প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : প্রশ্নের বিবরণ শুনে মনে হয় আপনার স্ত্রী ঘরের কাজ বা রান্না-বান্না না করে থাকতে চান। তিনি একটি জবও করেন। আপনার সাথে বোঝাপড়ার মাধ্যমে শরিয়তের অনুগত থেকে পর্দা রক্ষা করে তিনি তা করলে করতেও পারেন। তবে, ঘরোয়া কাজকর্ম বা রান্না-বান্না যদি তিনি না করেন, তা হলে এর বিকল্প ব্যবস্থা সম্পর্কে তার তো নিশ্চয় কিছু পরামর্শ থাকবে। সেটি কি, তা তিনিই আপনাকে ভালো বলতে পারবেন। আপনারা দু’জনে পরামর্শ করে সংসারের সমুদয় কাজের ব্যবস্থা করবেন। নারীরা মমতাময়ী হওয়ায় তারা সৌজন্যমূলকভাবে নিজ সংসারে সারাজীবন অফুরন্ত কাজ করে থাকেন। আপনার স্ত্রীও এভাবে কম-বেশি কাজ করতে পারেন। নতুবা আপনি কিভাবে এসব ম্যানেজ করবেন তা বলে আপনাকে সহায়তা করতে পারেন। তবে, যে কাজটি আপনারা দু’জনের একজনও পারেন না সেটি হচ্ছে, মা’কে দিয়ে সংসারের কাজ করানো। রান্না-বান্না ও ঘরকন্যার কাজ বিবাহিত পুত্র ও পুত্রবধূওয়ালা বয়স্কা মায়ের হতে পারে না। এটি আগে বন্ধ করুন। এরপর স্ত্রীকে সংসারের ব্যাপারে সমাধান দিতে বলুন। শরিয়তে অবশ্য সংসারের সমুদয় কাজ করা স্ত্রীর ওপরও ফরজ, ওয়াজিব নয়। এর নীতিগত দায়িত্ব পুরুষের ওপর। প্রেম-ভালোবাসা মায়া-মমতা ও শ্রদ্ধাবোধ এসব ক্ষেত্রে সবাইকে কর্ম বণ্টন করে নিয়ে সংসারকে সচল রাখার পথ দেখায়। এখানে বিধান যত না কার্যকর, সামাজিকতা ও সৌজন্যবোধ তার চেয়ে বেশি ফলপ্রসূ। আল্লাহ আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, সুবিচার ও সৌজন্যের। যাকে আল কুরআন বলেছে, আদল ও ইহসান। এ দু’টি সমন্বয় করে আপনার স্ত্রীকেও সংসারে অংশীদার হয়ে থাকতে হবে। বাকি সমন্বয় করার দায়িত্ব আপনার। তবে, মায়ের যেন কষ্ট ও অবহেলা সইতে না হয়।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।