পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন , ৩০ ডিসেম্বর দেশে প্রকৃত পক্ষে কোন নির্বাচনই হয়নি, হয়েছে নির্বাচনের নামে প্রহসন । ওই নির্বাচন আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছি । এই নির্বাচনী প্রহসন প্রমাণ করেছে , ১৪ সালে নির্বাচনে বিএনপি তথা ২০ দলের অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক । তিনি বলেন , আমার কাছে কারাবন্দী নেত্রীর নির্দেশনা এসেছে , নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে । সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভেদাভেদ ভুলে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে । ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্ট এবং এর বাইরে যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে ,তাদের সবাইকে সাথে নিয়ে গড়ে তুলতে হবে বৃহত্তর ঐক্য । এই মুহূর্তে দেশকে গণতন্ত্রের ধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করায় হবে আগামী দিনে আমাদের মুল কাজ ।’
মীর্জা ফখরুল বুধবার বেলা ১টায় রংপুর ঢাকা মহাসড়কে বগুড়ার হোটেল মম ইন এর কনফারেন্স রুমে বগুড়া সদর বিএনপি আয়োজিত স্থানীয় নেতা কর্মিদের সাথে এক শুভেচ্ছা সভায় এই আহ্বান জানান। বগুড়া সদর থানা বিএনপি সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেলের পরিচালনায় আয়োজিত এই সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপি সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম । সভায় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চান, সাবেক সভাপতি পৌর মেয়র এ্যাডঃ মাহবুবুর রহমান , সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জি এম সিরাজ .ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ।
শুভেচ্ছা সভায় মীর্জা ফখরুল বলেন, দেশে এখন এক অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে । দেশের গণতন্ত্র প্রিয় মানুষ , মন খুলে কথা পর্যন্ত বলতে পারছেনা। নির্বাচনের আগে সারাদেশে দলের নেতা কর্মিদের ওপর যে দমন পীড়ন অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে , নির্বাচনের পরও তা’ অব্যাহত রয়েছে । এখন কোথাও কোথাও বিএনপি নেতা কর্মিদের দোকানপাটও দখল করা হচ্ছে । তিনি বলেন , নির্বাচনে তথাকথিত মহা বিজয়ের পর আওয়ামীলীগ বড়বড় কথা বললেও প্রকৃত পক্ষে তারা জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে । নোয়াখালীর সুবর্ণচরের ধর্ষিতা নারীকে দেখেতে গেলে হাসপাতালে এত মানুষ উপস্থিত হয় যে সেখানে তিল ধারণের ঠাঁই ছিলনা। নোয়াখালী সহ যেখানেই গিয়েছি , সেখানেই নেমেছে জনতার ঢল। এবারের ভোটে অনেক আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীও ভোট দিতে পারেনি। গণতন্ত্র ও ভোট প্রিয় ৯৯ শতাংশ মানুষই এখন আওয়ামীলীগের বিপক্ষে চলে গেছে ।
তিনি বলেন , গ্লোবাল পলিটিক্সে এখন গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রের সংজ্ঞা পাল্টে গেছে। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে আমাদের নতুন করে পথ চলা ঠিক করতে হবে । শহীদ জিয়ার দেখানো বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের রাজনীতির বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের দলকে জেলা , উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দলকে শক্তিশালী করতে হবে ।’
মীর্জা ফখরুল ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় ফেরার পথে অনুষ্ঠিত এই সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।