পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এক সময়ের গ্রামের অন্যতম প্রধান সড়কটির আজ অস্তিত্ব নেই। সড়কের শুরু আর শেষের অংশে কিছুটা অস্তিত্ব দেখা মিললেও বাকী অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অবাধে মাছের চাষের সাথে যথাসময়ে সংষ্কার না করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কেরোয়া গ্রাম পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ডাকাতিয়া নদীর পাড়ই ছিলো এই সড়কটি। কেরোয়া, মিরপুর, সাহাপুর, খুরুমখালী, কড়ৈতলী গ্রামের মানুষের চলাচলের অন্যতম সড়ক ছিল এটি। কালের বিবর্তনে বিকল্প সড়ক হিসেবে ফরিদগঞ্জ-চান্দ্রার বর্তমান সড়কটিও নির্মাণ হওয়ায় পুর্বের সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলেও মধ্য কেরোয়া, উত্তর কেরোয়া, কড়ৈতলী, মিরপুরের নদী তীরবর্তী মানুষ সংক্ষিপ্ত পথ হিসেবে ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরে আসার জন্য নদীর পাড়ের এই সড়ক ব্যবহার করছে। ফরিদগঞ্জ এ.আর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ফরিদগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসা এবং ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরাও স্বল্প সময়ে পায়ে হেটে গন্তেব্যে পৌঁছতে পারতো। গত দুই দশকে মূল সড়কটি ক্রমশ: উন্নত হলেও নদীর পাড় ঘেঁষে উক্ত সড়কটি আর পুনঃনির্মাণ করা হয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিগত ২৫-৩০ বছরের ধরে অনিয়ন্ত্রিত মাছ চাষে সড়কটি ভাঙনের মুখে পড়লেও মাছচাষীরা সড়কটি সংষ্কার করেনি। কয়েকটি স্থানে এই কারণে নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে অনেকের বসত ভিটা ছুঁই ছুঁই করছে। আবার প্রায় ১০টি স্থানে গর্ত করে বালু উত্তোলণ করেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। নদীটি মৎস্যচাষীদের কাছে খুবই লোভনীয়। সড়ক পুননির্মাণে বেশ কয়েকটি সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। পৌর এলাকায় পড়লেও নদীর তীর ঘেষে তৈরি হওয়া বাড়িগুলো থেকে বের হওয়ার রাস্তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ।
সাবেক কাউন্সিলার আবুল হাসেম জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই বাঁধ কাম সড়কটির বর্তমানে কেরোয়া গ্রামের পুরান পাটোয়ারী বাড়ি ও দাসবাড়ির কাছ দিয়ে কিছুটা নমুনা আছে। কিন্তু বাকিটুকু সম্প‚র্ণ বিলীন হয়ে গেছে। ইউপি সদস্য থাকাকালীন গম বরাদ্দকৃত সামান্য অর্থ দিয়ে মাটি কাটালেও রাস্তাটি এখন সম্প‚র্ণ নদীতে চলে গেছে। পল্লী চিকিৎসক দেলোয়ার বলেন, ছোলেবেলায় এই রাস্তা দিয়ে ফরিদগঞ্জ বাজারে আসা যাওয়া করেছি। দুই পাড়ে খেজুর গাছ, তাল গাছ, কলাগাছ ছিল এখন আর কিছুই নাই।
স্থানীয় কাদির বেপারী জানান, সড়কটি ভেঙে আমাদের বাড়ি ঘর জমি, কবরস্থান, নি:শেষ হয়ে গেছে। সরকার রাস্তাটি পুননির্মাণ করলে আমাদের উপকার হবে।
স্থানীয় বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলার হারুনুর রশিদ জানান, এই সড়কটি কেরোয়াসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজার মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পূর্ব পাকিন্তানের সময়ে এবং পরবর্তীতে ১৯৭২-৭৩ সালে তৎকালীন সরকার কেয়ার কোম্পানির মাধ্যমে ৮-১০ ফুট প্রশস্থ সড়কটি নির্মাণ করে। কিন্ত এর পর থেকে আর কোন উন্নয়ন কাজ না হওয়ায় এবং প্রতিনিয়ত পাশে মাছের চাষ হওয়ায় বর্তমানে সড়কটির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।