পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার বিএনপিকে বিভক্ত ও দূর্বল করতে চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজকে অনেক চক্রান্ত শুরু হয়েছে। সেই চক্রান্তগুলো হচ্ছে বিএনপিকে দূর্বল করার জন্য। এর আগেও এই চেষ্টা করা হয়েছে। বিএনপিকে বিভক্ত করে তার শক্তিকে ছোট করে দেয়ার জন্য। কিন্তু আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, কোনোদিনই তারা (সরকার) সেটা পারবে না। যতবার বিপর্যয় এসেছে ততবার বিএনপি সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ফিনিক্স পাখির মতোই জেগে উঠেছে এবং নতুন জীবন লাভ করেছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আরাফাত রহমান কোকোর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক মিলাদ মাহফিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের রাজনীতিকে বুঝে সেই রাজনীতির পক্ষে আমাদেরকে অত্যন্ত শক্তভাবে অবস্থান নিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে যেতে হবে, বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদীর রাজনীতিকে ধারণ করে। সেজন্যেই বিএনপির প্রতি তাদের এতো দূর্বলতা, বিএনপিকে তারা ভালোভাবে। সেই ভালোবাসাকে কাজে লাগিয়ে বিএনপিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে, দেশপ্রেমিক শক্তিগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে এবং গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিগুলোকে শক্তিশালী করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ভয়াবহ যে দানব গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে, আমার স্বাধীনতাকে বিপন্ন করছে। তারা আজকে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তাদেরকে পরাজিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে। তারা এখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেজন্য তারা একের পর এক গণবিরোধী কাজগুলো করে চলেছে। আমরা একদিকে আরাফাত রহমান কোকোর রুহে মাগফেরাত কামনা করবো, তাকে স্মরণ করবো। অন্যদিকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য অতিদ্রুত আমরা সংগঠিত হয়ে তাকে মুক্ত করে নিয়ে আসবো ইনশাল্লাহ, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসবো।
মিলাদে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শিরিন সুলতানা, মীর নেওয়াজ আলী, হালিমা নেওয়াজ আরলি প্রমূখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে বনানী কবরস্থানে আরাফাত রহমান কোকোর কবরে গিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ, জিয়ারত, দোয়া-মাহফিল করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতারা। এ সময়ে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুল লতিফ খান, আব্দুল কুদ্দুস, যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় নেতা নুরী আরা সাফা, তাবিথ আউয়াল, হেলেন জেরিন খান, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার, প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি ৪৫ বছর বয়সে মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। পরে লাশ মালয়েশিয়া থেকে ২৮ জানুয়ারি ঢাকায় এনে বনানীতে দাফন করা হয়।
এদিকে সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়েও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে দলের নেতাকর্মীরা। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, সন্ধ্যায় গুলশান বিএনপি কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ মাহফিলে আয়োজন করা হয়। এতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। এরপর আইনজীবীদের উদ্যোগেও কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
কোকোর মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেছেন, আরাফাত রহমান কোকো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান হয়েও ছিলেন সাদাসিধে জীবন যাপনে অভ্যস্ত। তিনি অত্যন্ত বিনয়ী, প্রচারবিমূখ এবং নিরহংকারী ব্যক্তি ছিলেন। সরকারের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনেই তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি গতকাল (বৃহস্পতিবার) নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে আরাফাত রহমান কোকোর ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
এ উপলক্ষে বাদে আছর দলীয় কার্যালয় জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মাহফিলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের আশু রোগ মুক্তি, সুস্বাস্থ্য কামনা এবং শহীদ জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। জামে মসজিদের খতীব মাওলানা এহসানুল হক দোয়া ও মিলাদ পরিচালনা করেন। স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, মনজুর রহমান চৌধুরী, মোঃ সেকান্দর, মোঃ ইদ্রিস আলী, এস এম মফিজ উল্লাহ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।