পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, এই মন্ত্রণালয়ে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দেখতে চাই না। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনজি তিরিংকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। কিন্তু বিনিয়োগ করতে পথে পথে অনেক বাধা। এ দফতর, সেই দফতর। ইজ অব ডুয়িং বিজনেসে পিছিয়ে পড়া সমস্যা। ইতোমধ্যে ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সহজীকরণ নিয়ে একটা মিটিং হয়েছে। আগামী মার্চে আরও একটি মিটিং হবে।
টিপু মুন্শি বলেন, আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছি। সোজা কথা লাল ফিতার কাজের মধ্যে আমি নেই। আমিতো গায়ে খাটা মানুষ। লাল ফিতা দেখলেই আমার মাথা গরম হয়ে যায়। কাজ আটকে থাকবে কেনো? যে কাজ আজকে করা সম্ভব, কালকের জন্য সেটা অপেক্ষা করব কেন? তিনি বলেন, এ জন্য আমাকেও একটু স্টাডি করতে হবে। লাল ফিতাটা কতটা গভীরে সেটাও দেখতে হবে। আমরা চাই আমাদের দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আসুক। আমরা এ জন্য সবকিছু সহজ করতে চাই। এখানে বিনিয়োগ করে রিটার্ন নিয়ে যাওয়ায়ও অনেক বাধা আছে বলে বিদেশিরা বলছে। আমি একটা একটা করে দেখতে চাই কোথায় বাধা রয়েছে। এগুলো কীভাবে দূর করা যায় সেটা দেখছি। যারা এ দেশে বিনিয়োগ করবে তারাতো লাভ নিয়ে যাবেই। বাধা দেয়া হলে তো তারা নিরুৎসাহিত হবে। এ বিষয়ে আমাদের কমিটিও কাজ করছে। দেখা যাক কী হয়।
ইইউর বাজারে ২০২০ সালে জিএসপি রিভিউ করতে হবে এ জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে আপনি কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছেন কিনা-জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, জীবনেতো প্রতিদিনই চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আসছি। আমি মনে করি ইইউ আমাদের দীর্ঘমেয়াদি বন্ধু। জিএসপি রিভিউতে আমাদের তেমন কোনো সমস্যা হবে না।
বেক্সিটের কারণে বাংলাদেশ সমস্যার পড়বে কিনা- জানতে চাইলে ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনজি তিরিং বলেন, বেক্সিট হলেও ২৭ দেশে নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থাকছে। ফলে ইউইর পলিসিতে তেমন কোনো চেঞ্জ আসবে না। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউর ব্যবসা-বাণিজ্যে তেমন কোনো পরিবর্তন আসার কথা নয়।
সম্প্রতি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেতন নিয়ে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো সে বিষয়ে টিপু মুন্শি বলেন, শ্রমিক কর্মপরিবেশসহ সবকিছু কমপ্লায়েন্স রাখতে হবে। এজন্য অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স ও আইএলও কাজ করছে। এ কাজ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান আরসিসি পরিপূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করলে অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স চলে যাবে। এদিকে বাংলাদেশ চশমা শিল্প ও বণিক সমিতির আয়োজিত আন্তর্জাতিক চশমা মেলা ‘বাংলা অফটিকা-২০১৯’ এর উদ্বোধনীতে অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমদানি নির্ভর না থেকে দেশেই চশমা তৈরী করতে হবে। চশমা একটি জরুরি পণ্য। এর চাহিদাও প্রচুর। এ চাহিদা মিটাতে প্রায় পুরোটাই আমদানি করে চাহিদা পূরণ করতে হয়। নিজেদের চাহিদা মিটানোর জন্য প্রয়োজনীয় চশমা উৎপাদন করতে হবে, রপ্তানিও করা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজনী সহাযোগিতা দিবে সরকার। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নত বিশে^ তৈরী পোশাক রপ্তানি করে সুনাম অর্জন করেছে। উদ্যোগ নিলে চশমা উৎপাদন করা কোন কঠিন কাজ হবে না। প্রয়োজনে কাঁচা আমদানি করে দেশেই চশমা উৎপাদন করতে হবে। আমাদের অনেক দক্ষ জনশক্তি রয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেন, সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিতে হবে। বর্তমান শেখ হাসিনার সরকারকে বলা হয়, ব্যবসা বান্ধব সরকার। এর সুযোগ চশমা ব্যবসায়ীরাও নিতে পারেন।
বাংলাদেশ চশমা শিল্প ও বণিক সমিতির প্রেসিডেন্ট মো. সানাউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমই এর সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ চশমা শিল্প ও বণিক সমিতির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক জুয়েল, ভারতের লেন্স টেক অফটিক্যাল লি. এর পরিচালক নোবিন গাইরোলা, সমিতির সিনিযর সহ-সভাপতি শেখ নূরুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।