Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঘুষের মামলায় জামিন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ঘুষ গ্রহণের মামলায় ৪ বছরের দন্ডপ্রাপ্ত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার জামিনও মঞ্জুর করেছে আপিল বিভাগ। গতকাল সোমবার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হুদার লিভ টু আপিল গ্রহণ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন। অসুস্থতার কারণে বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিভিশনে রয়েছেন নাজমুল হুদা।
আদালতে নাজমুল হুদার পক্ষে শুনানি করেন এ এফ হাসান আরিফ, মনসুরুল হক চৌধুরী ও নাজমুল হুদার স্ত্রী সিগমা হুদা। দুদক পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, উনার লিভ টু আপিল মঞ্জুর হয়েছে। সেই সঙ্গে জামিনও দিয়েছেন আদালত। এখন আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিনে থাকবেন। ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে এ মামলায় নাজমুল হুদাকে সাত বছরের সাজা দিয়েছিলেন নিম্ন আদালত। ২০১৭ সালে হাইকোর্ট তার সাজা কমিয়ে চার বছরের কারাদন্ড দেন। সে অনুযায়ী গত ৬ জানুয়ারি নাজমুল হুদা আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার দ্বিতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক। ৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে লিভ টু আপিলের পাশাপাশি জামিনের আবেদন করেন নাজমুল হুদা। শুনানি শেষে নাজমুল হুদাকে জামিন দেন আপিল বিভাগ।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২১ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম ধানমন্ডি থানায় এ মামলা দায়ের করেন। নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদার সাপ্তাহিক পত্রিকার খবরের অন্তরালের নামে মীর জাহের হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়। ২০০৭ সালের ২৭ অগাস্ট বিশেষ জজ আদালতে এ মামলায় নাজমুল হুদাকে ৭ বছরের কারাদন্ড এবং আড়াই কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। রায়ের বিরুদ্ধে নাজমুল হুদা ও সিগমা হুদা আপিল করলে ২০১১ সালের ২০ মার্চ হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন। রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক আবেদনের শুনানি করে সর্বোচ্চ আদালত ২০১৪ সালে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। পরে মামলাটির পুনরায় শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালে হাইকোর্ট রায়ে নাজমুল হুদার সাজা কমিয়ে ৪ বছরের কারাদন্ড দেন। হাইকোটের্র ওই রায়ের পর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ না করেই হাইকোর্টের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির অনুমতি চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন নাজমুল হুদা। কিন্তু ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারি আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
২২ জানুয়ারি, ২০১৯
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ