Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খালেদা জিয়ার ক্ষোভ আদালতে বসা নিয়ে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

গ্যাটকো মামলার চার্জ গঠনের শুনানিতে হাজির করা বিএনপি চেয়ারপারসন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আদালতে তাকে বসানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিচারককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, ‘আমি তো কিছুই দেখছি না। আমি তো আপনাকেও (বিচারক) দেখছি না। এই দেয়াল তো এর আগে ছিল না, এখন কোথা থেকে এলো। আমি এখানে থাকব না, আমি এখান থেকে চলে যাব।’ গতকাল আদালতে প্রবেশ করার পর তিনিএসব কথা বলেন। আদালতে যেখানে খালেদা জিয়াকে বসানো হয়, তা নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
খালেদা জিয়ার বক্তব্যের পর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হাসেন বলেন, বসার জন্য আগামীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। অতপর শুনানি শুরু হয়। পুরান ঢাকার পুরনো কারাগার থেকে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে বেগম খালেদা জিয়াকে হুইল চেয়ারে করে আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতে এজলাসের বামপাশে পেশকারের পেছনে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় বেগম খালেদা জিয়াকে বসানো হয়। এতে অসস্তোষ প্রকাশ করে বিচারককে উদ্দেশ করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, আমাকে কাঠগড়ায় ঢোকাতে চাচ্ছেন? এতেও আমি রাজি আছি। এ সময় বারবারই বেগম খালেদা জিয়াকে বলতে শোনা যায়- আমি এখান থেকে কিছুই দেখতে পারছি না। বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, আমিনুল ইসলাম ও মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বিচারককে বলেন, কেন তাকে (খালেদা জিয়া) পৃথক করছেন? আপনি সিদ্ধান্ত দিয়ে তাকে সামনে নিয়ে আসেন। তাকে পৃথক রাখার কোনো সুযোগ নেই। এ সময় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আদালত তো এভাবেই নির্মিত। নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে ওই জায়গায় বসানো হয়েছে।
এ সময় বিচারক বলেন, আমি তো আজ নতুন। বিষয়টি আমি দেখব। আজ এখানেই থাকুক। গতকাল গ্যাটকো মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। শুনানী শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।
প্রসঙ্গত ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী সাবেক চার দলীয় জোট সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।



 

Show all comments
  • abir ২৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:০০ এএম says : 0
    প্রবাদ আছে,'পড়ন্ত সূর্যকে কেউই প্রণাম করে না'!
    Total Reply(0) Reply
  • সজীব ২৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:০১ এএম says : 0
    যে হেনস্তা বেগম জিয়াকে করা হচ্ছে, সেটা একজন কট্টর লীগার হয়েও আমি মানতে পারছি না। একজন বয়স্ক মহিলা, সর্বপরি একজন মা। আমাদের এখন উচিত পলিটিক্যাল ইন্টারফেয়ার করে হলেও উনার জামিনের ব্যবস্থা করা। উনার দলব বিএনপি উনাকে বের করতে পারবে না, এই ক্ষমতা উনাদের নেই, কিন্তু তাই বলে উনাকে এভাবে জেলে রাখার পক্ষপাতী নয়। প্রয়োজন হলে কোন একটা বাসায় রাখা হোক, নজরবন্দী করা হোক, কিন্তু একজন পরিচারিকা সহ উনাকে জেলে রাখা ঠিক হচ্ছে না। এখন উনার নাতি নাতনি দের সাথে সময় কাটানোর বয়স, তার উপর কোকো মারা গেছেন, আমি আমাদের জননেত্রীর শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন করছি খালেদা জিয়াকে জামিনের ব্যবস্থা করার জন্য। এমনকি আমি চেষ্টা করবো এই আবেদন নেত্রীর কান পর্যন্ত পৌছানোর।
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:০২ এএম says : 0
    This Khaleda Zia one day before 21 August 2004 incident while delivering a speech said that the AL even could not be the opposite party. Now I think that BNP even cannot be the opposite party. That's karma.
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:০২ এএম says : 0
    দয়া করে আর আমাদের মাকে কষ্ট দিয়েন না তাকে জামিন দেন তাকে মুক্ত করে দেন আমাদের জেলে নেন তাও আমার মাকে মুক্তি দেন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়ার ক্ষোভ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ