Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসি সাত দিনের মধ্যে ব্যয়ের হিসাব চায়

সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার সময় আছে আর মাত্র ৭ দিন। আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে এ হিসাব দিতে হবে।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৯টি নিবন্ধিত দলই অংশ নেয়। মোট ১ হাজার ৮৬১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। এর মধ্যে মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৭৩৩ জন। আার স্বতন্ত্র প্রার্থী ১২৮ জন। গতকাল বুধবার ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সকল প্রার্থীকেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে। অন্যথায় আইনে নির্ধারিত শাস্তি অনুযায়ী জেল-জরিমানা হতে পারে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, নির্বাচন ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে প্রার্থীদের ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হয়। গত ১ জানুয়ারি ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এ হিসেবে আগামী ৩০ জানুয়ারি ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার শেষ সময়। একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর জন্য ভোটার প্রতি গড় ব্যয় ১০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। তবে কোনো আসনের ভোটার সংখ্যার আধিক্যের কারণে মোট ব্যয় ২৫ লাখ টাকার বেশি হতে পারবে না। কোনো প্রার্থী নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব নির্ধারিত সময়ে মধ্যে নির্বাচন কমিশনে জমা না দিলে বা কমিশন নির্ধারিত অঙ্কের বেশি ব্যয় করলে তার বিরুদ্ধে আরপিওতে জেল, জরিমানার বিধান রয়েছে। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যথাসময়ে ব্যয়ের হিসাব না দেওয়ায়, তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলো ইসি।সে সময় ভোটার প্রতি ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮ টাকা। যদিও সেবারও সর্বোচ্চ ব্যয় ছিল ২৫ লাখ টাকা।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছিলেন। সবচেয়ে বেশি ভোটার সংখ্যা ছিল ঢাকা-১৯ আসনে। এখানে মোট ভোটার ৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩০১ জন। সবচেয়ে কম ভোটার ছিল ঝালকাঠি-১ আসনে। এই আসনে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭৮ হাজার ৭৮৫ জন। ভোটার সংখ্যা যেমনই হোক না কেন, প্রার্থীর ব্যয় ২৫ লাখ টাকার বেশি হবে না। প্রার্থী এই ব্যয় করবেন তার এজেন্টের মাধ্যমে। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের সময় প্রার্থীর ভোটার প্রতি গড় ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৫ টাকা। আর সর্বোচ্চ ব্যয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিলো ১৫ লাখ টাকা।
গত ৩০ ডিসেম্বর ২৯৯ আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ায় সেখানে পুনর্ভোটের পর ৯ জানুয়ারি ফল ঘোষণা করা হয়। আর গাইবান্ধা-৩ আসনে একজন প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সেখানে পুনর্তফসিল অনুযায়ী ২৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ