Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ ব্যাংকে কাজ ছাড়াই বেতন নিচ্ছেন এক ডজনের বেশি কর্মকর্তা

প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

হাসান সোহেল : জনবল সঙ্কটে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তদারকিতে সমস্যা হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিজ্ঞ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বসিয়ে বেতন দেয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে দপ্তরবিহীন আছেন এক ডজনেরও বেশি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। কোনো ধরনের কাজ না করেই এসব কর্মকর্তারা বেতন ভোগ করছেন। এসব কর্মকর্তাকে দায়িত্ব বা পদোন্নতি না দিয়ে সম্প্রতি রিজার্ভ চুরির দায় নিয়ে পদত্যাগ করা গভর্নর ড. আতিউর রহমান তার সময়কালে একের পর এক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশাসনের বিচক্ষণতাকে দায়ী করলেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক ঊর্ধ্বতন পদ শূন্য। জনবলের অভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতের তদারকি করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। অথচ অনেক দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তাকে কাজ না দিয়ে বসিয়ে বসিয়ে বেতন দেয়া হচ্ছে। এটা যৌক্তিক নয়, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিচক্ষণতা ও গতিশীলতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, কর্মকর্তাদের কাজ না দিয়ে বসিয়ে রাখা বাঞ্ছনীয় নয়। একই সঙ্গে এটা যৌক্তিকও নয়। তিনি বলেন, একজন কর্মকর্তার জন্য অনেক ধরনের ব্যয় হয়, তাহলে কেন কাজ না করিয়ে বেতন প্রদান করব। এতে ওইসব কর্মকর্তারা মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। কর্মকর্তাদের বসিয়ে রেখে অবসরপ্রাপ্তদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, সব সময়ই প্রতিষ্ঠানের কর্মরতদের অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। যদি বিশেষভাবে দক্ষ হয়, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে শর্ট প্রিয়ডের জন্য অন্যদের তৈরি করার জন্য ওই বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মকর্তাকে রাখা যায়।
কেন্দ্রীয় বাংকের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বলেন, মোট জনবলের তুলনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পদ সংখ্যা অনেক কম। যেগুলো আছে তাতে আবার সাবেক কর্মকর্তা ও বাইরে থেকে লোক ভাড়া করা হচ্ছে। তাই বরাবরই এসব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করার দাবি জানিয়ে আসছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রমতে, দপ্তরবিহীন কর্মকর্তাদের অনেকেরই আবার কাজবিহীন দুই বছর পার হয়ে গেছে। এই তালিকায় রয়েছে ৪ জন জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) এবং ১০ জন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম)। বিভিন্ন সময়ে এসব কর্মকর্তারা কাজে ফিরতে চাইলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি স্বার্থান্বেষী চক্র রিজার্ভ চুরির ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগকারী গভর্নর ড. আতিউর রহমানকে ভুল তথ্য দিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছেন। স্বার্থান্বেষী চক্রটি একাধিক পদের দায়িত্ব নিয়ে বসে থাকলেও এসব অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের কাজবিহীন রেখে দিয়েছেন। যদিও নতুন গভর্নর ফজলে কবির দায়িত্ব নেয়ার পর বিভিন্ন দপ্তরে রদবদলের ঘোষণার অংশ হিসেবে গত রোববার ২ জন জিএমকে দপ্তর প্রদান করেছেন। বাকি ২ জন জিএমকে এখনও কোনো দপ্তর দেয়া হয়নি। এছাড়া ডিজিএম ১০ জনকে এখনো পদায়ন করা হয়নি।
সূত্র মতে, বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ম অনুযায়ী ১০ শতাংশ জনবলকে লিভ রিজার্ভে বা কাজবিহীন রাখতে পারেন। কিন্তু এই লিভ রিজার্ভ সাধারণত ৬ মাসের বেশি হয় না। অথচ বর্তমানে যারা লিভ রিজার্ভে আছেন তাদের অনেকেরই ২ বছর পার হয়ে যাচ্ছে। কাজ না করেই এসব কর্মকর্তা দুই বছর বেতন ভোগ করছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকে কাজ বিহীন জনবলকে লিভ রিজার্ভ বললেও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যাদেরকে ওএসডি বলা হয়।
দীর্ঘদিন জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে দপ্তরবিহীন থাকার পর কাজী এনায়েত হোসেনকে গত রোববার এক আদেশে এইচআরডি-২ বিভাগে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ফিনান্সিয়াল সেক্টর সাপোর্ট অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক প্লানিং বিভাগে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আরেক জেনারেল ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলামকে। অপর দুই জিএম মো. খুরশীদ আলম ও মঈন উদ্দিন আহমেদ এখনো রয়েছেন দপ্তরবিহীন।
বাংলাদেশ ব্যাংকর একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন দপ্তরে জনবল সঙ্কট রয়েছে। কর্মকর্তাদের কাজ করতে গিয়ে অনেক বেগ পেতে হয়। অথচ অভিজ্ঞদেরকে বসিয়ে বেতন দেয়া হচ্ছে।
সূত্র মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকে দীর্ঘদিন থেকে ১০ জন ডিজিএমকে দপ্তরবিহীন রাখা হয়েছে। তারা কোন ধরনের কাজ ছাড়াই বেতন নিচ্ছেন। এসব কর্মকর্তারা হলেনÑডিজিএম এস এম আবু হানিফ, মো. আবুল কালাম-১, আম্বিয়া খাতুন, নাজমা বেগম, মো. মজিবুর রহমান, এটিএম আব্দুল খালেক, উত্তম কুমার দাশ, লায়লা ফরীদা বানু, দিল আফরোজ বেগম এবং প্রাণ সঙ্কর দত্ত। এদের মধ্যে এস এম আবু হানিফ দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দপ্তরবিহীন আছেন। অন্যান্যরাও ১ বছরের উপরে দপ্তর বিহীন। এর আগেও বাঞ্ছারাম রায় নামে একজন ডিজিএমকে দুই বছরের বেশি সময় দপ্তর বিহীন রাখা হয়েছিল। কয়েক মাস আগে যাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন শাখায় তাকে দায়িত্ব দেয়া হয় বলে সূত্র জানিয়েছে।
পদত্যাগ করা গভর্নর ড. আতিউর রহমান তার সময়কালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিজস্ব কর্মকর্তাদের পদোন্নতি না দিয়ে একের পর এক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে বাইরে থেকে যেমন দেওয়া হয়েছে, তেমনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরও দেওয়া হয়েছে। ফলে নিয়মিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি আটকে যাওয়ায় তাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক দেবপ্রসাদ দেবনাথের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বড় ধরনের বিক্ষোভও হয়।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে চুক্তিভিত্তিক মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নিয়োগ দেওয়া রয়েছে। এছাড়া নির্দিষ্ট অর্গানোগ্রামের বাইরে গিয়ে কিছু নতুন পদ তৈরি করে বাইরের লোকজন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নির্বাহী পরিচালক বা তার চেয়ে বড় পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকে কাজ করছেন আরও সাতজন। সূত্র জানায়, ড. আতিউর রহমান ২০০৯ সালে যোগদান করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নিজস্ব বলয় তৈরির জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে পছন্দের লোকজনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছেন।
সূত্র জানায়, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ঘোরবিরোধী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তারা এর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আন্দোলনও করেছেন; কিন্তু লাভ হয়নি। সাবেক গভর্নর ঠিকই তার পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা বিএফআইইউ) অবসরে যাওয়া জিএম দেবপ্রসাদ দেবনাথকে চুক্তিভিত্তিক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে কাজ করা হয় সে রকম গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের জিএম পদে রয়েছেন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া বদরুল হক খান। তার বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ সম্পর্কে কোনো পূর্বাভিজ্ঞতা নেই। সাধারণত কর্মকর্তার সহকারী পরিচালক (এডি) থেকে কাজ করে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে নানা ধাপ পেরিয়ে একসময় জিএম হন। কিন্তু এসব ধাপ না পেরিয়ে সরাসরি জিএম হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বদরুল হক খান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সর্বশেষ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন এএফএম আসাদুজ্জামান। পছন্দের এই ব্যক্তিকে জিএম পদে বসাতে গভর্নর সচিবালয়ে সুপার নিউমেরিক পদ সৃষ্টি করে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই পদে দায়িত্বে থাকাকালে তার চাকরির মেয়াদ শেষ হয় গত ডিসেম্বরে। কিন্তু বয়স শেষ হলেও তাকে আবার ওই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এদিকে নতুন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত টাকশাল বলে পরিচিত দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের চুক্তিভিত্তিক এমডি নিয়োগের শেষ হওয়ার পর আবারও ৬ মাসের জন্য সাবেক নির্বাহী পরিচালক জিয়াউদ্দীন আহমেদকেই নিয়োগের পাঁয়তারা চলছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ে সূত্রে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্বিক কাজের অডিট করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ ইন্টারন্যাল অডিট ডিপার্টমেন্টও চলছে চুক্তিভিত্তিক জিএম দিয়ে। এ বিভাগের জিএম মো. সদরুল হুদা। এছাড়া জিএম পদের সমমর্যাদার চিফ মেডিক্যাল অফিসার পদে চুক্তিভিত্তিক কাজ করছেন মিহির কান্তি দাস।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন নির্বাহী পরিচালক জানান, চাকরি শেষে নিয়মিত কর্মকর্তাদের নানা সুযোগ-সুবিধার বিষয় আছে। তাই তারা কাজের প্রতি দায়িত্বশীল ও যতœবান। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক ব্যক্তিদের বেলায় তা নয়। তাছাড়া পছন্দের ব্যক্তিদের খুশি করতে তাদের বেশি আর্থিক সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কর্মকর্তারা এতে বঞ্চিত হচ্ছেন। জিএম পদে ২ লাখ টাকা বেতন পাচ্ছেন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তরা। কিন্তু নিয়মিত জিএমদের বেতন এর অর্ধেক। সংশ্লিষ্টরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কয়েকটি স্পর্শকাতর বিভাগে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে নিয়োগপ্রাপ্তরা অনেক বেশি বেপরোয়া। কেননা তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত কর্মকর্তা নন। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি দায়বদ্ধতাও তাদের কম। এ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ সৃষ্টি ও কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির অন্তরায়।
নিয়মিত বিভাগের বাইরেও সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান কিছু পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছেন। সৃষ্টি করেছেন কিছু বিশেষ পদ। পরামর্শক, উপদেষ্টা ও সিনিয়র উপদেষ্টা নামে প্রায় অর্ধডজন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বীরূপাক্ষ পালকে বিদেশ থেকে এনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন আল্লাহ মালিক কাজেমী। বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং অ্যাকাডেমির প্রিন্সিপাল পদে রয়েছেন সাবেক কর্মকর্তা কেএম জামশেদুজ্জামান। তার আগে এ অ্যাকাডেমির প্রধান হতেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন নির্বাহী পরিচালক। বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত টাকশাল বলে পরিচিত দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের চুক্তিভিত্তিক এমডি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সাবেক নির্বাহী পরিচালক জিয়াউদ্দীন আহমেদকে। এদিকে সম্প্রতি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বয়স না থাকা স্বত্তেও এই কর্মকর্তাকে আবারো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। যা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্থাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। সিনিয়র ইকোনমিক অ্যাডভাইজার টু দ্য গভর্নর পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ফয়সাল আহমেদ নামে একজনকে। এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগের জিএম পদে দায়িত্ব পালনকালে চাকরির মেয়াদ শেষ হয় সুকোমল সিংহ রায় চৌধুরীর। তাকে চুক্তিভিত্তিক জিএম করার চেষ্টা করেন গভর্নর। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের তীব্র বাধার মুখে তা করতে পারেননি তিনি। পরে তাকে ওই বিভাগের কনসালট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ ব্যাংকে কাজ ছাড়াই বেতন নিচ্ছেন এক ডজনের বেশি কর্মকর্তা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ