পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719788516](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে মনোনয়ন-বাণিজ্যের অভিযোগ নিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে তদন্তের পরামর্শ এসেছে। তারা অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন। দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বরাবরের মতো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি।
সরকার বিএনপির ভাবমর্যাদা নষ্ট করতে এসব করাচ্ছে বলে তার আশপাশের ঘনিষ্ঠজনদের মতো তিনিও বিশ্বাস করেন। গণমাধ্যমে অতীতের যে কোন রিপোর্টই সরকারের ইন্দনে হচ্ছে, সংস্থার সরবরাহে হচ্ছে, টাকার বিনিময়ে হচ্ছে- চেয়ারপার্সনকে এমন ‘ধারণা’ দেয়ার কথা চাউর রয়েছে। ফলে হিতে-বিপরীত ঘটছে, আগের অপ্রীতিকর ঘটনার চেয়ে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে পরের ঘটনা। এমনটিই মনে করেন সিনিয়র নেতারা।
গত সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একাধিক নেতা ইনকিলাবকে জানান, বৈঠকে মূল আলোচনা ছিল মনোনয়ন-বাণিজ্যের অভিযোগ নিয়ে। বৈঠকে ১১ জন উপস্থিত ছিলেন। খালেদা জিয়া ও স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্য ছাড়া বাকি আটজন এটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমে মনোনয়ন-বাণিজ্য এবং বিএনপির গুলশান ও নয়াপল্টন কার্যালয়-সংশ্লিষ্ট কিছুসংখ্যক নেতা ও কর্মকর্তাকে নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে। এক নেতার ব্যাংক হিসাবের টাকা নিয়েও পত্রিকায় রিপোর্ট এসেছে। এ সবের মাধ্যমে দলের ভাবমর্যাদা নষ্ট হচ্ছে। ঘটনাগুলো নিয়ে দলে এক ধরনের হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। এ সব নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
খালেদা জিয়া তদন্ত করার বিষয়ে কোনো মনোভাব প্রকাশ করেননি। তিনি বলেছেন, তার ধারণা, সরকার এসব করাচ্ছে। স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, বিএনপির কেউ জড়িত না থাকলে বা সুযোগ না দিলে সরকার এ সব করানোর সুযোগ পেত না।
বৈঠক সূত্র জানায়, যথাযোগ্য মর্যাদায় দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী পালন, ইউপি নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে পরিস্থিতি ভিন্ন হলে প্রয়োজনে চেয়ারপার্সন নিজেই ইউপি নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।