পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হচ্ছে আজ। দুপুর একটায় সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। গতকাল (মঙ্গলবার) মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার আগে রীতি অনুযায়ী শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকাল ১০টার দিকে বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের সার-সংক্ষেপ হস্তান্তর করবেন। এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে সমমানের পরীক্ষায় মোট ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৮ লাখ ৪২ হাজার ৯৩৩ জন ছাত্র ও ৮ লাখ ৮ হাজার ৫৯০ জন ছাত্রী। গত ১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। তাত্ত্বিক বা লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ১০ মার্চ। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গত বছর ১০ বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ০৪ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল এক লাখ ১১ হাজার ৯০১ পরীক্ষার্থী। আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৭২, মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ২০ ও কারিগরি বোর্ডে ৮৩ দশমিক ০১ শতাংশ ছিল।
যেভাবে ফল পাওয়া যাবে : দুপুর একটায় শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পরপরই শিক্ষার্থীরা অনলাইন, স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবেন। নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ছাড়াও িি.িবফঁপধঃরড়হনড়ধৎফৎবংঁষঃং.মড়া.নফ ঠিকানায় ফলাফল পাওয়া যাবে। মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। মোবাইল থেকে ফল জানতে মেসেজ অপশনে গিয়ে পরীক্ষার নাম (ংংপ/ফধশযরষ) লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্র্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সন ২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি মেসেজে ফলাফল জানানো হবে।
১২ থেকে ১৮ মে উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন : এসএসসি, দাখিল বা সমমানের পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের জন্য ১২ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল দিয়ে ফল যাচাইয়ের আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে মোবাইলে ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে আরএসসি (জঝঈ) লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা হারে ফি দিতে হবে। ফিরতি এসএমএস-এ আবেদন ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর দেওয়া হবে। আবেদনে সম্মত থাকলে ম্যাসেজে গিয়ে আরএসসি (জঝঈ) লিখে স্পেস দিয়ে ইয়েস (ণঊঝ) লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে নিজ মোবাইল ফোন নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। যেসব বিষয়ে দুটি পত্র (বাংলা ও ইংরেজি) রয়েছে সেসব বিষয়ে একটি বিষয় কোডের (বাংলার জন্য ১০১, ইংরেজির জন্য ১০৭) বিপরীতে দুটি পত্রের জন্য আবেদন হিসেবে গণ্য হবে এবং আবেদন ফি হিসেবে ২৫০ টাকা লাগবে। একই এসএমএসের মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে কমা দিয়ে লিখতে হবে।
থাকছে না সেরা প্রতিষ্ঠান
প্রথমবারের মতো এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার ফলে থাকছে না সেরা প্রতিষ্ঠানের তালিকা। শীর্ষ তালিকায় স্থান নিতে নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অসুস্থ ও অনৈতিক প্রতিযোগিতার কারণে গতবছরই এই তালিকা বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এর আগে এইচএসসি ও অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষাতেও সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা বাদ দেয়া হয়। তবে এসএসসিতে এবারই প্রথম এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে যাচ্ছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলে সেরা প্রতিষ্ঠানের তালিকা থাকছে না। তবে কোন প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো ফল করে তা বোঝা যায়। সেরা প্রতিষ্ঠান মূল্যায়নের নতুন কোনো পদ্ধতি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো নির্দেশনা নেই।’ তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খারাপ ফল করবে তাদের এগিয়ে নিতে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘খারাপ ফল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ভালো ফল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়ে আমার সভা করার চিন্তা-ভাবনা আছে। যাতে খারাপ ফল করা প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্টরা ভালোদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।