পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ‘বিজয় উৎসব’ উপলক্ষে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নগরীর প্রতিটি পয়েন্টে নিরাপত্তা বাহিনীর সতর্ক উপস্থিতি ছিল। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয় চেকপোস্ট। থানা পুলিশের পাশপাশি গোয়েন্দা ও সাদা পোশাকে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করে। এর বাইরে উৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নগরীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল ছিল নিয়ন্ত্রিত। এক কথায় রাজধানী ছিল কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো। গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কঠোর নিরাপত্তার এমন চিত্র চোখে পড়েছে।
একাধারে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করায় সংগঠনটি এ বিজয় উৎসবের আয়োজন করে। গতকাল বেলা ১০টার পর থেকেই নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করে। দুপুরের আগে পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে।
গতকাল সকাল থেকে শাহবাগ, মৎস্যভবন, হাইকোর্ট, দোয়েল চত্বর ও টিএসসি থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি প্রবেশপথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক উপস্থিতি দেখা গেছে। এ সব এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি সাঁজোয়াযান প্রস্তুত রাখা হয়। পোশাক ছাড়াও সাদা পোশাকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ দায়িত্ব পালন করে। সমাবেশস্থলসহ পুরো এলাকা ছিল সিসি ক্যামেরার আওতায়। অনুষ্ঠানস্থলের পাশে এপিসি, জলকামান ও রায়ট কার রাখা হয়। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত ছিল ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। এদিকে অনুষ্ঠান শুরুর আগে সকালের দিকে ডিএমপির ডগ স্কোয়াড টিমের পাশাপাশি মেটাল ডিটেকটর দিয়ে উৎসবস্থল স্যুইপিং করা হয়।
অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার স্বার্থে সকাল থেকেই শাহবাগ হয়ে মৎস্যভবন সড়কে সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এর বাইরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারদিকে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আগে থেকেই ডিএমিপর পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান উপলক্ষে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও ডাইভারশনের কথা জানানো হয়েছিল। শাহবাগ, বাংলামোটর, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, কাঁটাবন, নীলক্ষেত, পলাশী, বকশিবাজার, চাঁনখারপুল, গোলাপশাহ মাজার, জিরো পয়েন্ট, পল্টন, কাকরাইল চার্চ, অফিসার্স ক্লাব, মিন্টু রোডসহ আশপাশের সড়কে অনেক কম যানবাহন চলতে দেখা গেছে। এ ছাড়া গতকাল ছুটির দিন হওয়ায় রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যাও ছিল আগের তুলনায় অনেক কম।
সমাবেশের ঢুকতে উদ্যানের প্রতিটি প্রবেশপথে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে। প্রত্যেককে তল্লাশী করে ভেতরে ঢোকানো হচ্ছিল। কোনো ধরনের হ্যান্ডব্যাগ, ট্রলি ব্যাগ, দাহ্য পদার্থ ও কোন ধরণের ধারালো বস্তু নিয়ে ভেতরে প্রবেশে নেতা-কর্মীদের বাধা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব ঘিরে ব্যাপক জনসমাগমের বিষয়টি আগে থেকেই ধারণা করা হয়েছিল। সে জন্য পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। একইভাবে পুরো রাজধানী জুরেও কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়। সমাবেশ শেষ হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা বিদ্যমান থাকবে।
এদিকে পুলিশের পাশপাশি সব ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাবেরও বিপুল সংখ্যক সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। সমাবেশস্থলের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ওয়াচ টাওয়ার বসায় তারা। র্যাব-৩ এর অপারেশন অফিসার এএসপি বীনা রানী দাস বলেন, উদ্যানে র্যাবের ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে পুরো এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় র্যাবের ৬টি পেট্রোল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।