Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটের হার না মানা জয়

ইমরান মাহমুদ, চট্টগ্রাম থেকে | প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:১০ এএম

সহজেই অনুমেয় ছিল ব্যাটিং সহায়ক হবে চট্টগ্রামের উইকেট। সেই সুযোগ ভালোভাবেই কাজে লাগালো সিলেট সিক্সার্স। উড়ন্ত সূচনা এনে দিলেন লিটন দাস। মাঝে দলকে টানলেন জেসন রয়। শেষ দিকে ঝড় তুললেন সোহেল তানভির। তাতে নতুন অধিনায়ক অলক কাপালীর অধীনে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে লড়াইয়ের পুঁজি পায় তলানীর দলটি। বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে ১৮০ রান করে সিলেট।
তবে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে ভোল পাল্টানো উইকেটে হোঁচট খেয়েছে রাজশাহী। পারেননি উড়তে থাকা লরি ইভান্স, বাকিদের আসা যাওয়ার মিছিলে লড়লেন কেবল প্রথমবারের মত বিপিএলে দলের হয়ে নামা ফললে মাহমুদ রাব্বি। তাতে ব্যবধান কমেছে মাত্র হার এড়াতে পারেনি মেহেদী হাসান মিরাজের দল। সোহেল তানভীর, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ নওয়াজ আর কাপালীদের বোলিং দৃঢ়তায় ১০ বল আগেই ১০৪ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস। ৭৬ রানের বিশাল জয় পায় সিলেট।
গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাব্বির রহমানকে হারায় সিলেট। রাজশাহীর সফল রিভিউয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। শুরু থেকে বোলারদের ওপর চড়াও হওয়া লিটনকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি মুস্তাফিজুর রহমান। তৃতীয় উইকেটে আফিফ হোসেনের সঙ্গে ৬২ রানের জুটিতে দলকে দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড় করান রয়। ২৮ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪২ রান করা ইংলিশ বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে থামান সেকুগে প্রসন্ন।
রয়ের বিদায়ের পর ভাটা পড়ে রানের গতিতে। অনেকটা সময় ক্রিজে কাটানো আফিফ হোসেন ধ্রুব ফিরেন স্টাম্পড হয়ে। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ২৯ বলে করেন ২৮ রান। দুই ছক্কায় ১৮ বলে ১৯ রান করে বিদায় নেন নিকোলাস পুরান। এক ছক্কায় ১১ রান করে ফিরেন মোহাম্মদ নওয়াজ। শেষের দিকে ১০ বলে চারটি চারে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তানভির। আর তাতেই চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য পায় সিলেট।
১৮১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৪৫ রানেই তিনটি উইকেট হারায় রাজশাহী। লরি ইভান্স ১, মুমিনুল হক ৫ ও রায়ান টেন ডেসকাটে ১২ রান তুলে বিদায় নেন। এরপর ফজলে মাহমুদ ও জাকির হোসেন মিলে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ৮১ রানে তাসকিনের বলে জেসন রয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন ১৬ রান করা জাকির হোসেন।
এরপর একদিক থেকে দলের হাল ধরে অর্ধশতক তুলে নেন ফজলে মাহমুদ। তবে দলীয় ৮৮ রানে ৪১ বলে ৬ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ব্যক্তিগত ৫০ রানে ফেরেন তিনি। আর তাতেই ব্যাটিংয়ে ধ্বস নামে রাজশাহীর। শেষ দিকে আর কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেনি। তাতেই ১০৪ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস।
সিলেটের মোহাম্মদ নওয়াজ ও সোহেল তানভীর ৩টি করে উইকেট নেন। এছাড়াও তাসকিন আহমেদ ও অধিনায়ক অলক কাপালি ২টি করে উইকেট নেন। অলরাউন্ড পারফর্ম করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন সোহেল তানভীর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
সিলেট সিক্সার্স : ২০ ওভারে ১৮০/৬ (লিটন ২৪, সাব্বির ১, রয় ৪২, আফিফ ২৮, পুরান ১৯, কাপালী ১৬*, নওয়াজ ১১, তানভির ২৩*; রাব্বি ৪-০-৩৩-১, সানি ৩-০-৩৪-১, মুস্তাফিজ ৪-০-৪৩-২, মিরাজ ৪-০-২৮-০, প্রসন্ন ২-০-১৭-১, ডেসকাট ৩-০-১৭-১)।
রাজশাহী কিংস : ১৮.২ ওভারে ১০৪ (ইভান্স ১, মুমিনুল ৫, মাহমুদ ৫০, ডেসকাট ১২, জাকির ১৬, ইয়ঙ্কার ১, প্রসন্ন ২, মিরাজ ১, সানি ৮, রাব্বি ২, মুস্তাফিজ ১*; তানভির ৪-০-১৭-৩, ইবাদত ৩-০-১৮-০, তাসকিন ৩-০-২০-২, নওয়াজ ৪-০-২২-৩, কাপালী ২.২-০-১৫-২, আফিফ ২-০-৯-০)।
ফল : সিলেট সিক্সার্স ৭৬ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : সোহেল তানভীর (সিলেট)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিলেটের হার না মানা জয়

২৬ জানুয়ারি, ২০১৯
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ