পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা ‘সময়ের ব্যাপার’ বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ এমন মন্তব্য করেন।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মতিউর রহমান নিজামীসহ এ পর্যন্ত পাঁচজনের ফাঁসি হলেও দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর কী হবে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের আদালত সবচেয়ে বড় আদালত। জনগণের আদালত রায় দিয়েছে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিপক্ষে।
তোফায়েল বলেন, যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত নেতাদের বিচার হয়েছে এবং হচ্ছে। ওই রায়েই যুদ্ধাপরাধী এবং মানবতাবিরোধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচারের কথা বলা হয়েছে। এটা এখন সময়ের ব্যাপার। পর্যায়ক্রমে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
দল হিসাবে জামায়াতের বিচারে প্রস্তাবিত আইন মন্ত্রিসভায় কেন দুই বছর ধরে ঝুলে আছে? তোফায়েল আহমেদের কাছে তা জানতে চান সাংবাদিকরা। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল এর জবাবেও বলেন, অপেক্ষা করেন, ৪৫ বছরে বিচারের কাজ করেছি।
আইনটি নিয়ে সরকারের মধ্যে কোনো প্রশ্ন আছে কি-না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না, আইন হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রশ্ন আসে নাই। এই দেশের জনগণের আদালতে জামায়াতের বিচার হচ্ছে।
জামায়াত সম্পর্কে আজ মানুষের কী ধারণা? জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে দিলেন, তাহলে কি সব শেষ হয়ে গেল? এটার একটা প্রক্রিয়া আছে। জামায়াত নিষিদ্ধের ব্যাপারটা সময়ের ব্যাপার।
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হলে জঙ্গিবাদী কার্যক্রম বাড়বে বলে একটি মহলের শঙ্কার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, জামায়াততো ইতোমধ্যে বিভিন্ন নামে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যতগুলো জঙ্গি সংগঠন বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায় দেখা যায়, এগুলোর মূলে রয়েছে জামায়াত। বিএনপির লোকও আছে এর মধ্যে।
নিজামীর ফাঁসির প্রসঙ্গ টেনে তোফায়েল বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় এই কঠিন কাজটা করা সম্ভব হয়েছে। আল-বদর বাহিনীর প্রধান এই দেশে মন্ত্রী হয়েছিলেন, এটা কি এই দেশের কেউ ভাবতে পেরেছে? বিচার হয়েছে, আমরা কলঙ্কমুক্ত হচ্ছি।
বঙ্গবন্ধু নিজেই একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করেছিলেন বলে যে যুক্তি যুদ্ধাপরাধের বিরোধিতাকারীরা দেয়, তা নাকচ করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি তাদেরকে ক্ষমা করেন নাই। আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব ছিলাম। যে আদেশটা গিয়েছিল, তখন মালেক উকিল সাহেব ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ক্লেমেন্সি উইল বি গিভেন টু দোজ, হু আর নট ইনভলভড ইন কিলিং, লুটিং, আরসেনিং অ্যান্ড রেইপ। তাদের বিচারের জন্যই ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান সংবিধানে রাখা হয়েছে।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ঘাতক দালালদের বিচারে আইন প্রণয়ন করে আদালত গঠন করা হলেও সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেই উদ্যোগ থেমে যায়। ১৯৭৫ সালের শেষ দিন জেনারেল জিয়াউর রহমান এক সামরিক অধ্যাদেশে দালাল আইন বাতিল করলে, মুক্তি পেয়ে যায় কারাবন্দি যুদ্ধাপরাধীরা।
সেই সময়ের কথা স্মরণ করে তোফায়েল বলেন, জিয়ার আমলে ৩১ ডিসেম্বর ঘুমিয়ে ১ জানুয়ারি ঘুম থেকে উঠে দেখি জেলখানা খালি। ওই জেলের মধ্যে যারা যুদ্ধাপরাধী ছিল, জিয়া তাদেরকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন।
দুটো বড় কাজ শেখ হাসিনা করে গেলেন, তিনি ইতিহাসের পাতায় অক্ষয় হয়ে থাকবেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। কেউ ভাবেনি, কিন্তু তিনি তার ডিটারমিনেশনের মধ্য দিয়ে, নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে তিনি এটা করেছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের দুটি বড় অর্জন হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের ন্যায়সংগত বিচার সম্পন্ন করা। অনেক বাধা-বিপত্তির পরও এই দুটি বিচার সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে জাতীয় পতাকাকে কলঙ্কিত করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদের বিচার করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।