Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মোসাক ফনসেকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা চায় টিআইবি

প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মোসাক ফনসেকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ায় অপরাধ প্রমাণ সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
একই সঙ্গে গত ৯ মে ‘পানামা পেপার্স’ নামক ডাটাবেইজে সম্ভাব্য কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারের সাথে বাংলাদেশী নাগরিকদের সম্পৃক্ততায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এ ঘটনাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থাপনায় প্রকট দুর্নীতি-সহায়ক পরিস্থিতির দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।  বিবৃতিতে বলা হয়, প্রকাশিত তালিকায় যে বাংলাদেশীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ও নির্ভরযোগ্য তথ্য এখনো না পাওয়া গেলেও সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে থেকে উদ্বেগজনক হারে টাকা পাচারের প্রবণতার প্রেক্ষিতে ব্যাংক, দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে আনা এবং এ ব্যাপারে জড়িতদের কঠোর শান্তি নিশ্চিত করতে হবে।   বিবৃতিতে ড. জামান বলেন, দেশের বাইরে নামে-বেনামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্থ পাচারের মূল লক্ষ্য কর ফাঁকি; অর্থাৎ এর মূল্য চূড়ান্ত বিবেচনায় জনগণকেই দিতে হয়। সরকারের অন্যতম দায়িত্ব এরূপ কর ফাঁকি ও অর্থ পাচার বন্ধ করা।
টিআইবি মনে করে, যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা কেবল আংশিক মাত্র। কারণ মোসাক ফনসেকার মতো আরো অনেক তথাকথিত আইন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান অর্থ পাচার প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত রয়েছে। তাছাড়া এ দুষ্ট চক্রের সাথে জড়িত রয়েছে বিশ্বের নামী-দামী ব্যাংক ও অ্যাকাউন্টিং কোম্পানীসহ অসংখ্য মধ্যস্থতাকারী। একদিকে দেশীয় আইনী কাঠামো জোরদার ও কার্যকর করার মাধ্যমে অর্থ পাচার প্রতিরোধে সুদৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ ও অন্যদিকে জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশনসহ আইনী ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার মাধ্যমে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এক্ষেত্রে জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশনের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক আইনী ও কারিগরী সহযোগিতার সুযোগ গ্রহণ করতে পারে বলে টিআইবি মনে করে। অর্থ পাচার রোধ করা, পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা ও সংশ্লিষ্টদের বিচারের মুখোমুখি করা জটিল হতে পারে, তবে তা মোটেও অসম্ভব নয়, প্রয়োজন সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের সদিচ্ছা ও সক্রিয় উদ্যোগ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মোসাক ফনসেকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা চায় টিআইবি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ