Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচন মনিটরিংয়ে অংশ নিয়ে কোনো কোনো পর্যবেক্ষক অনুতপ্ত

রয়টার্সের প্রতিবেদন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যুক্ত হয়ে অনুতপ্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন নামের একটি পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধান ও তাদের একজন বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী। নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও তারা সন্দেহ পোষণ করেন। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের প্রধান মোহাম্মদ আব্দুস সালাম বলেন, নির্বাচনের আগে রাতে আওয়ামী লীগের কর্মীরা ব্যালট বাক্স ভরে রেখেছেন এবং ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন। ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ও ভোটারদের কাছ থেকে নির্বাচনের এমন বিবরণ শোনার পর তার কাছে এখন মনে হচ্ছে, নতুন করে নির্বাচন হওয়া দরকার। সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক এই বিচারপতি ৭৫ বছর বয়সী আব্দুস সালাম বলেন, এখন আমি সবকিছু জানতে পেরেছি এবং বলতে দ্বিধা নেই, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। ফাউন্ডেশনের হয়ে কাজ করা এক কানাডীয় পর্যবেক্ষক বলেন, তার কাছে এখন মনে হচ্ছে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অংশ না নিলেই বোধ হয় ভালো হতো। নির্বাচন চলাকালীন অনিয়মের জন্য ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ।
পশ্চিমা দেশগুলোর বড় বড় ব্রান্ডের তৈরি পোশাকের গুরুত্বপূর্ণ রফতানিকারক হচ্ছে বাংলাদেশ। গার্মেন্ট পণ্য রফতানিতে চীনের পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটি।
গত সপ্তাহে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ৫০ আসনে জরিপ চালিয়ে ৪৭টিতেই অনিয়ম দেখতে পেয়েছে তারা। এতে বিশেষ করে জাল ভোট, জোর করে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরা, ভোটকেন্দ্রে বিরোধী দলীয় এজেন্ট ও ভোটারদের ঢুকতে বাধা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি জানায়, তাদের জরিপ করা সব এলাকাগুলোতে নির্বাচনী প্রচারে কেবল ক্ষমতাসীন দলটিই সক্রিয় ছিল। কখনো কখনো স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারি সম্পদের সহায়তা নেয়া হয়েছে।
বিশ্বাসযোগ্যতার অভাবের কথা বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের তদন্ত নাকচ করে দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম সংস্থাটিকে বিরোধী দল বিএনপির ‘পুতুল’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
আওয়ামী লীগ ও দলটির জোট সদস্যরা ৯৫ শতাংশ আসন নিশ্চিত করার পর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। তখন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ভোট জালিয়াতি ও ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগের তদন্তের দাবি জানিয়েছে আসছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অসন্তোষ প্রকাশ করে জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় সময়সীমার মধ্যে ভিসা ইস্যু না করায় ভোট পর্যবেক্ষণের পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে মার্কিন তহবিলের বেশকিছু পর্যবেক্ষক। ভিসা বিলম্বের অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশ সরকার বলেছে, তারা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, নির্বাচনে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনে পর্যবেক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। গত এক দশকের মধ্যে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ছিল পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক। এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট।
কানাডা, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা থেকে পর্যবেক্ষক এনেছিল সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন। নির্বাচনের দিন ও তার পরে সুন্দর পরিভাষা ব্যবহার করে নির্বাচনের স্বচ্ছতার কথা বলেছে সংস্থাটি।
নির্বাচনের বিজয় ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর নতুন বছরের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের বাসভবনে একটি সাদা রঙের গদিতে বসে সাংবাদিক ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সামনে বক্তৃতা দেন। তখন তিনি বলেন, নারী ও তরুণ প্রজন্মসহ সাধারণ মানুষ খুবই আগ্রহের সঙ্গে ভোট দিয়েছেন। আপনারা আমাদের দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসার মাধ্যমে গণতন্ত্র কীভাবে কাজ করে তা প্রদর্শনের একটা ভালো সুযোগ দিয়েছেন।
মাইক্রোফোন যখন কক্ষের ভেতর ঘুরছিল, অন্যদের সঙ্গে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনে বিজয়ের জন্য শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সউদীভিত্তিক সংস্থা ইসলামিক কো-অপারেশনের পর্যবেক্ষকরাও তখন উপস্থিত ছিলেন।
ফাউন্ডেশনের একজন প্রতিনিধি কানাডীয় নারী টানইয়া ফস্টার সবার আগে কথা বলেন। তিনি নির্বাচনকে গণতান্ত্রিক ও সুষ্ঠু বলে উল্লেখ করেন। ফস্টার বলেন, আমি মনে করছি, বাংলাদেশে কানাডার মতোই নির্বাচন হয়েছে।
যদিও ফাউন্ডেশনের নামের প্রথমাংশ ও লোগো দেখতে দক্ষিণ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশেনের (সার্ক) মতো, তবে এ দুটির মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই।
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব আবেদ আলী রয়টার্সকে বলেন, সার্কের কাছে অনুমোদন পেতে তারা আবেদন করেছেন। দ্রুতই তারা অনুমোদন পাবেন বলে আশা করছেন।
কাঠমান্ডুভিত্তিক সার্কের একজন মুখপাত্র বলেন, তিনি কখনোই আবেদ আলী কিংবা এই ধরনের কোনো ফাউন্ডেশনের নাম শোনেননি। এ ধরনের কোনো সংস্থাকে স্বীকৃতি দেয়নি সার্ক। কাজেই এ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা কমিটিতে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দুজন সংসদ সদস্যও রয়েছেন। প্যানেলে বিএনপি আমলের এক মন্ত্রীরও নাম দেখা যায়। তবে এতে বর্তমান বিরোধীদলীয় কোনো সদস্য নেই। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে এমন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ দিতে বাংলাদেশের আইনে বারণ আছে।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, আবেদ আলীর গ্রুপের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তার জানা ছিল না।
ফাউন্ডেশনের বোর্ড সদস্য হিসেবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সদস্যদের বিষয়ে জানতে চাইলে আবেদ আলী বলেন, তারা কেবল আমাদের মানবিক কার্যক্রমে সহায়তা করছেন। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমাদের সংশ্লিষ্টতা নেই।
রাজধানী ঢাকার মিরপুরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ভবনের নিচতলায় ধুলোয় ঢাকা দুটি কক্ষে ফাউন্ডেশনের মূল কার্যালয়। সংস্থাটির সভাপতি আব্দুল সালাম বলেন, তাদের পর্যবেক্ষকরা মাত্র কয়েকটি নির্বাচন কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছেন। কাজেই এতে নির্বাচন যে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে, তা পরিষ্কারভাবে মূল্যায়ন করা যায় না।
তিনি বলেন, কয়েকজন প্রিসাইডিং অফিসার তাকে বলেছেন- ব্যালট বাক্স ভরতে তাদের বাধ্য করা হয়েছে।
আব্দুস সালাম বলেন, আমি সত্য বলতে চাই। কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ পেতে আমি এসব বলছি না। তবে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সংগঠিত করতে সরাসরি জড়িত ছিলেন না বলেও জানান তিনি। মহাসচিব আবেদ আলী তার কথা নাকচ করে দিয়ে বলেন, কেউ কিছু বলছে, তার ওপর ভিত্তি করে কি আপনি কিছু লিখতে পারেন?
কানাডার সাচকাচাওয়ান প্রাদেশিক সরকারের নীতি বিশ্লেষক টানইয়া ফস্টার বলেন, কানাডায় বসবাস করা বাংলাদেশিদের কাছ থেকে তিনি শুনতে পেয়েছেন যে, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন বিদেশি পর্যবেক্ষক খুঁজছে। এটাকে একটা মজার অভিজ্ঞতা হিসেবে বিবেচনা করে আমি পর্যবেক্ষক হওয়ার যোগ্যতা জানতে চেয়েছি।
তিনি বলেন, আমি মানবাধিকার ফাউন্ডেশন ও নির্বাচন কমিশনে আবেদন করলাম। তারা আমাকে পরীক্ষা করল এবং একজন পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছে। তার মেয়ে ক্লয় ফস্টারও পর্যবেক্ষক প্যানেলে ছিল। এর আগে কোনো জাতীয় নির্বাচনে তারা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করেননি। তবে ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা ও সার্কের সঙ্গে যে এটির কোনো সম্পর্ক নেই, সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানতেন না।
তিনি বলেন, এটাকে মহান কিছু মনে হয়নি আমার। খুব সাদাসিধা মনে হয়েছে। আমাদের প্রতিবেদন যে খুবই মূল্য বহন করছে- সে সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। আমরা ৯টি ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছি। সবগুলোই ঢাকায় ছিল।
খুবই বৈরী এলাকায় না যাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের নিরীক্ষা কিংবা প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টদের অতীত পরীক্ষা করিনি।
আবেদ আলী বলেন, ওই নারীর কানাডায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা রয়েছে। কোনো সংস্থার পক্ষেই সব নির্বাচন কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব না।
এ কথা সত্য যে, ফাউন্ডেশনের সব পর্যবেক্ষক নিজেদের অংশগ্রহণ নিয়ে অনুশোচনা করেননি। কলকাতার গৌতম ঘোষ, নেপালের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির হাকিমুল্লাহ মুসলিম ও নাজির মিয়া বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু বলে প্রথমে তারা যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, এখনও তাতেই অটল আছেন।
নাজির মিয়া বলেন, আমরা সহিংসতার ঘটনা শুনেছি। কিন্তু কখনো নিজেদের চোখে দেখিনি। অন্যত্র কী ঘটছে- তা নিয়ে আমরা মন্তব্য করতে পারব না। আর গৌতম ঘোষ বলেন, তিনি এমন সুন্দর নির্বাচন কখনো দেখেননি।



 

Show all comments
  • Asadur Rahman ২৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:৩৪ এএম says : 0
    কোন লাভ হবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Shah Jahan ২৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:৩৮ এএম says : 0
    রাইট
    Total Reply(0) Reply
  • Mir Irfan Hossain ২৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:৩৯ এএম says : 0
    আপনারাও ভয় কাটিয়ে সত্য প্রকাশ করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • Helal Masud ২৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:৪০ এএম says : 1
    ৩০ ডিসেম্বরের ভুয়া নির্বাচনের পরে আওয়ামী সমর্থক মিডিয়া কয়েকটি ভুয়া নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলকে কুমিরের ছানার মতো দেখিয়ে বলেছিলো দেখো এরা আমাদের নির্বাচন ফ্রি ফেয়ার হয়েছে বলে সার্টিফিকেট দিয়েছে। এদের মধ্যে ছিলো সার্ক হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন। তারা একজন ছিলেন কানাডিয়ান নাগরিক তানিয়া ফস্টার। রয়টার্স আমাদের তার বরাতে জানাচ্ছে যে, তিনি বলেছেন তার পুর্ব অভিজ্ঞতা ছিলোনা কোন আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষন করার। তিনি এই নির্বাচন পর্যবেক্ষন প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত না হলেই ভালো করতেন। তিনি এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার জন্য এখন অপরাধবোধে ভুগছেন। এমনকি এই সংগঠনের সভাপতি বলছেন, এই নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ ছিলোনা এবং বাংলাদেশে আবার নতুন করে নির্বাচন হওয়া দরকার। জাঙ্গিয়া পরে লজ্জা নিবারনের শেষ চেষ্টাটাও মাঠে মারা গেল। আহারে।
    Total Reply(0) Reply
  • Muhammad Shafiuddin ২৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:৪১ এএম says : 1
    ......র অধীনে নির্বাচনে যাওয়াই ভুল হইছে । আমি কতো কইরা কইলাম তার অধীনে নির্বাচনে যাইসনা, কামাল জামালসহ ..........রা আমার কতা হুনলোনা, তারা হুনলো প্রেত্বাত্ত্বার কথা!
    Total Reply(0) Reply
  • Sharif Khan ২৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:৪২ এএম says : 1
    আমিও অনুতপ্ত
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১০:৫০ এএম says : 0
    টানইয়া ফস্টার এখানে দুইরকম বক্তব্য দিয়েছেন এটাই সত্য। তিনি যে সব কেন্দ্রে গিয়েছেন সবকয়টাতেই তিনি ভাল পেয়েছিলেন তাই তিনি ভাল মন্তব্য মানে সত্য কথাই বলেছিলেন। আবার এখন তিনি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিভিন্ন উল্টা পাল্টা কথা শুনছেন তাই তিনি তার করা মন্তব্যের জন্যে দুঃখ প্রকাশ করছেন। এটা আমি একজন কানাডিয়ান হিসাবে বলতে চাই টানইয়া ফস্টার এখানে আমাদের অবমাননা করেছেন কারন একটা লোক যতটুকু দায়িত্ব নেয় ততটুকের উপরই তার বক্তব্য হবে এর বাইরে তার যাবার কথা নয়। তারপর তিনি এক দেশ থেকে অন্য দেশে কাজ করতে গেলেন তাও আবার নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসাবে এটাযে কত বড় দায়িত্ব সেটা তার আগেই বুঝার দরকার ছিল। তারপরও একজন যখন কোন দায়িত্ব না বুঝেও ঘাড়ে নেন তারপর সে তার কাজের উপর প্রতিবেদন দেবার পর তার আর কোন দায় দায়িত্ব থাকেনা এটাই সত্য। এখন তার কাজের জন্যে যদি সংস্থা কৈফিয়ত চায় তাহলে সে শুধুই তার উপর দেয়া দায়িত্বটুকু নিয়েই কথা বলতে পারে বা ঐ কাজের উপর কৈফিয়ত দিতে পারে অন্য কোন বিষয় আসে না। যেমন অন্য দু’জন পর্যবেক্ষক বলেছেন। এটাই টানইয়া ফস্টারের বলার কথা কিন্তু তিনি এটাকে অপর পক্ষকে জেতানোর জন্যেই উদ্দেশ্য মূলক ভাবে তার বক্তব্য দিয়েছে তাই তার এই বক্তব্য কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে আমরা মনেকরি। আমরা মনেকরি নিজের দেখার যে গুরুত্ব সেটাই সর্বেসর্বা এরসাথে শুনাকথা আসতেই পারেনা। কিন্তু টানইয়া ফস্টার কিভাবে দেখার চেয়ে শোনাকে প্রাধান্য দিয়ে দেখার মন্তব্যকে বাতীল করে শোনার উপর যেটার কোন প্রমাণ তার কাছে নেই বা এধরনের কোন ঘটনা তিনি নিজ চোখে দেখেননি। কাজেই মানুষের কাছ থেকে শোনার পর তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারেন না, যদি পরিবর্তন করেন তাহলে সেটা একটা প্রশ্নের সৃষ্টি করে না কি?? সাথে সাথে একজন বয়জৈষ্ট ব্যাক্তিত্ব নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংগঠন সার্ক হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম (৭৫) তিনিও কিভাবে ঘটনা ঘটে যাবার পর মানুষের কাছ থেকে শুনে নিজের উপর সেটা নিয়ে যদি কোন মন্তব্য করেন তাহলে তার এই অহেতুক মন্তব্যর উপর প্রশ্নের সৃষ্টি হয় না কি?? আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে সত্য বলা, সত্য বুঝা ও সত্য পথে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply
  • মো ঃ নজরুল ইসলাম ২৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১১:৫১ এএম says : 0
    যে দেশে দুই দুইবার জাতীয় ভোটার হয়ে ভোট প্রদান করতে পারলাম না । সেই দেশে বিদেশী পর্যবেক্ষক নামে কিছু দালাল এসেছে বলছে ভোট নাকি সুষ্ঠু হয়েছে । জন্ম থেকে অনেক নির্রাচন দেখেছি কিন্তু এরকম নির্বাচন দেখিনি । আমার কেন্দ্রের পাশেই আমার বাড়ি .... শুনিছি রাত সাড়ে আটটার মধ্যে ৪৪০০ ভোটের মধ্যে ৪০০০ হাজার সিল দেওয়া হয়ে গেছে । এ দিকে ঊনত্রিশ তারিখে রাতেই আবার এলাকায় পুলিশের হানা সকালে যেন কউ ভোট কেন্দ্রে না যায় । সকাল দশটার পর থেকে কেন্দ্রটাই বন্ধ করে রাখলো । নেই, কোন পুলিশ, নেই কোন আর্মি, নেই কোন সাংবাদিক,আবার বিকাল তিনটার মধ্যে ভোটের বাক্স নিয়ে চলে যেতেও দেখলাম কি সুন্দর দৃশ্য ছিলনা আমার প্রতিবাদের হাজারো শক্তি, আফসোস করতে, বাড়িতে গিয়ে কান্না জলে শুয়েপড়ি বিছানায় ... মনে মনে বললাম এ মহান রব তুমিই সব কিছু পারো ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ