পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিরাজগঞ্জ থেকে সৈয়দ শামীম শিরাজী : সিরাজগঞ্জ জেলায় মানব ও গবাদি পশুর মাঝে আবারো দেখা দিয়েছে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রাদুর্ভাব। ইতিমধ্যেই জেলার কামারখন্দ ও শাহজাদপুর উপজেলায় নারী ও শিশুসহ অ্যানথ্রাক্স (তড়কা) রোগে আক্রান্ত ৪০জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরও গবাদি পশুর শরীরে এ্যানথ্রাক্স ভ্যাকসিন দেয়ার পাশাপাশি শুরু করেছেন জনসচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি।
শাহজাদপুর ও কামারখন্দ উপজেলার শিশু ও নারীসহ ৪০ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। স্থানীয়ভাবে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেবার পর ঢাকার রোগ তত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর (আইইডিসিআর) প্রতিনিধিদল গত ৬ মে থেকে আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে রোগটি অ্যানথ্রাক্স নিশ্চিত করে পরীক্ষার করার জন্য আক্রান্ত পশুর মাংস ও নমুনা নিয়ে গেছেন।
অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরু ও ছাগলের মাংস কাটা ও খাওয়ার কারণে গত দুই সপ্তাহ ধরে কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল গ্রামে ও শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নে এ রোগের প্রাদুভার্ব দেখা দেয়।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার ডা. ইমান আলী জানান, প্রায় এক মাসের ব্যবধানে শাহজাদপুরের কৈজুরী ইউনিয়নের ৩/৪টি গ্রামে অসুস্থ ষাঁড় ও ছাগল জবাই করার পর ওই এলাকায় এ রোগ দেখা দেয়। এছাড়া তিনটি অসুস্থ গরু জবাই করে খাওয়ায় কামারখন্দের জামতৈল এলাকায় এ রোগ দেখা দিয়েছে। ষাড়টির মাংস কাটা ও রান্নার কাজের সাথে জড়িতরাই এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য বিভাগের একটি মেডিকেল টিম আক্রান্ত এলাকায় কাজ করছে। তারা আক্রান্তদের বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ ও জনগণকে সচেতন করতে লিফলেট বিলি করছেন।
জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আকতারুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, একদিকে গবাদি পশুর সংখ্যা বেশি অন্যদিকে গবাদি পশু পালনকারিদের অসতর্কতার কারনে প্রতিবছর সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে এ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত হচ্ছে। প্রাণি সম্পদ বিভাগ জেলাব্যাপী রিং ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এছাড়া অসুস্থ প্রাণি জবাই ও খাওয়া বন্ধ, মৃত গরুকে ৬ ফুট মাটির নিচে পুতে রাখাসহ জনসচেতনতা তৈরিতে কাজ শুরু করা হয়েছে এবং ওই এলাকাগুলোতে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি চলছে।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ শহীদ সাদিকুল ইসলাম জানান, আক্রান্ত এলাকায় ঢাকার টিমের পাশাপাশি সিরাজগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ একযোগে কাজ করছে। আক্রান্ত এলাকায় জনসাধারণদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করা হচ্ছে। যত্রতত্র গরু-ছাগল জবাই ও আক্রান্ত পশুদের জবাই না করার পদক্ষে গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে জনস্বাস্থ্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের যৌথ উদ্দ্যোগে গবাদি পশু সমৃদ্ধ সিরাজগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করবে বলে সিরাজগঞ্জবাসী মনে করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।