পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বগুড়ার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ইয়ার্ডে থাকা ওয়াগান নিলামে বিক্রি করা হচ্ছে। ওয়াগনগুলোর ওজনে কারচুপি ও নিলামকারীর কাছে অতিরিক্ত মালামাল সরবরাহ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কতিপয় রেল কর্মকর্তা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
নিলামের মালামাল সরবরাহের সময় রেলের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাসহ বিক্রয় কমিটির লোকজনের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারনে দায়িত্বশীল কেউই উপস্থিত থাকছেন না। একমাত্র রেলের পক্ষ থেকে দেখাশোনার জন্য সাঈদ নামের রেলওয়ের এক হিসাব রক্ষক উপস্থিত থাকছেন। তবে তার সামনেই ইচ্ছামত ওয়াগান কেটে নিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠানের লোকজন। শুধু তাই নয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়মের বাইরে নিজেদের ইচ্ছেমতো মালামাল কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় কয়েকজন জানান, অতিরিক্ত মালামাল নেওয়ার সময় রেলের হিসাব রক্ষক সাঈদ রহস্যজনকভাবে নীরব থেকে ঠিকাদারের লোকজনকে সহযোগিতা করছেন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল সিওএস-পশ্চিম-রাজশাহীর পত্রসেল নম্বর ২০১৮-০৮ তারিখ ২৯-১০-২০১৮ দপ্তরের পত্র নম্বর এস-২০১৮/৩৬ তারিখ ০৫-১১-২০১৮ এর দরপত্রের বিক্রয় আদেশ মূলে চট্টগ্রামের পাথরঘাটার মেসার্স মঈন উদ্দীন জাভেদ ট্রেডার্স মিটারগেজের এমজি ৩৭টি ও ব্রডগেজের ৩৯ মিলে মোট ৭৬ টি ওয়াগান কেটে সরবরাহের জন্য মোঃ আব্দুল হামিদ সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক পক্ষে জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক সৈয়দপুকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এই আদেশের প্রেক্ষিতে সান্তাহার স্টেশন ইয়ার্ডে রক্ষিত উল্লেখিত ওয়াগানগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ের একাধিক কর্মচারী জানান, দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্তা ব্যক্তিদের সাথে ক্রেতা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যোগসাজস করে নির্দ্দিষ্ট মালমাল এর পরিমানের চেয়ে অনেক বেশি পরিমান মালামাল নিয়ে যাচ্ছে। ওয়াগানের শুধু প্লেট সরবরাহের কথা রয়েছে। স্লিপ্রং, সোরপ্লেট,স্কেলবক্স, এক্সেলগার্ড, দরজা সরবরাহ করার কথা না থাকলেও সেগুলোও নিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন।
এছাড়াও মিটারগেজ ওয়াগানের গায়ে ৭ টন ওজন লেখা থাকলেও সেগুলো মাত্র ২ টন ওজন ধরা হচ্ছে। আর একটি ওয়াগন মাত্র ২৬ লাখ টাকা হিসাবে নিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এ হিসাবে ৩৭টি ওয়াগান নিলামে বিক্রি করা হয়েছে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে। একইভাবে ব্রডগেজের ওয়াগনের গায়ে ১০টন ওজন লেখা থাকলেও সেগুলোর ওজন ধরা হচ্ছে ৪ টন। রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি বছরই এমন নিলামে ওয়াগনসহ রেলের মূল্যবান মালামাল বিক্রি করা হয়। এই নিলাম বিজ্ঞপ্তি কখন কোন সময় কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, তা কেউই বলতে চান না। শুধু মালামাল সরবরাহ নেওয়ার সময় ঠিকাদারের লোকজনের সাথে ক্যারেজ বিভাগের লোকজনকেও কাজ করতে দেখা যায়। এবারও তাই হচ্ছে। এ বিষয়ে সান্তাহার ক্যারেজ বিভাগের উর্ধতন উপ-সহকারি প্রকৌশলী আনছার আলি মৃধার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অতিরিক্ত মালামাল প্রদানের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, নিয়ম অনুসরণ করেই ক্রেতাকে মালামাল সরবরাহ করা হচ্ছে। ক্রেতার প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নাম প্রকাশ ও কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সব দায়িত্ব পালন করছেন রেলের হিসাব রক্ষক সাঈদ। তবে হিসাব রক্ষক সাঈদের সাথে কথা বলার জন্য কয়েকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যখন সবাই ব্যস্ত, ঠিক সেই সময়ে নিলামে এই ওয়াগান বিক্রি রহস্যজনক বলে মনে করছেন রেল বিভাগের সচেতন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তারা এ ব্যাপারে রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।