সততার সাথে কাজ করে তাহলে একটা জাতী অবশ্যই উন্নতীর উচ্চ শিখরে উঠে যাবে এটাই সত্য। কিন্তু আমাদের দেশের সাংবাদিকেরা কি তাই করছে??? আমরা অতীতে যা করেছি সেটা হচ্ছে, একজন সাংবাদিক যখন যেই দলের হয়ে সংবাদ সংগ্রহ করেন তখন তিনি কোন দলকে পছন্দ করেন সেটা ভুলে গিয়ে সেই দল নেতার ভাল কথাগুলোই সমাজের সামনে তুলে ধরেন মানে আমরা এটাই করেছি। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও সাংবাদিকতার নীতির কারনে জামাতের সংবাদ সঠিক ভাবেই লিখেছি। একই ভাবে বিএনপির নেত্রীর প্রচুর সংবাদ আমার করা এমনকি আমি আজ যেটাকে ইন্ট্রো করে সংবাদ লিখেছি সেটাকে পরদিন খালেদা জিয়া ফলাও করে বক্তিতায় বলেছেন। কিন্তু আমাদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) স্বাধীন করা দেশে আমরা কি দেখছি সাংবাদিকেরা দলের নেতাদের কথাকে টুইষ্ট করে অন্যরকম বানিয়ে দিয়ে নেতাকে বেকায়দায় ফেলছে আর দুইদলের মধ্যে মতোবিরোধের সৃষ্টি করেছ যা একসময় ভয়াবহ রূপ ধারন করছে। এসব কেন করছে সেটাই মন্ত্রী বাহাদুরকে বের করতে হবে বলে জ্ঞানী জনেরা মনে করেন। সাংবাদিকদেরকে নিয়ন্ত্রন করতে হলে সংবাদ মাধ্যমগুলোর মালিকের উপর কড়া নজর রাখতে হবে এটাই সত্য। কারন আমরা দেখেছি মালিকদের চাপেই সাংবাদিকরা বেলাইনে চলে থাকেন। আগের দিনে আমাদের কয়েক মাশের বেতন বাকী থেকে যেত মালিকের কাছে আর আজকাল??? পূর্বে সরকারি বিজ্ঞাপন পেতাম কাগজ পারমিটে পেতাম তারপরও পত্রিকার খরচ তুলতে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা হয়ে যেত এটাই দেখে এসেছি। এখন মালিকেরা এত পয়সা পায় কোথাথেকে এটাই প্রশ্ন নয় কি???
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ