পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি বছর ঢাকার অদূরে টঙ্গী ময়দানে তাবলীগ জামাতের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। দেশের ভাবমর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে এবার দুই দফায় নয়, এক পর্বেই অনুষ্ঠিত হবে ইজতেমা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল আবেদীন, ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান এবং ইজতেমার বিবদমান উভয় পক্ষের মুরব্বি মাওলানা জোবায়ের, মাওলানা ওমর ফারুক, মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তবে আখেরি মোনাজাত কে পরিচালনা করবেন অথবা দিল্লি থেকে মাওলানা সা’দ ইজতেমায় আসবেন কি না সে বিষয়ে বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এবারের শান্তিপূর্ণ বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি মেহমানগণও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবেন বলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে কোনো বিভক্তি দেখতে চান না। অতীতের মতো এবার উভয় গ্রুপের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধভাবে বিশ্ব ইজতেমা পালন করা হবে ইনশাআল্লাহ। প্রতিমন্ত্রী আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে বলেন, ইজতেমা নিয়ে আর কোনো বিভক্তি হতে দেয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রীর সর্বপ্রকার পদক্ষেপের মাধ্যমেই ইজতেমা নিয়ে সৃষ্ট সঙ্কট নিরসন করা হয়েছে। তিনি বলেন, উভয় গ্রুপের শর্তাবলি মীমাংসার মধ্য দিয়ে অত্যান্ত সন্তোষজনক আলোচনার ভিত্তিতেই ইজতেমার তারিখ ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, দিল্লির মাওলানা সা’দ আসার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ব্যাপারে সরকারের কোনো বাধা নেই। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার আসার বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করবে। তিনি বলেন, ইসলামের জন্য বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় অবদান বিশ্ব ইজতেমার ময়দানের জমি ও কাকরাইল মসজিদের জমি বরাদ্দ দিয়ে গেছেন। এই বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি আঘাত হানা হবে। বিশ্ব ইজতেমার ময়দানের বৃহৎ প্যান্ডেল তৈরির কাজ উভয় গ্রুপই সম্মিলিতভাবে করবে বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি ইসলাম ধর্মেরও উন্নয়ন ঘটছে।
উল্লেখ্য, বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তাবলীগ জামাতের দ্ব›দ্ব নিরসনে বিবদমান দুই পক্ষকে এক করা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে দুই পক্ষ এক হয়ে ইজতেমা আয়োজন করবে বলে একমত হয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহর উপস্থিতিতে তাবলীগ নেতাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। বৈঠকে তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষে নেতৃত্ব দেন মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা ওয়াসিফুল।
ওই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাবলীগের দুই পক্ষকে এক করা হয়েছে। তারা এক হয়ে এবার ইজতেমা আয়োজন করবে। ইজতেমা ঘিরে থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
বুধবারের বৈঠক শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, তাবলীগ জামাতের দুটি পক্ষ ও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ এবং ইজতেমা নিয়ে রিট করার বিষয়টি তাদের কলঙ্কিত করেছে। তাবলীগ সম্পর্কে মানুষের ধারণাকে আঘাত করেছে। রিট করার বিষয়টি দেশে-বিদেশে সমালোচিতও হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।