পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান তমাল এস এম পারভেজ বলেছেন, কোয়ালিটির ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। দেশের বিভিন্ন শাখার দায়িত্বশীলদের উদ্দেশে তমাল বলেন, আপনারা প্রফিটের (লাভের) দিকে না দৌড়ে, কোয়ালিটি (গুণগত মানের) ব্যাংকিংয়ের ওপর অধিক গুরুত্ব দেবেন। পাশাপাশি ‘লো’ কস্ট ও ‘নো’ কস্টের ভিত্তিতে ব্যাংক পরিচালনার কথা বলেন। এছাড়া, নন প্রফিট লোনকে (এনপিএল) বা খেলাপি ঋণকে নিরুৎসাহিত করে তিনি বলেন, চলতি বছর খেলাপি ঋণ দুই শতাংশের বেশি কোনভাবেই হতে দেওয়া যাবে না।
‘ডাবল ইন ওয়ান’-এ প্রতিপাদ্যে সাভারের ব্র্যাক সিডিএমে গতকাল ব্যাংকটির দু’দিনব্যাপী বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলনের শেষ দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। উপস্থিত ছিলেন পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু, পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আদনান ইমাম, পরিচালক মোহাম্মদ নাজিম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. তালহা ও মো. মুখতার হোসেন।
তমাল এস এম পারভেজ বলেন, সকলের প্রচেষ্টায় ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকের আস্থা ফিরেছে। কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের ব্যাংকের প্রধান শ্লোগান হচ্ছে ‘আমরা সকলে একটি পরিবার’। ব্যবস্থাপনা পরিষদ থেকে শুরু করে ব্যাংকে কর্মরত সবাই আমরা এই পরিবারের সদস্য। উন্নত সেবা প্রধান করে গ্রাহকের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করাই হবে প্রধান চ্যালেঞ্জ। আশাকরি আমাদের তরুণ কর্মীরা সে চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়ন করবে। ‘প্রফিট শেয়ারিং’ এর ঘোষণা দিয়ে তমাল এস এম পারভেজ বলেন, এই ব্যাংকের প্রফিট শেয়ারহোল্ডার এবং কর্মীরা সমানভাবে পাবে।
প্রসঙ্গত, নানাবিধ অভিযোগের প্রেক্ষিতে দায়িত্বে থাকা চেয়ারম্যান ফরাছত আলী পদত্যাগ করলে পরিচালনা পরিষদ ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেয় তমাল এস এম পারভেজকে। ব্যাংকটিতে এরপর শুধুই পরিবর্তনের গল্প। মাত্র ১ বছরের ব্যবধানে ব্যাংকের চেহারা পাল্টে দিয়েছেন নতুন এই চেয়ারম্যান। দায়িত্ব পেয়ে ওই সময়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বিদ্যমান সকল অসামঞ্জস্য দূর করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা ফিরিয়ে আনবেন। ঠিক এক বছর পরেই ব্যাংকটির অধিকাংশ সূচকেই তার প্রতিফলন ঘটেছে। ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ৯ শতাংশ থেকে কমে ১ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে। এই ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষণ ছিল। আর সে ক্ষেত্রে খুব কম সময়েই সফল হয়েছে ব্যাংকটি।
তমাল এস এম পারভেজ ইনকিলাবকে বলেন, এই সাফল্যের পেছনে কাজ করেছে ব্যাংকের প্রত্যেকটি ঋণের প্রতি বাড়তি নজরদারি। একই সঙ্গে কর্পোরেট গভর্ন্যান্স, কমপ্লায়েন্স এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাতে অধিক গুরুত্ব দেওয়া। তিনি বলেন, ব্যাংকে সুশাসন ফিরিয়ে আনার একটি দৃঢ় সংকল্প ছিল। এটি কাজ দিয়েছে। ব্যাংকিং রীতিনীতি মেনে আমরা কর্মকান্ড পরিচালনা করছি। ফলে একটা খারাপ পরিস্থিতি থেকে আমরা দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পেরেছি।
গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে এনে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ২০১৮ বছরে মুনাফা করেছে ২০৩ কোটি টাকা। যা আগের বছর ছিল ১৭২ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে ৪০০ কোটি টাকা লভ্যাংশের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে চতুর্থ প্রজন্মের এই ব্যাংকটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।